ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় অবস্থিত। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, উন্নয়ন ও চর্চা এবং লালনের লক্ষ্যে ২০০৩ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে এ ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১]
কেএসআই, খাগড়াছড়ি | |
গঠিত | ২০০৩ |
---|---|
ধরন | স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান |
সদরদপ্তর | নারানখাইয়া, খাগড়াছড়ি সদর, খাগড়াছড়ি |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
উপপরিচালক | জিতেন চাকমা |
প্রধান অঙ্গ | সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৭৮ সালে রাঙামাটিতে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ফলে অন্যান্য দুই পার্বত্য জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট নামে প্রতিষ্ঠা করে একে প্রধান কার্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন[২] কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি রাখা হয়।[১]
কার্যক্রম
সম্পাদনাপ্রশিক্ষণ
সম্পাদনা- সাধারণ সঙ্গীত
- উপজাতীয় সঙ্গীত
- তাঁত বুনন ও পোশাক তৈরি প্রশিক্ষণ
- নৃত্য
- নাট্য
- কবিতা আবৃত্তি ও প্রমিত উচ্চারণ
- চিত্রাঙ্কন
গবেষণা, প্রকাশনা ও গ্রন্থাগার
সম্পাদনা- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা শিক্ষা কোর্স
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী ও প্রত্নবস্তু সংগ্রহ
এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমূহের সংস্কৃতি বিকাশ ও উন্নয়ন এবং ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ প্রকল্পের আওতায় প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রন্থ।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "ইতিহাস, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট"। ksikhagrachari.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৪।
- ↑ "ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন"। bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৪।