ক্ষার ধাতু
পর্যায় সারণির প্রথম গ্রুপ বা শ্রেনীকে ক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ এই শ্রেণীর মৌলসমূহ অক্সাইড বা হাইড্রোঅক্সাইড, এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে। তাই বলা যায় যে, এগুলোর প্রত্যেকটি এক একটি ক্ষার। আবার এই শ্রেণীর মৌলগুলোর মধ্যে ধাতব ধর্ম বিদ্যমান। তাই এই শ্রেণীর মৌলগুলোর প্রত্যেকটিকে ক্ষার ধাতু বলা হয়।[১] এই শ্রেনীর মৌল সমূহ হলো :
ক্ষার ধাতু | |||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নিষ্ক্রিয় গ্যাস ← ক্ষার ধাতু → মৃৎক্ষার ধাতু
| |||||||||||||||||||||||
|
ক্ষার ধাতু সমূহের বৈশিষ্ট্যঃ
- গ্রুপ ১ এ যত নিচের দিকে যাওয়া যায় এর সক্রিয়তা ততই বাড়তে থাকে।
- এদের আয়নিক বন্ধন গঠনের প্রবণতা বেশি থাকে।
- এরা নরম, চকচকে ও অধিক সক্রিয়। এরা কক্ষ তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করে।
- এর যোজ্যতা ইলেকট্রন একটি।
- এরা ক্ষারীয় ধর্মবিশিষ্ট হয়।
- এরা দূর্বল ধাতব বন্ধন গঠন করে।[২]
- এদের গলনাংক ও স্ফুটনাংক অন্যান্য ধাতুর তুলনায় অনেক কম।
- জলে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার তৈরি করে।
- এরা হ্যালোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব হ্যালাইড উৎপন্ন করে। যেমন : NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড)
- এদের হাইড্রোক্সাইড যৌগগুলো তীব্র ক্ষারক হয়।
- বিভিন্ন ধাতু এবং তাদের লবণগুলো শিখা পরীক্ষায় বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে।
ক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনা- ক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির IA শ্রেণীভুক্ত। এরা খুব সক্রিয় বলে মুক্ত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় না। এই ধাতু গুলির অক্সাইড এবং হাইড্রক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয়ে তীব্র ক্ষার উৎপন্ন করে, তাই এদের ক্ষার ধাতু বলা হয়।
- গ্রুপ 1 এ যত নিচের দিকে যাওয়া যায় এর সক্রিয়তা ততই বাড়তে থাকে।
- এদের আয়নিক বন্ধন গঠনের প্রবণতা বেশি থাকে।[৩]
- এরা নরম, চকচকে ও অধিক সক্রিয়। এরা কক্ষ তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করে।
- এর যোজ্যতা ইলেকট্রন একটি।
- এরা ক্ষারীয় ধর্মবিশিষ্ট হয়।
- এরা দূর্বল ধাতব বন্ধন গঠন করে।
- এদের গলনাংক ও স্ফুটনাংক অন্যান্য ধাতুর তুলনায় অনেক কম।
- পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার তৈরি করে।
- এরা হ্যালোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব হ্যালাইড উৎপন্ন করে। যেমন : NaCl(সোডিয়াম ক্লোরাইড)
ব্যতিক্রম
সম্পাদনা- হাইড্রোজেন গ্রুপ IA মৌল হওয়া সত্তেও এটি ক্ষার ধাতুর মতো আচরণ করে না।
- হাইড্রোজেন গ্রুপ IA এ থাকা সত্তেও এটি অধাতুর ন্যায় আচরণ করে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Nomenclature of Inorganic Chemistry (IUPAC Recommendations 2005)., Cambridge (UK); Electronic version.। "International Union of Pure and Applied Chemistry (2005)."। IUPAC (ইংরেজি ভাষায়): 248–49.। আইএসবিএন 0-85404-438-8।
- ↑ "Base metals generally weaker, with higher bond yields producing headwinds | Metal Bulletin.com"। www.metalbulletin.com। ২০২২-০৬-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-১৯।
- ↑ Greenwood; Alen(1997); Norman N.Earnshaw। "Chemistry of the Elements"। Butterworth-Heinemann (ইংরেজি ভাষায়)। ২। আইএসবিএন 978-0-08-037941-8।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |