ক্ষত্রোপেত ব্রাহ্মণ

সেন পদবীধারী বাঙালী ব্রাহ্মণ বিশেষ।যে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রীয়ের পেশা যুদ্ধবিদ্যা ও রাজশাসনে যুক্ত হতেন তাদের ক্ষত্রোপেত ব্রাহ্মণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।সেন রাজবংশীয়রা ক্ষত্রোপেত ব্রাহ্মণ/ক্ষত্রপতি ব্রাহ্মণ বলে পরিচিত।[]

ক্ষত্রপেত শব্দটি শক ভাষার "*xšaθrapati" শব্দ থেকে সংস্কৃতে এসেছে।

পৌরাণিক কাহিনী

সম্পাদনা

পুরাণাদির মতে আয়ুর পুত্র রাজা নহুষ, তৎপুত্র যযাতি, তাহার পুত্র অনু,অনু হতে অধস্তন দ্বাদশ পুরুষে বলি । বিষ্ণুপুরাণের মতে এই বলির স্ত্রীগর্ভে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সুহ্ম ও পুণ্ড, এই পাঁচ পুত্র জন্মে, ইহার বালেয়-ক্ষত্রিয়। ব্ৰহ্মাও ও মৎসপূরাণ মতে সেই রাজা বলি হইতে চারি বর্ণই উৎপন্ন হয়। •l ক্ষত্রিয় হইতে প্রথম ত্রিবর্ণের উৎপত্তি। প্রধান প্রধান পুরাণ মতে বিতথের পাঁচ পুত্র সুহোত্র, সুহোত্ব, গল্প, গৰ্গ ও মহাত্মা কপিল । সুহোত্রের দুই পুত্র, কাশক ও রাজা গৃৎসমতি। এই গৃৎসমতির পুত্ৰগণ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য জাতীয় ছিলেন । “কাশকশ মহাসত্বস্তথা গৃৎসমতিনৃপঃ। তথা গৃৎসমতে: পুত্র ব্রাহ্মণা: ক্ষত্রিয়া বিশ: ॥” (হরিবংশ৩২ অঃ) ক্ষত্রিয় হইতে প্রথম দুই বর্ণের উৎপত্তি। ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণে লিখিত আছে -- “বেমুহেfত্রস্বতাশ্চাপি গার্গ্যোনামা প্রজেশ্বরঃ । গাৰ্গস্ত গর্গভূমিস্ত বৎসে বৎসন্ত ধীমতঃ । , ব্রাহ্মণা: ক্ষত্রিয়াশ্চৈব তয়ে পুল্লা: সুধাৰ্ম্মিকাঃ। বেমুহোত্রের পুত্র রাজা গার্গা, গার্গ্যহইতে গর্গভূমি ও বৎস্ত হইতে ধীমান বৎস্ত জন্মে। ঐ উভয়েরই পুত্রই মুধাৰ্ম্মিক ব্রাহ্মণ ও ক্ষপ্রিয় ছিলেন । ক্ষত্রোপেত ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয়বংশে ব্রাহ্মণ। লিঙ্গপুরাণে লিখিত আছে— “হরিতে যুবনাশ্বস্ত হারিত। যত আত্মজাঃ। এতেহাঙ্গিরস; পক্ষে ক্ষত্রেীপেত। দ্বিজাতয়ঃ ॥” ক্ষত্রিয়রাজ যুবনাশ্বের পুত্র হরিত, তৎপুত্ৰগণ হারিত । অঙ্গিরস পক্ষে ইহার ক্ষত্রোপেত ব্রাহ্মণ বলিয়া খ্যাত। বিষ্ণু পুরাণের ( ৪৩৫) টীকাকার ঐ হারিত সম্বন্ধে লিথিয়াছেন, “যতে হরিতাঙ্কারিতা অঙ্গিরসো দ্বিজ হরিক্তগোত্র প্রবরা; ॥” হরিত হইতে অঙ্গিরস হারিতগণ, ইহারাই হারিতগোত্রপ্রবর। ভাগবতে লিখিত আছে, পুকুরবার পুত্র আয়ু, তৎপুত্র ब्राउ, उ९%च्च ब्रउन, उँोङ् श्रे८ऊ १ाउँौन्न ७ अक्विग्न छप्ला । তাহার পত্নী হইতে ব্রাহ্মণ জন্মে। , “রাভস্ত রভসঃ পুত্রে গম্ভীরাশ্চাক্রিয়স্ততঃ ॥ তগোত্রং ব্রহ্মবিজজ্ঞে শুধু বংশননেমশ: " ১৯৭১•। भूझ श्रङ अषखन बांनन शृङ्गएष भशब्रांछ अथंडि ब्रथ জন্মগ্রহণ করেন। বিষ্ণুপুরাণে লিখিত আছে— [ نن د ' } ङींष्ठि

অপ্রতিরথাৎ কখঃ তস্তাপি মেধাতিখিঃ । যতঃ কাম্বায়ন चिब बडूयूः ।” ( els२२) - অপ্রতিরথের পুত্র কং, কধের পুত্র মেৰাতিথি, তাহ হইতে কাৰান্ধন ব্রাহ্মণগণ সমুদ্ভূত হন। এ সম্বন্ধে ভাগবতেও লিখিত আছে—

মুমতিঞ বোহপ্রতিরখঃ কথোছপ্রতিরখাত্মজঃ ॥ তস্ত মেধাতিথিস্তস্মাৎ প্রস্কশ্বাস্থা দ্বিজতিয়ঃ। পুত্রোংস্কৃৎস্নমতেরেডি চুক্তিস্তৎস্থতোমতঃ ॥” ৯২•৭ ভাগবতের মতে আজমীড়ের বংশে প্রিয়মেধাদি ব্রাহ্মণগণ জন্মগ্রহণ করেন । “অজমীঢ়স্ত বংগুীঃ স্বা: প্রিয়মেধাদয়ে দ্বিজাঃ * ৯২১।২১ বিষ্ণু, ভাগবত ও মৎস্তপুরাণের মতে ক্ষত্রিয়রাজ আজমীঢ়ের ৭ম পুরুষে মুদগলের জন্ম, তাহা হইতে মোগল্য নামক ক্ষত্রোপেত ব্রাহ্মণগণের উৎপত্তি হয় । "মুদগলাস্তাপি মোগল্য ক্ষত্রোপেত। দ্বিজাতয়ঃ। এতেহঙ্গিরসঃ পক্ষে সংস্থিতা: কথমুদগলা ॥” ( মৎস্ত ) মৎস্তপুরাণে আরও লিখিত আছে-- “কাব্যানান্তু বরাহেতে ত্রয়ঃ প্রোক্তা: মহৰ্ষয়: । গর্গt; সন্ধুতয়ঃ কাব্য ক্ষত্রোপেতা দ্বিজাতয়ঃ ॥* গর্গ, সঙ্কতি ও কাব্য কবিবংশীয় এই ৩ জন মহধি ক্ষত্রোপেত ব্রাহ্মণ বলিয়া গণ্য। ভাগবত, বিষ্ণু, মৎস্ত ও ব্ৰহ্মাওপুরাণের মতে— “গৰ্গাচ্ছিনিস্ততে গার্গ্য; ক্ষত্রা ক্ষহ্যবর্তত।” ভাগ ৯২১১৯ গৰ্গ হইতে শিনি এবং তাহা হইতে গার্গ্যগণ জন্মলাভ করেন। সেই গার্গ্যগণ ক্ষত্রিয় হইয়াও ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন। সকল প্রধান পুরাণেই লিখিত আছে, গর্গের ভ্রাত মহাবীৰ্য্য, তৎপুত্র উরুক্ষয়, এই উরুক্ষয়ের তিন পুত্র জন্মে, जएाङ्ग१, भूकद्रौ ७ क%ि, ५३ डिनछनई क्रद्धिग्न शहेग्रां७ ব্ৰাহ্মণত্ব লাভ করিয়াছিলেন । “উরুক্ষরস্বতঃ স্থেতে সৰ্ব্বে ব্রাহ্মণাত্তাং গতাঃ ” (মৎস্তপুরাণ) ভাগবতের ( ৯২১১৯ ) টকায় শ্ৰীধরস্কামীও লিথিয়াছেন— *যে২ত্র ক্ষত্রবংশে ব্রাহ্মণগতিং ব্রাহ্মণরূপতাং গতাস্তে ।” এইরূপ অনেক ক্ষত্ৰিয়সস্তানই পুৰ্ব্বকালে ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন । ইতিপূৰ্ব্বে ক্ষত্রিয় শবে তাঁহাদের অনেকের পরিচয় দেওয়৷ श्रेब्रांप्छ् । बéभांन खांब्रउवांनैौ बांक्रभनिcशव्र भरक्षा ८ष विश्वाমিত্র, কৌশিক, কাং, আঙ্গিরস, মোগল্য, বাৎস্ত, কাৰ্যায়ন, শুনক, হারিত প্রভৃতি অনেক গোত্র দৃষ্ট হয়, তাহা ক্ষত্রোপেত গোত্র অর্থাৎ সেই সেই ব্রাহ্মণদিগের আদিপুরুষগণ সকলেই ক্ষত্রিয় ছিলেন ।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Datta, Bhupendranātha (১৯৭৭)। Bāṇgalāra itihāsa: sāmājika bibartana। Nababhārata Pābaliśārsa। পৃষ্ঠা ১৭। 
  2. "পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/১৮ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার"bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৬