ক্যাপ্টেন স্টর্মফিল্ড্স ভিজিট টু হ্যাভেন
"Extract from Captain Stormfield's Visit to Heaven" হলো মার্ক টোয়েনের লেখা একটি ছোটগল্প। এটি ১৯০৭ সালের ডিসেম্বর ও ১৯০৮ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম হার্পারস ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল, পরে ১৯০৯ সালে কিছু সংশোধনীসহ বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। মার্ক টোয়েনের জীবদ্দশায় প্রকাশিত এই গল্পটিই ছিলো তার শেষ কর্ম।[২]
লেখক | Mark Twain |
---|---|
দেশ | United States |
ভাষা | English |
প্রকাশক | Harper & Brothers |
প্রকাশনার তারিখ | 1909 |
মিডিয়া ধরন | Print (hardback) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | 121 [১] |
পূর্ববর্তী বই | Is Shakespeare Dead? |
পরবর্তী বই | Letters from the Earth |
বিবরণ এবং গল্পের রূপরেখা
সম্পাদনাক্যাপ্টেন এলিয়াস স্টর্মফিল্ডের কয়েক দশক ব্যাপী মহাজাগতিক ভ্রমণ এবং স্বর্গে তার অবস্থানের গল্প এটি। একটি ধূমকেতুর সাথে দৌড়ে ভুল জায়গায় চলে যাওয়ার পর, তার স্বল্পস্থায়ী আগ্রহ গান গাওয়া এবং বীণা বাজানোর প্রতি জাগ্রত হয় (স্বর্গ সম্পর্কে তার পূর্ব ধারণার কারণে )। একইসাথে তিনি স্বর্গের সেলিব্রিটিদের প্রতি আত্মাদের সাধারণ আকর্ষণের চিত্র তুলে ধরেন। এদের মধ্যে রয়েছেন আদম, মূসা এবং ইলিয়াস, যারা টোয়েইনের মতে স্বর্গের বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৃথিবীর জীবিত সেলিব্রিটিদের মতোই দূরবর্তী হয়ে ওঠে। টোয়েইন এই গল্পটি ব্যবহার করেছেন স্বর্গের সাধারণ ধারণা হাস্যকর এটা দেখানোর জন্য। তিনি তার বিশেষ অতিশয়োক্তি ব্যবহার দক্ষতার সাথে এমন বিশ্বাসের অসঙ্গতিগুলি তুলে ধরেন।
গল্পের বেশিরভাগ বর্ণনা এসেছে স্যান্ডি ম্যাকউইলিয়ামস নামের এক চরিত্রের কাছ থেকে, যিনি একজন ক্র্যানবেরি চাষী এবং স্বর্গের রীতিনীতি সম্পর্কে বেশ অভিজ্ঞ। নবাগত স্টর্মফিল্ড, যিনি একজন মহাকাশযাত্রী, তাকে স্যান্ডি কথোপকথনের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর আকারে বিবরণটি দেন। তিনি যে স্বর্গের বর্ণনা করেন তা প্রচলিত খ্রিস্টান স্বর্গের মতোই, তবে পৃথিবীর সমস্ত স্থানের একটি বৃহত্তর সংস্করণ রয়েছে, পাশাপাশি মহাবিশ্বের সর্বত্রই স্বর্গে রূপ পেয়েছে (যার সামান্য উল্লেখ, বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর শেষ উপাদান হিসেবে এখানে আছে)। সমস্ত বুদ্ধিমান জীবন-রূপ স্বর্গে ভ্রমণ করে, প্রায়ই আন্তঃগ্রহ বা আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশের মধ্য দিয়ে, এবং একটি নির্দিষ্ট গেটে (যার কোন সংখ্যা নেই) অবতরণ করে। সেই গেটগুলো নির্ধারিত ঐ গ্রহের মানুষদের জন্য সংরক্ষিত। প্রতিটি নবাগতকে অবশ্যই গেটরক্ষককে তার নাম এবং উৎপত্তিস্থল জানাতে হবে, যিনি পরে তাকে স্বর্গে পাঠিয়ে দেন। একবার ভিতরে গেলে, সেই সত্তা অনন্তকাল তাঁর মনের মতো জীবনযাপন করে, সাধারণত তার প্রকৃত (কখনও কখনও অনাবিষ্কৃত) প্রতিভা অনুযায়ী। এক চরিত্রের মতে, একজন মুচি যার "কবির আত্মা আছে, তার এখানে জুতা বানাতে হবে না," এটা বোঝায় যে সে এর পরিবর্তে কবিতার দিকে ঝুঁকবে এবং তাতে পরিপূর্ণতা অর্জন করবে। বিশেষ অনুষ্ঠানে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের একটি শোভাযাত্রা গঠিত হয়; এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বুদ্ধ, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, হোমার, মুহাম্মদ, ড্যানিয়েল, ইজেকিয়েল, এবং জেরেমিয়াহ সহ আরও বেশ কয়েকজন অন্যথায় অজানা ব্যক্তিদের দেখা যায়। এদের প্রতিভা পৃথিবীর কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল, কিন্তু যারা কখনও পৃথিবীতে বিখ্যাত ছিলেন না।
স্টর্মফিল্ড স্বর্গের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি জানতে পারেন যে দেবদূতদের ডানাযুক্ত, সাদা পোশাক পরিহিত, হালো, বীণা এবং তাল পাতা ধারণকারী চিরায়ত চিত্রটি মানুষের উপকারের জন্য তৈরি একটি মাত্র বিভ্রম। মানুষেরা ভুল করে "রূপক ভাষা" কে সঠিক বর্ণনা ভেবে নেয়। তিনি আরো জানতে পারেন যে স্বর্গের সকল বাসিন্দারা তাদের বয়স বেছে নেয়, এবং তাদের জীবনের সেই সময়টিকেই অমর করে রাখে যে সময়ে তারা সবচেয়ে বেশী সন্তুষ্ট ছিলেন। স্বর্গবাসীরা কোন নিষেধাজ্ঞার শিকার না হলে, তাদের মনের যেকোনো আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। এছাড়া তিনি জানতে পারেন স্বর্গে ভূ-স্বর্গের মতো প্রতিটি অঞ্চলে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যারা কখনও সেখানে বাস করেছে, ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Facsimile of the original 1st edition.
- ↑ Ketterer, David. Tales of Wonder - Notes, p. ix-x (1984)