ক্যাথেরিন অ্যাস্ট্রিড স্যালোম ক্যাথি ফ্রিম্যান, ওএএম (জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩) কুইন্সল্যান্ডের স্লেড পয়েন্টের ম্যাককে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় মহিলা স্প্রিন্টার। তিনি মূলতঃ ৪০০ মিটার দৌঁড়ে বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয় করে সকলের নজর কাড়েন।

ক্যাথি ফ্রিম্যান
২০০৮ সালে পোর্ট মোর্সবি এলাকায় ফ্রিম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামক্যাথেরিন অ্যাস্ট্রিড স্যালোম ক্যাথি ফ্রিম্যান
জাতীয়তাঅস্ট্রেলীয়
জন্ম (1973-02-16) ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ (বয়স ৫১)
স্লেড পয়েন্ট, ম্যাককে, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
শিক্ষাকুরালবিন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ফেয়ারহোম কলেজ, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়
উচ্চতা১৬৪ সেমি (৫ ফু ৫ ইঞ্চি)
ওজন৫৬ কেজি (৮ স্টো ১১ পা)[]
দাম্পত্য সঙ্গীস্যান্ডি বডেকার (১৯৯৯-২০০৩), জেমস মার্ক (২০০৯-বর্তমান)
ক্রীড়া
দেশঅস্ট্রেলিয়া
ক্রীড়াস্প্রিন্ট
প্রশিক্ষকব্রুস বারবার (সৎ পিতা), মাইক ড্যানিলা, পিটার ফরচুন
অবসর১ জুলাই, ২০০৩

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

শৈশবকালেই অ্যাথলেটিকসের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। সৎপিতা ব্রুস বারবার ছিলেন তার কোচ। এ সময়ে তিনি ১০০, ২০০ মিটার, উচ্চ লম্ফ এবং দীর্ঘ লম্ফে অনেকগুলো আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের শিরোপা ঘরে তোলেন।

১৯৮৭ সালে কুরালবিন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে পেশাদারী পর্যায়ের কোচ রোমানীয় মাইক ড্যানিলা তার প্রথম কোচ হন। কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে তাকে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন ড্যানিলা। তার এ অবদান পরবর্তীকালে ফ্রিম্যানের খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।[][][]

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

১৯৯০ সালে ১৬ বছর বয়সে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয় করেন।[] এরফলে তিনি প্রথম আদিবাসী হিসেবে এ সম্মাননা লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে ২০০ ও ৪০০ মিটার দৌঁড়ে স্বর্ণপদক পান। ১৯৯৬ সালের অলিম্পিকে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যারি-জোস পেরেকের পিছনে থেকে নিজস্ব সেরা ৪৮.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হন ও রৌপ্যপদক জয় করেন। ১৯৯৭ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের ৪০০ মিটার বিষয়ে প্রথম হন। ১৯৯৮ সালে আঘাতপ্রাপ্তির দরুন দৌঁড় থেকে বিরত থাকেন। ১৯৯৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের ৪০০ মিটারে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর ২০০০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটার দৌঁড়ে চ্যাম্পিয়ন হন। ঐ আসরেই তিনি মশাল প্রজ্জ্বলন করেন।[]

২০০৩ সালে অ্যাথলেটিকস থেকে অবসর নেয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপর সম্প্রদায়সহ দাতব্য কাজ-কর্মে সংশ্লিষ্ট হন। ২০০৭ সালে ক্যাথি ফ্রিম্যান ফাউন্ডেশন গঠন করেন।[] এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অবহেলিত চারটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সন্তানদের সাথে অস্ট্রেলীয় শিশুদের শিক্ষার ব্যবধান দূরীকরণে সচেষ্ট। ২০১২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলীয় আদিবাসী শিক্ষা সংস্থার দূতকর্ম পরিচালনা করেন।

২০০৯ সালে কুইন্সল্যান্ড স্পোর্ট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Cathy Freeman"sports-reference.com। Sports Reference LLC। ৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৪ 
  2. "Cathy Freeman: The athletic proud of Australia"। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. Sebastian Coe (১৪ জানুয়ারি ২০০১)। "Athletics: Making of a legend"। London: The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৮ 
  4. Eamonn Condon (২৭ মে ২০০১)। "Freeman, still on top of the world"The Electronic Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০০৮ 
  5. John Ashdown (১১ জানুয়ারি ২০১২)। "50 stunning Olympic moments No9: Cathy Freeman wins gold for Australia"The Guardian 
  6. TorchRelay – Photos: Cathy Freeman lights the Olympic Flame ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে. The Beijing Organizing Committee for the Games of the XXIX Olympiad.
  7. http://www.cathyfreemanfoundation.org.au/
  8. "Ms Catherine Freeman OAM"Queensland Sport Hall of Fame। qsport.org.au। ২৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৪ 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা


পুরস্কার ও স্বীকৃতি
পূর্বসূরী
  মারিওন জোন্স
বর্ষসেরা বিশ্ব মহিলা ক্রীড়াবিদ
২০০১
উত্তরসূরী
  জেনিফার কাপ্রিয়াতি
অলিম্পিক গেমস
পূর্বসূরী
  মোহাম্মদ আলী
গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মশালবাহক
সিডনি ২০০০
উত্তরসূরী
  নিকোলাস কাকলামানাকিস