কোষবিদ্যা
কোষবিদ্যা (ইংরেজি: Cytology; গ্রিক κύτος থেকে, kytos, "একটি ঠালা";[১] এবং -λογία, -লোজিয়া) একটি বিশুদ্ধ প্রাণিবিজ্ঞানের প্রধান শাখা, এ শাখায় কোষ, কোষের আকার, প্রকৃতি, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন, কোষবিভাজন ও শারীরবৃত্তীয় কাজ ইত্যাদি আলোচনা করা হয়[২]। কোষের বিভিন্ন প্রকারের কার্যপ্রণালীর কৌশল নিয়েও কোষবিদ্যায় আলোচনা করা হয়। কোষ হচ্ছে জীবদেহের একক। জীববিজ্ঞানে কোষবিদ্যা শাখায় সাধারণত দুই প্রকারের কোষ নিয়ে আলোচনা করা হয়; একটি উদ্ভিদ কোষ এবং অপরটি প্রাণিকোষ।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৬৬৫ খৃষ্টাব্দে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে ইংরেজ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক এর বোতলের ছিপির কোষ বা সেল আবিষ্কারই কোষতত্ব বা কোষবিদ্যার সূচনা করে। বিজ্ঞানী হুক ছিপিতে মৃত কোষ দেখেছিলেন, অর্থাত কেবল কোষ প্রাচীরই তিনি দেখতে পেরেছিলেন। এর পর ইতালীয় বিজ্ঞানী ম্যালপিঘি (Malpighi) ও ইংরেজ বিজ্ঞানী গ্রিউ (Grew) উদ্ভিদের টিস্যু বা কলা পরীক্ষার মাধ্যমে হুকের গবেষণাকে সমর্থন করেন। নিউক্লিয়াস আবিষ্কারের পরে জার্মান উদ্ভিদ বিজ্ঞানী Schleiden ও প্রানীবিজ্ঞানী Schwann কোষ মতবাদ গঠন করেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় কোষই হল জীবনের জন্যে প্রয়োজনীয় বস্তুর আধার এবং সব সজীব বস্তুই কোষ দ্বারা গঠিত। এর পরে প্রোটোপ্লাজম ও প্রোটোপ্লাস্ট আবিষ্কারে এই মতবাদের বিরুদ্ধ অর্গানিসম্যাল মতও সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানের যুগান্তকারী উন্নতির সাথে সাথে কোষবিদ্যার নতুন নতুন তথ্য ও তত্ত্ব আবিষ্কার হয়েছে[৩]।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |