কাজী শহীদুন নবী
কাজী শহীদুন নবী (কেএস নবী নামে পরিচিত) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
কাজী শহীদুন নবী | |
---|---|
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৬ – ১৯৯৮ | |
উত্তরসূরী | মাহমুদুল ইসলাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৪১/১৯৪২ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাকাজী শহীদুন নবীর জন্ম তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার ষোলঘর এলাকার কাজী বাড়িতে।[১]
পেশা
সম্পাদনাকাজী শহীদুন নবীকে ১৯৬১ সালে লন্ডনের লিংকন ইন বারে থেকে ডেকে আনা হয়েছিল।[২] তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল ল' কলেজের অনুষদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৬৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন।[৩]
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মুন্সীগঞ্জ -১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন এবং একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর কাছে হেরেছিলেন। ১৯৯৬-১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। [৪]
১৯৯৯ সালে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যার সাথে জড়িত, বিদেশে সরকারী গোপনতথ্য এবং দলিল সরবরাহ ও নারী পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ কর্তৃক গ্রেপ্তারের পরে তার আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাকাজী শহীদুন নবী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর কাজিনের ছেলে। [৬] তার বড় ছেলে কাজী রেহান নবী।[৭]
মৃত্যু
সম্পাদনা৮ জুলাই ২০১৮ সালে তিনি মারা যান। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কে এস নবীর ইন্তেকাল"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৮।
- ↑ "Year of Call 1961"। Barristers' Association of Bangladesh। ২২ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কে এস নবীর ইন্তেকাল"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৮।
- ↑ "List Of Chairmen Of The Bangladesh Bar Council"। barcouncil.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Police to probe movie moghul"। দ্য ডেইলি স্টার। ৮ জানুয়ারি ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Chowhdury, Zaglul (১৬ জুলাই ১৯৯৭)। "Kaiser Rasheed: A Tribute"। দ্য ডেইলি স্টার (মতামত)। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল কে এস নবীর ইন্তেকাল"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৮।