কেষ্টপুর খাল
কেষ্টপুর খাল উত্তর কলকাতার টালা অঞ্চলের গজনবী ব্রিজের নিকট, দেশবন্ধু পার্ক ও কলকাতা স্টেশনের কাছে সার্কুলার ক্যানেল বা বেলেঘাটা খাল থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে বাহিত হয়েছে। খালটি এরপর উল্টোডাঙার কাছে ভিআইপি ব্রিজ নীচ দিয়ে গিয়ে প্রথমে উত্তর পূর্বে বাহিত হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম সরণি ও বিধাননগর এলাকার সীমানা ধরে প্রায় ৩ কিমি চলে গিয়েছে। এরপর এটি দক্ষিণ অভিমুখে সল্ট লেক ও কেষ্টপুর এলাকার মাঝে প্রায় আড়াই কিমি প্রবাহিত হয়েছে। এরপর খালটি নয়াপট্টির কাছে ইস্টার্ণ ড্রেনেজ খাল বা সার্কুলার ক্যানেল সাথে মিলিত হয়েছে। খালটি এরপর থাকদাঁড়ি (কেএমডিএর সীমানা) হয়ে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং আরও পূর্ব দিকে বাহিত হয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স, ভোজেরহাট ও ভাঙড় হয়ে খালটি মাখালীর কাছে বিদ্যাধরী নদীতে পড়েছে। খালটির মোট দৈর্ঘ ৪০ কালোমিটারের মতো। খালটি প্রধানত উত্তর ও উত্তর পূর্ব শহরতলীর নিকাশী হিসাবে ব্যবহৃত হয় যার জন্য বর্তমানে খালটি জল দূষণের শিকার। খালের নাব্যতাও অনেক কমে গেছে।
কেষ্টপুর খাল | |
খাল | |
কেষ্টপুর খালের একটি চিত্র
| |
অবস্থান | কলকাতা মহানগর অঞ্চল |
---|---|
উৎস | সার্কুলার ক্যানেল |
- অবস্থান | চিৎপুর |
- উচ্চতা | ৮ মিটার (২৬ ফিট) |
মোহনা | বিদ্যাধরী নদী |
- অবস্থান | বিধাননগর, নয়াপট্টি |
- উচ্চতা | ৭.৬ মিটার (২৫ ফিট) |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯১০ |
|
ইতিহাস
সম্পাদনাখালটি ১৯১০ সালে খনন করা হয়।একটি সেই সময় এটি কলকাতার একটি বানাজ্যিক খাল হিসাবে ব্যবহৃত হত। খালটিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কলকাতায় পণ্য বোঝাই নৌকা নোঙর করত। এছাড়া খালটি কলকাতার অন্যতম নিকাশি হিসাবে ব্যবহৃত হত।
সমস্যা
সম্পাদনাখালটি বর্তমানে পলি ও বর্জ্য পদার্থ দ্বার মজে গেছে।ফলে খালটি নিকাশি হিসাবে উপযুক্ত নয়।ফলে প্রতি বছর বর্ষায় খাল ছাপিয়ে বসতি এলাকায় জল জমে।এছাড়া জমা জলে মশার উৎপাত বারে এবং মশা বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।[১]
খালের সৌন্দর্যায়ন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "কেষ্টপুর খালের পাঁকে নিখোঁজ কাগজকুরানি"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ০৪-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]