কেমেত ধর্ম
কেমেট ধর্ম বা কেমেটিক ধর্ম ( উভয় শব্দদ্বয় মিশরীয় কেমত যা সাধারণত কেমেত উচ্চারিত হয়, প্রাচীন মিশরের স্থানীয় নাম থেকে এসেছে) মাঝে মাঝে একে নেটার ধর্ম ( কপটিক ⲛⲟⲩⲧⲉ noute মানে " দেবতা "), বা মিশরীয় নব্যপৌত্তলিকবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যা প্রাচীন মিশরীয় ধর্মের পুনরুজ্জীবন। প্রাচীন মিশরীয় ধর্মের শাস্ত্র ও ধর্ম সম্পর্কিত অভিব্যক্তির পুনরুদ্ধার ১৯৭০ এর দশকে শুরু হয়েছিল। যিনি কেমেট ধর্মের অনুসারীরা কেমেটিক বলে পরিচিত। [১]
এই ধর্মের বেশ কয়েকটি প্রধান গোষ্ঠী রয়েছে। যার প্রত্যেকটির ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। কেউ সারগ্রাহী কেউ পুনর্গঠনবাদী । এদেরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে: পুনর্গঠনবাদী কেমেটিক (যারা প্রাচীন মিশরীয় ভাষাতাত্ত্বিক এবং পণ্ডিত ), সমকালীন কেমেটিক এবং একত্ববাদী কেমেটিক সনাতনপন্থা। কেমেটিক সনাতনপন্থা এই ধর্মের একটি নতুন অভিনব সংযোজন। [২]
পূজা
সম্পাদনাকেমেট ধর্মের অনুসারীরা সাধারণত কয়েকজন দেব-দেবীর পূজা করে। তারা হলেন মাআত, বাস্তেট, আনুবিস, সেখমেট, থোথ ও অন্যান্যরা। কিন্তু তারা প্রত্যেক দেব-দেবীর অস্তিত্ব স্বীকার করে। তারা পূজায় সাধারণত প্রার্থনা করা হয় বেদী স্থাপন করে। কিন্তু এই ধর্মের পূজার জন্য কোন নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই। বেদীতে মোমবাতি, নৈবেদ্য বা মূর্তি থাকে।
আরও দেখুন
সম্পাদনা- মিশরীয় পুরাণ
- হারমেটিক ধর্ম
- নব্যপৌত্তলিক আন্দোলনের তালিকা
- আধুনিক পৌত্তলিকতা
মন্তব্য
সম্পাদনা
- ↑ Daugherty, Michelle (২ অক্টোবর ২০১৪)। "Kemetism. Ancient Religions in our Modern World"। Michigan State University। USA। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Harrison, PM (2012). Profane Egyptologists: The Revival and Reconstruction of Ancient Egyptian Religion. UCL (University College London).
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- মেরিলিন সি ক্রগ; ব্রুক অ্যাশলে পিলিফ্যান্ট, কেমেটিক সনাতনপন্থা: ইন্টারনেটে প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম: একটি গবেষণা নোট, ধর্মের সমাজবিজ্ঞান (২০০৪)।
- এলেন ক্যানন রিড, আইসিসের বৃত্ত: আধুনিক জাদুকরদের জন্য প্রাচীন মিশরীয় যাদু (২০০২),আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৬৪১৪-৫৬৮-০।
- জেজি মেল্টন, আমেরিকীয় ধর্মের এনসাইক্লোপিডিয়া, ৫ম সংস্করণ, ডেট্রয়েট (১৯৯৬)।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে কেমেত ধর্ম সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।