কেন ফলেট
কেন ফলেট (জ. জুন ৫, ১৯৪৯) ব্রিটিশ রোমাঞ্চ এবং ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা। তার রচনায় ইতিহাস, রোমাঞ্চ এবং আদর্শিক দ্বন্দ্বের সুস্পষ্ট এবং যৌথ উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।
জীবনী
সম্পাদনাকেন ফলেট ব্রিটেনের ওয়েল্সের কার্ডিফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বা মার্টিন ফলেট এবং মা ভিনি ফলেট। জন্মের ১০ বছর পর তার পুরো পরিবার কার্ডিফ থেকে লন্ডন চলে আসে। বাবা-মা ছিলেন ধার্মিক খ্রিস্টান। তাই স্বাচ্ছন্দে টিভি এবং চলচ্চিত্র দেখা তার হয়ে উঠতো না। এজন্যই ছোটবেলা থেকে অবসর কাটানোর জন্য বই পড়া তার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তবে টিন বয়সে পড়ার আগে পড়াশোনা ছাড়া তেমন কিছুই করেননি ফলেট। পড়াশোনায় সাফল্য পান, আর তাই ১৯৬৭ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ভর্তি হতে সক্ষম হন। এই কলেজে তিনি দর্শন পড়তেন এবং এখান থেকেই বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে মেরিকে বিয়ে করেন যা ছিল তার প্রথম বিয়ে।
১৯৭০ সালের শরতে ফলেট স্নাতক সম্পন্ন করে সাংবাদিকতার উপর তিন মাসের একটি স্নাতকোত্তর কোর্সে অংশ নেন। এই কোর্স শেষে কার্ডিফের সাউথ ওয়েল্স ইকো নামক পত্রিকায় শিক্ষানবিস প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। তিন বছর ওয়েল্সে থাকার পর ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সাধারন-এসাইনমেন্ট প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে লন্ডন ফিরে যান। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশাটিকে তার কাছে খুব একটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছিল না। আর তাই সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে পুস্তক প্রকাশের কাজ শুরু করেন এবং ১৯৭০ দশকের শেষ দিকে এভারেস্ট বুক্স প্রকাশনীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে কাজ করতে থাকেন। সন্ধ্যা এবং সাপ্তাহিক ছুটির সময়গুলোতে তিনি শখ হিসেবে গল্প লিখতেন। এই লেখালেখি করে প্রতিনিয়ত কিছু সফলতা পাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৮ সালে বিখ্যাত উপন্যাস আই অফ দ্য নিড্ল প্রকাশিত হবার পর তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। বই প্রকাশের অর্থে তিনি বেশ ধনী হয়ে যান। পরবর্তীতে ফলেটের অনেক উপন্যাসই বেস্ট-সেলার মর্যাদা লাভ করেছে এবং বেশ কয়েকটির কাহিনীর উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মীত হয়েছে।
১৯৭০ দশকের শেষ দিকে ফলেট ব্রিটেনের লেবার পার্টর রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুবাদে তার সাথে বারবারা ব্রোয়ারের পরিচয় হয় যিনি পার্টির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। বারবারার সাথে ১৯৮৪ সালে তার বিয়ে হয়। ১৯৯৭ সালে বারবারা ফলেট স্টিভেনেজ থেকে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ এবং ২০০৫ সালেও তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন এবং এখনও এ পদেই বহাল আছেন। ফলেট নিজে লেবার পার্টির একজন একনিষ্ঠ সমর্থক এবং এর জন্য তিনি অর্থ সংগ্রহের কাজ করে থাকেন।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনারচনাবলীর তালিকা
সম্পাদনা- The Big Needle (১৯৭৪) (সায়মন মাইল্স নামে লিখেন) (যুক্তরাষ্ট্রে The Big Apple নামে প্রকাশিত হয়)
- The Big Black (১৯৭৪) (সায়মন মাইল্স নামে)
- The Big Hit (১৯৭৫) (সায়মন মাইল্স নামে)
- The Shakeout (১৯৭৫)
- The Bear Raid (১৯৭৬)
- Amok: King of Legend (১৯৭৬) (বার্নার্ড এল রস নামে)
- The Modigliani Scandal (১৯৭৬) (জ্যাকারি স্টোন নামে)
- The Mystery Hideout (১৯৭৬) (মার্টিন মার্টিনসেন নামে) (The Secret of Kellerman's Studio নামেও প্রকাশিত হয়)
- The Power Twins (১৯৭৬) (মার্টিন মার্টিনসেন নামে)
- Paper Money (১৯৭৭) (জ্যাকারি স্টোন নামে)
- Capricorn One (১৯৭৭) (বার্নার্ড এল রস নামে) (পিটার হিয়াম্সের স্ক্রিনপ্লে'র উপর ভিত্তি করে লিখিত)
- আই অফ দ্য নিড্ল (১৯৭৮) (Storm Island নামেও প্রকাশিত হয়) (১৯৭৯ সালে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে এডগার পুরস্কার লাভ)
- Heist of the Century (১৯৭৮) (রেনে লুই মরিস এবং অন্যান্যদের সাথে যৌথভাবে) (যুক্তরাষ্ট্রে The Gentleman of 16 July নামে প্রকাশিত) (Under the Streets of Nice, Robbery Under the Streets of Nice নামেও প্রকাশিত হয়েছে)
- Triple (১৯৭৯)
- The Key to Rebecca (১৯৮০)
- দ্য ম্যান ফ্রম সেন্ট পিটার্সবার্গ (১৯৮২) (শেখ আবদুল হাকিমকৃত বাংলা অনুবাদের নাম আততায়ী, সেবা প্রকাশনী)
- On Wings of Eagles (১৯৮৩)
- Lie Down with Lions (১৯৮৬)
- The Pillars of the Earth (১৯৮৯)
- Night Over Water (১৯৯১)
- A Dangerous Fortune (১৯৯৩)
- A Place Called Freedom (১৯৯৫)
- The Third Twin (১৯৯৬)
- The Hammer of Eden (১৯৯৮)
- Code to Zero (২০০০)
- Jackdaws (২০০১)
- Hornet Flight (২০০২)
- Whiteout (২০০৪)
- World Without End (২০০৭)
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Ken Follett's Website
- Ken Follett Dutch fansite with covers ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে
- 1983 Audio Interview of Ken Follett with Don Swaim, RealAudio
- কার্লিতে Ken Follett (ইংরেজি)