কেনিয়া এয়ারওয়েজ
কেনিয়া এয়ারওয়েজ লিমিটেড, সাধারনভাবে কেনিয়া এয়ারওয়েজ হিসাবে পরিচিত, হচ্ছে কেনিয়ার জাতীয় বিমান পরিবহনকারী সংস্থা।[৫] প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৭ সালে ইস্ট আ্ফ্রিকান এয়ারওয়েজ এর বিলুপ্তির পর প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় নাইরোবির এমবাকাসিতে,এবং এর চলাচলের প্রধান কেন্দ্রস্থল হচ্ছে জোমো কেনিয়াট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।[৬]
| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ২২ জানুয়ারি ১৯৭৭ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ | ||||||
হাব | |||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম | ফ্লাইং ব্লু | ||||||
জোট | স্কাই টিম | ||||||
অধীনস্ত কোম্পানি |
| ||||||
বিমানবহরের আকার | ৪৫ | ||||||
গন্তব্য | ৬২[২] | ||||||
প্রধান কার্যালয় | এম্বাকাছি, নাইরোবি, কেনিয়া | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি |
| ||||||
আয় | KSh116,158 million (FY 2016)[৩] | ||||||
পরিচালন আয় | –KSh৪০৯৩ million (এফওয়াই ২০১৬)[৪] | ||||||
নিট আয় | –KSh৩৪৭৯ million (এফওয়াই ২০১৬)[৪] | ||||||
লাভ | −KSh২৬০৯৯ million (এফওয়াই ২০১৬) | ||||||
=মোট সম্পদ | ১৫৮৪১৫ million (এফওয়াই ২০১৬)[৪] | ||||||
কর্মচারী | ৩৯৮৬ | ||||||
ওয়েবসাইট | kenya-airways |
ইতিহাস
সম্পাদনাকেনিয়া এয়ারওয়েজ ১৯৭৭ সালের ২২ জানুয়ারি কেনিয়া সরকারের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, পূর্ব আফ্রিকান ঐক্যজোট ভেঙ্গে যাওয়ার পর এবং ইস্ট আফ্রিকান এয়ারওয়েজ(ইএএ)এর বিলুপ্তির পরে।[৭][৮] [৯] ১৯৭৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি,[৯] বিট্রিশ মিডল্যান্ড এয়ারওয়েজ হতে লীজ নেওয়া দুটি বোয়িং ৭০৭-৩২১এস এর মাধ্যমে প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়, নাইরোবি-ফ্রাঙ্কফুর্ট-লন্ডন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে।[১০] দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এবং দেশের বাহিরে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে, বিমানসংস্থাটি পূর্বের ইস্ট আফ্রিকান এয়ারওয়েজ(ইএএ)এর সদস্য থাকা অবস্থায় যে বিমানগুলো তাদের ছিল, সে বিমানগুলো ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে ছিল একটি ডগলাস ডিসি-৯-৫২ এবং তিনটি ফকার এফ-২৭-২০০এস।[এনবি১] এয়ারলাইনটি ১৯৭৭ সালের শেষের দিকে নর্থওয়েস্ট ওরিয়েন্ট হতে তিনটি বোয়িং ৭০৭এস বিমান নেয়। পরের বছর, বিমানসংস্থাটি একটি চার্টার সাবসিডিয়ারি গঠন করে, যার নাম দেয়া হয় কেনিয়া ফ্লেমিঙ্গো এয়ারলাইন্স, যে সাবসিডিয়ারিটি তার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কেনিয়া এয়ারওয়েজ হতে আন্তর্জাতিক যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য বিমান লীজ নেয়। শুরুর বছরগুলোতে এয়ার লিঙ্গাস কেনিয়া এয়ারওয়েজকে কারিগরী এবং ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা প্রদান করে থকে।
১৯৮০ সালের জুলাই মাসে, সংস্থাটিতে ২,১০০ জন কর্মী বহাল ছিল। এছাড়া সেই সময়ে বিমান সংস্থাটির অধিকারে তিনটি বোয়িং ৭০৭-৩২০বিএস, একটি ডিসি-৯-৩০ এবং তিনটি ফকার এফ-২৭-২০০এস ছিল। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের পাশাপাশি কেনিয়া এয়ারওয়েজের বিমানগুলো বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটেও চলাচল করত।
কর্পোরেট বিষয়সমূহ
সম্পাদনাসদর দপ্তর
সম্পাদনাকেনিয়া এয়ারওয়েজ লিমিটেড এর সদর দপ্তর বা প্রধান কার্যালয় নাইরোবির এমবাকাসিতে অবস্থিত। ২০১৬ সালে জুলাই মাস অনুসারে বিমান সংস্থাটির চেয়ারম্যান হলেন ডেনিস আওয়রি।
গন্তব্যস্থলসমূহ
সম্পাদনা২০১৬ সালের জুলাই মাস অনুসারে, কেনিয়া এয়ারওয়েজর বিমানসমূহ বিশ্বের ৫৪টি গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করে থাকে। এই ৫৪টি গন্তব্যস্থল এর মধ্যে ৪৪টি গন্তব্যস্থল আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য। [১১]
কোড শেয়ার চুক্তি
সম্পাদনা২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস অনুযায়ী নিন্মের এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে কেনিয়া এয়ারওয়েজ এর কোড শেয়ার চুক্তি রয়েছে।
পরিচালিত বিমানসমূহ
সম্পাদনা২০১৬ সালের মে মাস অনুসারে কেনিয়া এয়ারওয়েজের বিমানবহরে নিন্মের বিমানগুলো রয়েছে।[৬]
বোয়িং ৭৩৭-৩০০(২টি), বোয়িং ৭৩৭-৭০০(৪টি), বোয়িং ৭৩৭-৮০০(৮টি), বোয়িং ৭৩৭-২০০ইআর(৪টি), বোয়িং ৭৩৭-৩০০ইআর(৩টি), বোয়িং ৭৮৭-৮(৭টি), বোয়িং ৭৩৭-৩০০এফ(২টি), এমব্রায়ার ইআরজে-১৯০(১৫টি)।
কেবিন
সম্পাদনাইকোনমি ক্লাস
সম্পাদনাকেনিয়া এয়ারওয়েজ এর ইকোনমি ক্লাস কেবিন এর আসনগুলো আধুনিক, স্লীম লাইন এবং আরামদায়ক। প্রতিটি আসনের সাথে একটি সংযুক্ত হেডরেস্ট, পারসোনাল সিট-ব্যাক ভিডিও স্ক্রীণ রয়েছে। বিমানগুলোতে আসনগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব সাধারণত ৩২ ইঞ্চি(সামনে-পিছনে)।
বিজনেস ক্লাস
সম্পাদনাকেনিয়া এয়ারওয়েজের বিজনেস ক্লাস বা প্রিমিয়ার ওয়ার্ল্ড ক্লাস কেবিনগুলো বিমানগুলোর সামনের অংশে অবস্থিত। বিজনেস ক্লাস এর আসনগুলো অত্যন্ত মানসম্মত এবং আরামদায়ক। আসনগুলোকে একটি বোতামের সাহায্য নিয়ে আরামদায়ক বিছানায় পরিণত করা যায়। কেবিনগুলোতে যাত্রীদের জন্য পারসোনাল টিভি স্ক্রীণ এর ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আসনগুলোর সাথে ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ডিভাইস চার্জ করার সুবিধার উদ্দেশ্যে পাওয়ার পয়েন্ট সংযুক্ত রয়েছে।
সার্ভিসসমূহ
সম্পাদনাভ্রমণাবস্থায় ক্যাটারিং
সম্পাদনাকেনিয়া এয়ারওয়েজ এর বিমানগুলোতে যাত্রীদের জন্য সুস্বাদু এবং মানসম্মত খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের পানীয় পরিবেশিত হয়ে থাকে।
ভ্রমণাবস্থায় বিনোদন
সম্পাদনাসাধারণভাবে কেনিয়া এয়ারওয়েজের যাত্রীদের আনন্দদায়ক ভ্রমণের লক্ষ্যে বিমানগুলোতে অডিও, ভিডিও, মিউজিক অথবা গেমস ইত্যাদি বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
রেফারেন্স
সম্পাদনা- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Profile on Kenya Airways
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;SkyTeam Fact Sheet
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Summary Audited Group Results for the Year Ended 31 March 2016" (পিডিএফ)। Kenya Airways Limited। ২৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ গ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;এফওয়াই ২০১৬
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ O'Keeffe, Niall (৭ আগস্ট ২০১৩)। "Fire closes Nairobi's Jomo Kenyatta airport"। Flightglobal। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৬।
Flag carrier Kenya Airways has confirmed that all flights from the airport have been cancelled until further notice.
- ↑ ক খ "Kenya Airways"। SkyTeam। ৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৬।
Hub airport: Jomo Kenyatta International Airport
- ↑ Buyck, Cathy (১ নভেম্বর ২০১০)। "Kenya Airways' Uplifting Mission"। Air Transport World। ১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Kenya Airways and Ethiopian Airways compete for Nairobi and Addis hub power as Gulf carriers expand"। Centre for Aviation। ২১ জানুয়ারি ২০১৩। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "AFRAA Current Members"। African Airlines Association। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Kenya Airways Destinations"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Airliner market"। Flight International: 937। ১ অক্টোবর ১৯৭৭। ১ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৬।
Kenya Airways has purchased three Boeing 707s from Northwest Orient