কেতুরা
কেতুরা (হিব্রু ভাষায়: קְטוּרָה ,Qəṭūrā, সম্ভাব্য অর্থ "সুগন্ধ";[১] আরবি: قطورة) বাইবেলের আদিপুরুষ, আদিপুস্তকের কুলপিতা আব্রাহামের স্ত্রী[২] এবং উপপত্নী[৩] ছিলেন। আদিপুস্তক অনুসারে, আব্রাহাম তার প্রথম স্ত্রী সারাহর মৃত্যুর পর কেতুরাকে বিয়ে করেছিলেন। আব্রাহাম ও কেতুরা দম্পতির ছয় পুত্র ছিল।[২] ইহুদি ঐতিহ্য অনুসারে, তিনি নোহের পুত্র ইয়াফেসের বংশধর ছিলেন।[৪]
কেতুরা | |
---|---|
দাম্পত্য সঙ্গী | আব্রাহাম |
সন্তান | জিমরান (পুত্র) য়োকশান (পুত্র) মেদান (পুত্র) মিদিয়ান (পুত্র) ইশবাক (পুত্র) শুয়াহ (পুত্র) |
আত্মীয় | শেবা (পৌত্র) ডেডান (পৌত্র) এফাহ (পৌত্র) এফের (পৌত্র) ইনোক (পৌত্র) আবিদা (পৌত্র) এলডাহ (পৌত্র) আশুরিম (প্রপৌত্র) লেতুশিম (প্রপৌত্র) লেউমিম (প্রপৌত্র) সারাহ (সতিন) নাহোর (ভাসুর) হারান (ভাসুর) তেরাহ (শ্বশুর) |
হিব্রু বাইবেলের একজন আধুনিক ভাষ্যকার কেতুরাকে "তোরাহে সবচেয়ে উপেক্ষিত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি" বলে অভিহিত করেছেন।[৫] মধ্যযুগীয় ইহুদি ভাষ্যকার রাশি, এবং কিছু পূর্ববর্তী রব্বি ভাষ্যকারদের একটি ঐতিহ্যগত বিশ্বাস অনুযায়ী কেতুরা ও হাগার একই ব্যক্তি ছিলেন, যদিও এই ধারণাটি বাইবেলে পাওয়া যায় না।[৫] যদিও হাগার, আব্রাহামের অপর পত্নী সারাহ'র মিশরীয় দাসী ছিলেন।[৬]
সূত্র
সম্পাদনাকেতুরার নাম হিব্রু বাইবেলের দুটি অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে: প্রথমত আদি পুস্তকে[২] অতপর বংশাবলির প্রথম পুস্তকে[৩] এছাড়াও, প্রথম শতাব্দীর রোমান ইহুদি ইতিহাসবিদ জোসেফাসের গ্রিক ভাষায় রচিত ইউওডাইকে আরকিওলজিকা,[৭] তালমুদ, মিদ্রাশ, তোরাহের তারগুম, জেনেসিস রাব্বাহ এবং ইহুদি ধর্মতাত্ত্বিক ও দার্শনিকদের বিভিন্ন লেখায় তার উল্লেখ আছে।[৮]
কেতুরা সম্পর্কে গ্রীক সভ্যতা বিষয়ে পারদর্শী লুইস ফেল্ডম্যান বলেছেন "জোসেফাস প্রসিদ্ধ অ-ইহুদি বহুবিদ্যাবিশারদ আলেকজান্ডার পলিহিস্টরের প্রমাণ সংরক্ষণ ও বরাত দিয়েছেন; যিনি (পলিহিস্ট্রর) ঘুরেফিরে ঐতিহাসিক ক্লিওডেমাস ম্যালকাসকে উদ্ধৃত করেছেন, যিনি বলেছেন যে কেতুরা ও আব্রাহামের (ঔরষজাত) দুই পুত্র আফ্রিকায় হেরাক্লিসের অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। সন্দেহাতীত ভাবে হেরাক্লিস সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রীক বীর ছিলেন, যিনি তাদের (দুই পুত্রের) কোন একজনের কন্যাকে বিয়ে করেছেন।"[৯]
নৃবিজ্ঞানের ডক্টর পউলা এম. ম্যাকনাটের মতে, এটি সাধারণত স্বীকৃত যে আদিপুস্তকে লিপিবদ্ধ বাইবেলের ঐতিহ্যগুলিতে দ্বিতীয় সহস্রাব্দের প্রথম দিকে (সাধারণ সালের পূর্বাব্দে) কেনান বা তার আশেপাশে পরিচিত ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত আব্রাহাম এবং তার পরিবার সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু নেই।[১০]
আব্রাহামের সাথে সম্পর্ক
সম্পাদনাকেতুরাকে আদিপুস্তকে আব্রাহামের "অপর স্ত্রী" উল্লেখ করা হয়েছে।[২] (হিব্রু ভাষায়: אִשָּה, রোমানীকরণ:'išāh, অনুবাদ:স্ত্রী, নারী)[১১] বংশাবলির প্রথম পুস্তকে তাকে আব্রাহামের "উপপত্নী" বলা হয়েছে।[৩] (হিব্রু ভাষায়: פִּילֶגֶשׁ, রোমানীকরণ:pilegeš, অনুবাদ:উপপত্নী)[১১]
মিদ্রাশ সম্পর্কিত কর্ম ও ভাষ্য জেনেসিস রাব্বাহের একটি মত অনুসারে কেতুরা এবং হাগার একই ব্যক্তির দুই নাম, যাকে আব্রাহাম প্রথমে বহিষ্কার করার পর পুনরায় বিয়ে করেছিলেন।[১২] মতবাদটি তালমুদ ও হিব্রু বাইবেলের ১১ শতকের ভাষ্যকার/পন্ডিত রাশি কর্তৃক গৃহীত ও জনপ্রিয় হয়েছিল।[৫][১৩] এই মতের সম্ভাব্য ন্যায্যতা ১ বংশাবলি ১:৩২-এর অন্তর্গত; যেখানে কেতুরাকে (একবচনে) আব্রাহামের উপপত্নী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে,[১৪] এবং আরও কয়েকটি পঙ্তি ইঙ্গিত দেয় যে, হাগার এবং কেতুরার বংশধররা একই অঞ্চলে বাস করেছিল বা গঠিত হয়েছিল; বা তারা একই জাতিগোষ্ঠীর ব্যক্তি।[১৫] তবে এধারণা জেনিসিস রাব্বাহ'র একজন রব্বি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন,[১২] আব্রাহাম ইবনে ইযরা, নাহমানাইডিস এবং রাশবামের মতো ঐতিহ্যবাহী ভাষ্যকাররাও এই ধারণা প্রত্যাখান করেন।[৫] ইহুদিদের এপোক্রিফা জুবিলি পুস্তকের বর্ণনানুসারে আব্রাহাম কেতুরাকে বিয়ে করার আগে হাগারের মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। জুবিলি পুস্তকের ১৯তম অধ্যায়ের ১১শ পঙতির বর্ণনা কেতুরাহ ও হাগার - দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি হওয়ার মতকে সমর্থন করে।[১৪] আধুনিক পণ্ডিত রিচার্ড এলিয়ট ফ্রিডম্যানের মতে, হাগারের সাথে কেতুরাকে (একই ব্যক্তি হিসেবে) সনাক্তকরণের "পাঠে কোন ভিত্তি নেই..."।[৫]
জেনেসিস রাব্বাহ কেতুরার নামের ব্যাখ্যা করেছে এই মতানুসারে যে তিনি ও হাগার অভিন্ন ব্যক্তি ছিলেন। নামটি আরামাইক ভাষার শব্দ কেতুর (অর্থ "গিঁট" বা "আবদ্ধ থাকা")-এর সাথে সম্পর্কিত বলে জেনেসিস রাব্বাহে বলা হয়েছে। শব্দটি দিয়ে তার আব্রাহামকে ছেড়ে চলে যাওয়া ও ফিরে আসার মাঝের সময়ে অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক না করে, আব্রাহামের সাথে "আবদ্ধ" থাকাকে বুঝিয়েছে। কেতুরা নামটি বিকল্পভাবে হিব্রু কেটোরেট (হিব্রুতে যার অর্থ "ধূপ") থেকে এসেছে বলে জেনেসিস রাব্বাহে বর্ণনা আছে।[৪]
বংশধর
সম্পাদনাকেতুরা অব্রাহামের ছয় পুত্র: জিমরান, য়োকশান, মেদান, মিদিয়ান, ইশবাক এবং শুয়াহ'র জন্মদাত্রী। আদিপুস্তক ও প্রথম বংশাবলিতে তাদের ছয় জন পৌত্রের নাম আছে (শেবা, ডেডান, এফাহ, এফের, ইনোক, আবিদা ও এলডাহ)।[২][৩] আদিপুস্তকের বর্ণনানুসারে সারাহ'র পুত্র আইজ্যাককে তাঁর প্রাথমিক উত্তরাধিকারী মনোনীত করা আগে আব্রাহাম কেতুরার পুত্রদের উপহার দিয়ে পূর্ব দিকে পাঠিয়েছিলেন। কেতুরার ছেলেরা ইসরায়েলের দক্ষিণ ও পূর্বে বসবাসকারী আরব উপজাতিদের প্রতিনিধিত্ব করত বলে জানা গেছে (আদিপুস্তক ২৫:১-৬)।[১৬] যিহূদিয়া লেখক জোসেফাস এবং ম্যালকাসের মতে, পিউনিক বা কার্থেজিয় লোকেরা এফেরের বংশধর।[১৭]
আফ্রিকার লেখক ওলাউদাহ ইকুয়ানোর মতে, আঠারো শতকের ইংরেজ ধর্মতাত্ত্বিক জন গিল বিশ্বাস করেছিলেন যে আফ্রিকার জনগণ আব্রাহাম এবং কেতুরার বংশধর।[১৮] বাহাই লেখক জন অ্যাবলের মতে, বাহাইরা তাদের প্রতিষ্ঠাতা বাহাউল্লাহকে আব্রাহাম ও সারাহ এবং পৃথকভাবে আব্রাহাম ও কেতুরা উভয় দম্পতির বংশধর বলে মনে করেন।[১৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ শোলেন, ডেভিড জে (১৯৯৩)। "Caravans, Kenites, and Casus Belli: Enmity and Alliance in the Song of Deborah" [ক্যারাভান্স, কেনাইটস এবং ক্যাসাস বেলি: ডেবোরার গানে শত্রুতা এবং বন্ধুতা]। দ্য ক্যাথলিক বিবলিকাল কোয়ার্টারলি (ইংরেজি ভাষায়)। ৫৫ (১): ১৮–৩৮। জেস্টোর 43721140।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ আদিপুস্তক ২৫:১–৪ (১৯১৭ [আমেরিকার ইহুদি প্রকাশনা সোসাইটি] অনুবাদ). "এবং আব্রাহাম আরেকজন স্ত্রী গ্রহণ করলেন, এবং তার নাম ছিল কেতুরা...."
- ↑ ক খ গ ঘ ১ বংশাবলি ১:৩২–৩৩ (১৯১৭ [আমেরিকার ইহুদি প্রকাশনা সোসাইটি] অনুবাদ). "এবং কেতুরার পুত্ররা, আব্রাহামের উপপত্নী...."
- ↑ ক খ "Keturah" কেতুরা। এনসাইক্লোপেডিয়া.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-২৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ ফ্রিডম্যান, রিচার্ড ইলিওট (২০০১)। Commentary on the Torah [তোরাহ'র ভাষ্য] (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক শহর: হার্পারকলিন্স। পৃষ্ঠা ৮৫। আইএসবিএন 0-06-062561-9।
- ↑ "আদিপুস্তক ১৬:১"। সেফারিয়া ডট অর্গ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৯।
- ↑ জোসেফাস, ফ্লাভিয়াস (১৯৩০)। জোসেফাস: জিউইশ এন্টিকুইটিস, বুকস I–IV [জোসেফাস: ইহুদিদের পুরাকীর্তি, বই I–IV] (ইংরেজি ভাষায়)। থ্যাকারে, এইচ সেইন্ট জে কর্তৃক অনূদিত। উইলিয়াম হ্যানিম্যান লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১১৭ (বই ১, অধ্যায় ১৫, অনুচ্ছেদ ২৩৮)।
- ↑ হ্যারিস, মরিস (১৯০১)। The Talmud Midrashim and Kabbala [তালমুদ মিদ্রাশবাদ এবং কাবালা] (ইংরেজি ভাষায়)। এম ওয়াল্টার ডান। পৃষ্ঠা ২৪১। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৩।
- ↑ ফেল্ডম্যান, লুইস এইচ (১৯৯৮)। Josephus's Interpretation of the Bible [জোসেফাস কর্তৃক বাইবেলের ব্যাখ্যা] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ১৩৪। আইএসবিএন 9780520208537। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৫।
- ↑ ম্যাকনাট, পউলা এম (১৯৯৯)। Reconstructing the Society of Ancient Israel [প্রাচীন ইসরায়েলের সমাজ পুনর্গঠন]। ওয়েস্টমিনিস্টার জন নক্স প্রেস। পৃষ্ঠা ৪১। আইএসবিএন 978-0-664-22265-9। ২০১৬-১২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৮।
- ↑ ক খ স্ট্রং, জেমস (১৮৯০)। The Exhaustive Concordance of the Bible [বাইবেলের সম্পূর্ণ নির্ঘন্ট] (ইংরেজি ভাষায়)। হিব্রু শব্দ#৩৭৬: אִשָּה, অনুবাদ- নারী; হিব্রু শব্দ# ৬৩৭০: פִּילֶגֶשׁ, অনুবাদ- উপপত্নী। সিনসিনাটি: জেনিংস এন্ড গ্রাহাম।
- ↑ ক খ "বেরেশিত রাব্বাহ ৬১:৪"। সেফারিয়া ডট অর্গ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২২।
- ↑ ইতঝাকি, শ্লোমো। "বেরেশিত ২৫ পারাশাত ছায়ি সারাহ"। আলহাতোরাহ ডট অর্গ (হিব্রু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ ক খ সিংগার, ইসাডোর; এডলার, সাইরাস, সম্পাদকগণ (১৯০৭)। "Keturah" [কেতুরা]। দ্য জিউইশ এনসাক্লোপেডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক: ফান্ক এন্ড ওয়াগনাল্স। ২০১৩-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-১৩।
- ↑ ১ বংশাবলি ৫:১৮-২০ তে "হ্যাগ্রিটস" (হাগারের বংশধর?) ব্যবহার হয়েছে যা দ্বারা বোঝায় যারা পরবর্তীতে একই অঞ্চলে বসবাস করতেন যেটি কেতুরার বংশধরদের দ্বারা বসবাসকারী বলে পরিচিত ছিল। এছাড়াও আদিপুস্তক ৩৭-এ "মেদানাইটস" (আপাতদৃষ্টিতে কেতুরাহ থেকে বংশোদ্ভূত) এবং "ইসমাইলীরা" (হাগার থেকে বংশোদ্ভূত) বিনিময়যোগ্য বলে মনে হয়। বিচারকর্তৃগণ ৮:২২-২৪-এ "মিদিয়ানাইটস" (কেতুরাহ থেকে বংশোদ্ভূত) এবং "ইসমায়েলিট" বিনিময়যোগ্য বলে মনে হয়। দেখুন ইয়াকভ মেদান, কি করোভ এলেচা: ব্রেশিত, পৃ. ১৯৫।
- ↑ ওর, জেমস, সম্পাদক (১৯১৫)। "Keturah" [কেতুরা]। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যানার্ড বাইবেল এনসাইক্লোপেডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। শিকাগো: হাওয়ার্ড-সেভেরান্স কোম্পানি। ২০১৮-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২১।
- ↑ স্টাকেনব্রুক, লরেন টি; গার্টনার, ড্যানিয়েল এম (২০১৯-১২-২৬)। টিএন্ডটি ক্লার্ক এনসাইক্লোপেডিয়া অব সেকেন্ড টেম্পল জুডাইজম ভলিউম টু (ইংরেজি ভাষায়)। ব্লুমসবেরি পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ১৪৫। আইএসবিএন 978-0-567-66093-0। ২০২২-০১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১১।
- ↑ ইকুয়ানো, ওলাউদাহ (১৯৯৫)। The Interesting Narrative and Other Writings [আকর্ষণীয় আখ্যান এবং অন্যান্য লেখা] (ইংরেজি ভাষায়)। পেঙ্গুইন বুক্স। পৃষ্ঠা ৪৪। আইএসবিএন 0-14-243716-6। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩১।
- ↑ এবল, জন (২০১১)। Apocalypse Secrets: Baha'i Interpretation of the Book of Revelation [অ্যাপোক্যালিপস সিক্রেটস: 'প্রকাশিত বাক্যের' বাহাই ব্যাখ্যা] (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যাকলিন, ভার্জিনিয়া: জন এবল বুক্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ২১৯। আইএসবিএন 978-0-9702847-5-4। ২০১৫-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩১।