কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থা, বাংলাদেশ
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে নয়টি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করা হয়। শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ৩৭৯৮টি আসনে জন্য ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।[১] ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ৭৫ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছিল।[২]
ধরন | ভর্তি পরীক্ষা |
---|---|
নম্বর / গ্রেডের সীমা | ১০০ |
স্কোর / গ্রেডের স্থায়িত্ব | ১ বছর |
বাধানিষেধ | সর্বোচ্চ ২ বার |
দেশ / অঞ্চল | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক সংখ্যা | ৭৫,০০০+ (২০২৩) |
ফি | ১,২০০ টাকা |
স্কোর / গ্রেড ব্যবহারকারী | গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ |
ওয়েবসাইট | https://acas.edu.bd/ |
বিশ্ববিদ্যালয় ও আসন সংখ্যা
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয় | আসন | অবস্থান | প্রতিষ্ঠা | টীকা |
---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ১১১৬ | ময়মনসিংহ | ১৯৬১ | |
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ৪৩৫ | ঢাকা | ২০০১ | |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ৬৯৮ | গাজীপুর | ১৯৯৮ | |
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | ৪৪৮ | পটুয়াখালী | ১৯৭২ | |
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় | ২৭০ | চট্টগ্রাম | ১৯৯৬ | |
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ৪৩১ | সিলেট | ২০০৬ | |
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ১৫০ | খুলনা | ২০১৯ | |
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ৯০ | হবিগঞ্জ | ২০২০ | |
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ৮০ | কুড়িগ্রাম | ২০২১ |
আবেদনের যোগ্যতা
সম্পাদনাবিগত পাঁচ বছরে এসএসসি/সমমান এবং দুই বছরে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবলমাত্র তারাই আবেদন করতে পারে। আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হয়। জিসিই এবং এ লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং এ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এ ও বি গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।
পরিক্ষার বিষয় ও নম্বর
সম্পাদনাএমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। যা সম্প্রতি সময়ের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী (ইংরেজি ১০, প্রাণিবিজ্ঞান ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২০ এবং গণিত ২০ নম্বর) প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১.০০ (এক) নম্বর প্রদান করা হয় এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যায়। মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হয়।
আর দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৪-১৭)। "কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, যুক্ত আরও এক বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭১৮ আসনের ভর্তির বিস্তারিত দেখুন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৩।
- ↑ "কৃষি গুচ্ছে যত আবেদন পড়ল"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৩।