কুশধ্বজ

সীতার পিতা জনক রাজার ভ্রাতা, শত্রুঘ্নর স্ত্রী শ্রুতকীর্তির পিতা

রাজা কুশধ্বজ( যিনি কুশদ্ভোজন নামেও পরিচিত), ছিলেন রাজা জনকের অনুজ ভ্রাতা৷ মিথিলাধীপতি জনকের কন্যা সীতা ছিলেন রামায়ণের মুখ্য চরিত্র রামের একমাত্র স্ত্রী৷ কুশধ্বজের দুটি কন্যাসন্তান ছিলো, তারা হলেন মাণ্ডবী এবং শ্রুতকীর্তি৷ তারা দুজনে যথাক্রমে অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র ও রামের অনুজ ভরতশত্রুঘ্নকে বিবাহ করেন৷[][]

কুশধ্বজ
দাম্পত্য সঙ্গীচন্দ্রভাগা
সন্তানমাণ্ডবী
শ্রুতকীর্তি (কন্যাদ্বয়)

পরিচয়

সম্পাদনা

রাজা কুশধ্বজের রাজধানী ছিলো বর্তমান নেপালের সপ্তরী জেলার রাজবিরাজ অঞ্চলের নিকট৷ শহরটিতে বর্তমানে একটি সহস্র বৎসর প্রাচীন ঐতিহাসিক মন্দির তথা রাজদেবী মন্দির, রাজবিরাজ|রাজদেবীর মন্দিরের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায়৷ মন্দির চত্বরটিতে একাধিক হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তিও রয়েছে৷ মন্দির চত্বরের সাথে লাগোয়া ছিন্নমস্তা মন্দিরটি স্থানীয় মৈথিলী ভাষী লোকজনের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ও মূখ্য পূজনীয়৷ রাজবিরাজের আশেপাশে রাজকন্যা মাণ্ডবী ও শ্রুতকীর্তিরও একাধিক মূর্তি ও মন্দির রয়েছে৷

সঙ্কাশ্য রাজ্যের রাজা মিথিলার রাজা জনককে যুদ্ধে আহ্বান করলে রাজা জনক সেই যুদ্ধে জয় লাভ করেন এবং বিজিত অঞ্চল নিজ অনুজ কুশধ্বজকে দান করেন৷[] স্থানীয়দের মত ও প্রাচীন নথিপত্র অনুযায়ী রাজজা কুশধ্বজ তার সমগ্র রাজত্বের বিভিন্ন বিষয়ের ভার তার মন্ত্রীবর্গের ওপর অর্পণ করেন ও আমৃত্যু রাজবিরাজ থেকেই তার রাজদায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করতেন৷

কন্যাদ্বয়ের বিবাহ

সম্পাদনা

সীতার স্বয়ম্বর সভাতে অযোধ্যার রাজকুমার রাম শর্তানুরূপ হরধনু তুলে তাতে গুণ পরালে সীতা তাকে স্বামীরূপে গ্রহণ করে৷ বিবাহের পূর্বেই কিছু দিবস অতিবাহিত হওয়ার পর রাজা দশরথ রাজা জনককে তার অপর তিনপুত্রের সাথে রাজ্যের অপর তিন রাজকন্যার বিবাহের প্রস্তাব দেন৷ রাণী চন্দ্রভাগার অনুমতি ও রাজকন্যাদ্বয়ের সম্মতিতে রাজা কুশধ্বজ মাণ্ডবীশ্রুতকীর্তির বিবাহ যথাক্রমে ভরত ও শত্রুঘ্নের সহিত সম্পন্ন করান৷

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. H. L. Luthra (১৯৮৮)। Tales from Kalidasa। Ediciones Gamma S.A.। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 9788120902282 
  2. Lakshmi Lal (১৯৮৮)। The Ramayana। Orient Longman। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 9780861318056 
  3. https://www.valmiki.iitk.ac.in/summary?field_kanda_tid=1&field_sarga_value=71