কুরসুম মসজিদ, কাস্টোরিয়া
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
কুরসুম মসজিদ ( গ্রিক: Κουρσούμ Τζαμί , তুর্কি: Kurşun Camii ) কাস্টোরিয়া হলো একটি ঐতিহাসিক অটোমান যুগের মসজিদ, যা গ্রীসের পশ্চিম মেসিডোনিয়ার কাস্টোরিয়া শহরে অবস্থিত। খুব সামান্যই এর সংস্কার করা হয়েছে বলে এর বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এটি উপাসনার জন্য উন্মুক্ত নয়। এর নামটি একটি তুর্কি শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ সীসা। কারণ, এর গম্বুজ সীসা দ্বারা আবৃত।
কুরসুম মসজিদ Κουρσούμ Τζαμί | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অঞ্চল | পশ্চিম মেসিডোনিয়া |
পবিত্রীকৃত বছর | ১৬ শতকের কাছাকাছি সময়ে |
অবস্থা | বন্ধ |
অবস্থান | |
পৌরসভা | কাস্টোরিয়া |
দেশ | গ্রিস |
স্থানাঙ্ক | ৪০°৩১′১৩.৩″ উত্তর ২১°১৫′৫৫.৩″ পূর্ব / ৪০.৫২০৩৬১° উত্তর ২১.২৬৫৩৬১° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | অটোমান স্থাপত্য |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ১ |
মিনার | 1 (অর্ধ-বিধ্বস্ত) |
বর্ণনা
সম্পাদনাকুরসুম মসজিদটি শহরের পুরাতন কেন্দ্রের কাছে মিট্রোপোলিওস স্ট্রিটে অবস্থিত। অটোমান আমলে কাস্টোরিয়ায় মোট সাতটি মসজিদ ছিল; এই সাতটির মধ্যে একমাত্র কুরসুম মসজিদই খারাপ অবস্থায় আছে। [১]
এটি নির্মাণের সঠিক সময়সীমা নির্ধারণ করা কঠিন, তবে এটি ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। কুরসুম মসজিদটি শহরের সবচেয়ে বিশিষ্ট মসজিদ ছিল এবং এটি যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে এটি একটি পূর্ববর্তী বাইজেন্টাইন গির্জার জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল, যেটি প্রাচীনকালে তৈরি করা একটি পৌত্তলিক মন্দিরের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল। [২] [৩]
এটি প্রায় ৩৫০-৩৭০ বছর ধরে একটি উপাসনালয় ছিল যতক্ষণ না বলকান যুদ্ধের সময় কাস্টোরিয়া গ্রীসের সাথে সংযুক্ত হয়, যার ফলে এটি একটি মসজিদ হিসেবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এবং তারপর এটি ১৯২৪ সালে গ্রীক রাষ্ট্র এটিকে একটি সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯২৫ সালে শুরু হওয়ার পর কাস্টোরিয়া শহরের প্রথম পাঠাগারটি কয়েক বছর ধরে মসজিদের ভিতরে রাখা হয়েছিল এবং তারপরে এটি সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত বহু দশকের পুরাকীর্তিগুলোর গুদাম হিসেবে কাজ করছে। এই কারণে, এটিই একমাত্র স্থাপনা যা ভেঙ্গে ফেলাকে এড়াতে পেড়েছে, কারণ এটি কিছু না কিছু কাজে লাগছিল, যখন কাস্টোরিয়ার বাকি ছয়টি অটোমান মসজিদ আগে-পরে ভেঙে ফেলেছিল, যদিও সেগুলোকেও সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। [১]
অযত্নে ফেলে রেখে এবং বছরের পর বছর ধরে সামান্য সংস্কারও না হওয়ায় মসজিদটির বেশিরভাগই এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। শুধুমাত্র মিনারের নীচের অর্ধেক অংশ সংরক্ষিত আছে, যা বিভিন্ন উদ্ভিদ দিয়ে আবৃত। [১]
২০১৬ সালে, থেসালোনিকির অ্যারিস্টটল বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটেকনিক স্কুলের তিনজন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আন্তঃবিভাগীয় স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম- "সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভের পুনরুদ্ধার" এর মধ্যে তাদের বাধ্যতামূলক থিসিসের বিষয় হিসেবে কুরসুম মসজিদকে বেছে নিয়েছিল। এটি কাস্টোরিয়ার মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া অর্জন করেছে, যারা পুনরুদ্ধার কাজের যেকোনো আলোচনার বিরোধিতা করেছিল এবং দাবি করেছিল যে কাস্টোরিয়ার এখন আর কোনো মুসলিম সম্প্রদায় নেই এবং তুরস্কে হাগিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করার বিষয়ে আলোচনা চলাকালীন গ্রিসে কোনো মসজিদ পুনরুদ্ধার করা উচিত নয় বলে দাবি করেছিল । [১] [৪] [ক]
আরও দেখুন
সম্পাদনা- গ্রীসে ইসলাম
- গ্রীসের মসজিদের তালিকা
- গ্রীসের সাবেক মসজিদের তালিকা
- অটোমান গ্রীস
মন্তব্য
সম্পাদনা- ↑ Hagia Sophia was converted into a mosque in 2020, four years after the incident.
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "Το τζαμί της Καστοριάς και η ιστορία του"। fouit.gr (Greek ভাষায়)। মে ১১, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৫, ২০২২।
- ↑ Tsamisis 1949।
- ↑ Moutsopoulos 1973।
- ↑ "Το Κουρσούμ Τζαμί δίχασε την Καστοριά"। archaiologia.gr (Greek ভাষায়)। ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৫, ২০২২।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Tsamisis, Pantelis (১৯৪৯)। Η Καστοριά και τα μνημεία της (Greek ভাষায়)। Τύποις Ι. Λ. Αλευρόπουλος।
- Moutsopoulos, Nikolaos (১৯৭৩)। Καστοριά. Ιστορία – Μνημεία – Λαογραφία (Greek ভাষায়)। ΕΕΠΣΑΠΘ।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে Kursum Mosque সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।