কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়। এটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী পৌরসভায় অবস্থিত।[১]
কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় Kumarkhali Govt. Pilot Girl's Secondary School | |
---|---|
ঠিকানা | |
পদ্মপুকুর , ৭০১০ | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫১′৩২″ উত্তর ৮৯°১৪′০২″ পূর্ব / ২৩.৮৫৮৮০৩২° উত্তর ৮৯.২৩৩৯০০৮° পূর্ব |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | সরকারি মাধ্যমিক ও কারিগরি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৬৩ |
প্রতিষ্ঠাতা | কৃষ্ণধন মজুমদার |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড |
বিদ্যালয় জেলা | কুষ্টিয়া জেলা |
বিভাগ | বাংলা মিডিয়াম |
ইআইআইএন | ১১৭৬৬০ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৩২ জন |
প্রাথমিক পড়ানোর বছর | ৩য়-৫ম |
মাধ্যমিক পড়ানোর বছর | ৬ষ্ঠ-১০ম |
লিঙ্গ | বালিকা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৪০০ (প্রায়) |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাসসমূহ | ০১টি |
আয়তন | ২.১৬ একর (৮,৭০০ মি২) |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহুরে |
ইতিহাস
সম্পাদনাকৃষ্ণধন মজুমদার ১৮৬৩ সালে প্রায় ১৫ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি গড়েছিলেন। শুরুতে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল ৮ জন। হরিনাথ মজুমদার এই বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক ছিলেন। ১৮৮০ সালের অক্টোবর মাসে বিদ্যালয়টি মাসিক ১২ টাকা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হয়। ১৯২৮ সালে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রীসংখ্যা বেড়ে হয় ৮০। বাংলাদেশের এই প্রথম বালিকা বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে জাতীয়করণ হয়।[২]
কার্যক্রম
সম্পাদনাবর্তমানে বিদ্যালয়ে সাধারণ শাখায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। কৃষিবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি ও কম্পিউটার বিষয়ে পাঠদানের অনুমতি রয়েছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কারিগরি শিক্ষার তিনটি ট্রেড চালু আছে। বিদ্যালয়ের আধুনিক বিজ্ঞানাগার রয়েছে, রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ও ভাষা ল্যাব। ভোকেশনাল শাখায় তিনটি বিভাগের পৃথক তিনটি পরীক্ষাগার রয়েছে।[২][৩]
ফলাফল
সম্পাদনাপ্রতিবছর এসএসসি ফলাফল পাসের হার ৯০%-এর বেশি। জেএসসি ফলাফলও একই রকম। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। জেলার মধ্যে ফলাফলে পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি
সম্পাদনাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনর্মিলনের আয়োজনও করে থাকে।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "কুমারখালী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ১৫৫ বছর পূর্তি"। www.kalerkantho.com। ২০১৮-০৬-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২৩।
- ↑ ক খ কুষ্টিয়া, তৌহিদী হাসান। "আজও আলো ছড়াচ্ছে দেশের প্রাচীন বালিকা বিদ্যালয়টি"। www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২৩।
- ↑ "মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়"। shed.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২৩।
- ↑ "কুমারখালী পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী ঈদের পরদিন"। Bangla Tribune। ২০১৮-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২৩।