কিরণ মোরে
কিরণ শঙ্কর মোরে (ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দলে মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন কিরণ মোরে। এছাড়াও ২০০৬ সালে দিলীপ বেঙ্গসরকারের দায়িত্ব লাভের পূর্বে পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন তিনি।
; জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২) গুজরাতের বরোদায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৩ সময়কালেব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কিরণ শঙ্কর মোরে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বরোদা, গুজরাত, ভারত | ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭৩) | ৫ জুন ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ আগস্ট ১৯৯৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫০) | ৫ ডিসেম্বর ১৯৮৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ মার্চ ১৯৯৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮০/৮১-১৯৯৭/৯৮ | বরোদা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বড়োদরা দলের প্রতিনিধিত্ব করতেন। উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং ও ডানহাতে লেগ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৭০-এর দশকের শেষার্ধ্বে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেন।[১] ১৯৮২ সালে বোম্বেতে অনুষ্ঠিত টাইমস শিল্ডে টাটা স্পোর্টস ক্লাব ও নর্থ ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে ব্যারোর পক্ষে খেলেন। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক সৈয়দ কিরমানীকে সহায়তাকল্পে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। কিন্তু কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি তার।
১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। বিশ্ব সিরিজ কাপের প্রথমদিককার খেলায় কিরমানী আঘাত পেলেও দৃশ্যতঃ খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যায়। ফলে প্রতিযোগিতার বাদ-বাকি খেলাগুলোয় অংশ নেন কিরণ মোরে। এরপর থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মোরে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক ছিলেন। তবে একদিনের আন্তর্জাতিকে তাকে প্রায়শঃই ভালোমানের ব্যাটসম্যানদের কারণে স্থানচ্যুত হতে হয়েছে।
১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণ করেন। তিন টেস্টের ঐ সিরিজে তিনি সর্বমোট ১৬ ক্যাচ নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ব্যাটিং গড়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেন। ছোটখাটো গড়নের অধিকারী মোরে ব্যস্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হলে তিনি প্রায়শঃই দলকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দিতেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ রান তোলেন। এসময় ভারত দলের সংগ্রহ ৬৬/৩ ছিল। করাচীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফলো-অনে থাকা অবস্থায় তার সেরা ইনিংসটি উপহার দেন।[১] মাদ্রাজ টেস্টে ছয় ব্যাটসম্যান তার হাতে স্ট্যাম্পিং হন। তন্মধ্যে পাঁচটি করেন দ্বিতীয় ইনিংসে। উভয়ক্ষেত্রেই তার এ কৃতিত্ব অদ্যাবধি টেস্ট রেকর্ড হিসেবে টিকে রয়েছে।
নিউজিল্যান্ড গমন
সম্পাদনা১৯৮৯-৯০ মৌসুমে মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ভারত দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ঐ দলে তিনি সহ-অধিনায়ক মনোনীত হন। নেপয়ারে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চসহ ৭৩ রান তোলেন। কিন্তু ঐ বছরের শেষদিকে ইংল্যান্ড সফরে রবি শাস্ত্রীর কাছে সহ-অধিনায়কত্ব হারান।
লর্ডসে উদ্বোধনী ইংরেজ ব্যাটসম্যানকে গ্রাহাম গুচকে ৩৬ রানে ক্যাচ ফেলে দেয়ার খেসারত গুণতে হয় ভারত দলকে। পরবর্তীতে গুচ ৩৩৩ রান তুলেছিলেন। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ছোটখাটো বিতর্কময় পরিবেশ সৃষ্টি করেন। তিনি ক্রমাগত জাভেদ মিয়াঁদাদের বিপক্ষে আউটের আবেদন জানাতে থাকেন।[২]
অবসর
সম্পাদনা১৯৯৪ সালের শুরুতে বরোদার সতীর্থ নয়ন মোঙ্গিয়ার কাছে জাতীয় দলের সদস্যতা থেকে স্থানচ্যুত হন। নিজ রাজ্য দলে মূখ্যতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললেও সুযোগ পেলেই উভয় দায়িত্বেই তাকে দেখা যেতো। এছাড়াও ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বরোদার অধিনায়কত্ব করেন।
১৯৯৭ সালে কিরণ মোরে আলেম্বিক ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে কিরণ মোরে (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে কিরণ মোরে (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী সৈয়দ কিরমানী |
সভাপতি, নির্বাচক কমিটি অক্টোবর, ২০০৪ – সেপ্টেম্বর, ২০০৬ |
উত্তরসূরী দিলীপ বেঙ্গসরকার |