কিরণবালা রুদ্র
কিরণবালা রুদ্র ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।
কিরণবালা রুদ্র | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৯ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) ভারত |
পেশা | রাজনীতিবিদ, |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, |
অপরাধের অভিযোগ | লবণ সত্যাগ্রহ |
অপরাধের শাস্তি | ১৯৩২ ও ১৯৪২ কারাবরণ |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও পরিবার
সম্পাদনাকিরণবালা রুদ্র ১৮৯৯ সালে ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শশীকুমার দে ও মাতার নাম রাজবালা দেবী। পরিবার থেকেই দেশ প্রেমের প্রেরণা পান তিনি[১]।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাকিরণবালা রুদ্র পনেরাে বছর বয়সে মুকুন্দদাসের যাত্রা ও স্বদেশী-প্রচার তাঁকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে। পিতার স্বদেশপ্রেমও তাকে উদ্বুদ্ধ করে। অসহযােগ আন্দোলনের সময় দেশবন্ধু ও বাসন্তী দেবী বিক্রমপুরে ও নারায়ণগঞ্জে আন্দোলন প্রচার করতে যান। তখন থেকেই কিরণবালা রুদ্র চরকা কাটা ও খদ্দর ব্যবহার করা আরম্ভ করেন, তিনি খদ্দর ছাড়া অন্য বস্ত্র ব্যবহার করেন না। ১৯৩০ সালে গান্ধীজী বিক্রমপুরে যান। তার আগমনে সমগ্র বিক্রমপুরে চঞ্চল হয়ে ওঠে। সেইসময়ে কিরণবালা রুদ্র শ্বশুরবাড়ির সমস্ত বাধাবিঘ্ন পার হয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েন। তারপর তিনি আশালতা সেনের সংস্পর্শে আসেন ও তাঁরা একত্রে কাজ করতে থাকেন— বিক্রমপুরের নানা স্থানে মহিলা-শিবির স্থাপিত হতে থাকে।
১৯৩১ সালে তারা বিক্রমপুরে স্বদেশী পােস্টাফিস স্থাপন করেন। কিছুদিন পরেই পুলিস সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। তারা পাইকপাড়ায় মহিলা-সমিতির টাকা দিয়ে জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৩২ সালের আন্দোলনে যােগদান করার ফলে পাইকপাড়ায় কিরণবালা রুদ্রসহ ১৮ জন মহিলা সত্যাগ্রহী কারাবরণ করেন ও প্রায় দেড়শত মহিলা হাজতবাসের পর মুক্তি পান। ১৯৩২ সালের আন্দোলনে কিরণবালা রুদ্র একবছর আটমাস কারারুদ্ধ থাকেন। ১৯৪২ সালের আন্দোলনে যােগদান করাতে তিনি ঐ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার হন এবং তার প্রতি দুইবছর কারাদণ্ডের আদেশ হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যের কারণে তাকে এক বৎসর পরে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে তিনি ভুদান-যঞ্জের সাথে জড়িতছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ২০২-২০৩। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।