কালীপদ আইচ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ভারতের সামরিক বিভাগের একজন কর্মী

কালীপদ আইচ (১৯২০ – ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩) ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ভারতের সামরিক বিভাগের একজন কর্মী।[]

নৌবিদ্রোহের শহীদ বিপ্লবী

কালীপদ আইচ
জন্ম১৯২০
মৃত্যু২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
পরিচিতির কারণনৌ-বিদ্রোহের নেতা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোচিনের নৌ বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল মানকুমার বসু ঠাকুরের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনীর ক্ষতি সাধন করে অক্ষশক্তিকে জেতবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।[]

চতুর্থ মাদ্রাজ উপকূল বাহিনীর সৈনিকদের দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ চতুর্থ মাদ্রাজ উপকূল বাহিনীর সৈনিকদের অন্যতম ছিলেন কালীপদ। নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অপর আটজনের সঙ্গে তাকেও ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে। []

তাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ ছিল – তারা গোপনে শত্রুশিবিরে খবর পাচার করেছে, সঞ্চিত গোলা বারুদের স্তূপে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং অস্ত্রশস্ত্র সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছে। ব্যাঙ্গালোরের সামরিক আদালতে বিচারের নামে প্রহসন হয়।[] শেষে ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করার অপরাধে কালীপদর এবং আরও আটজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়।

১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর কালীপদ আইচ ও অন্য সাথীদের সঙ্গে 'বন্দে মাতরম' স্লোগান দিয়ে মাদ্রাজ দুর্গে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "একই দিনে ফাঁসি হয়েছিল নয়জন বাঙালি বিপ্লবীর, আমরা কি মনে রেখেছি তাদের আত্মত্যাগ ?"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৯ 
  3. whos'e who of the Indian Martyrs Vol I, P. N. Chopra (২০১৬)। Basu Thakur, Man kumar। Publications Division Ministry of Information & Broadcasting.।