কারেজ আন্ডার ফায়ার
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (সেপ্টেম্বর ২০১৮) |
কারেজ আন্ডার ফায়ার (ইংরেজি ভাষায়: Courage Under Fire) উপসাগরীয় যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে নির্মীত মার্কিন চলচ্চিত্র। এডওয়ার্ড জুইক পরিচালিত এই ছবিটি ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায়। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডেনজেল ওয়াশিংটন, মেগ রায়ান এবং ম্যাট ডেমন। উপসাগরীয় যুদ্ধে নিয়ে করা প্রথম ছবিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
কারেজ আন্ডার ফায়ার | |
---|---|
পরিচালক | এডওয়ার্ড জুইক |
প্রযোজক | জন ডেভিস জোসেথ এম. সিঙ্গার ডেভিড টি. ফ্রেন্ডলি |
রচয়িতা | প্যাট্রিক শিয়ানে ডানকান |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | জেমস হর্নার |
চিত্রগ্রাহক | রজার ডিকিন্স |
সম্পাদক | স্টিভেন রোজেনব্লুম |
প্রযোজনা কোম্পানি | ডেভিস এন্টারটেইনমেন্ট |
পরিবেশক | টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স |
মুক্তি | ১২ জুলাই, ১৯৯৬ |
স্থিতিকাল | ১১৭ মিনিট |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $ ৪ কোটি ৬০ লক্ষ[১] |
আয় | $ ১০,০৮,৬০,৮১৮ |
এতে ১৯৫০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আকিরা কুরোসাওয়ার ছবি রাশোমোন-এর ধারণা প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ছবিতেও রাশোমোনের মত দেখা যায়, একই ঘটনাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা একেকভাবে বর্ণনা করছে। তবে রাশোমোনের সাথে এর পার্থক্য হল; রাশোমোনের পাত্র-পাত্রীরা কাহিনী সম্পর্কে যা বলেছিল তা নিজেরা বিশ্বাস করতো, কিন্তু এখানে পাত্র-পাত্রীরা ইচ্ছে করেই মিথ্যে বলেছে। সে হিসেবে রাশোমোন ক্রিয়া সরাসরি প্রয়োগ করা হয়নি।
কাহিনী সূত্র
সম্পাদনাউপসাগীয় যুদ্ধের সময়, ১৯৯১ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি লেফটেন্যান্ট কর্নেল ন্যাথানিয়েল সার্লিং (ডেনজেল ওয়াশিংটন) নিজের ট্যাংক-কে শত্রু পক্ষের ট্যাংক ভেবে ভুল করেন। তার বোমাবর্ষণে এক মার্কিন কর্মকর্তা নিহত হয়। এর পরই কাহিনী এগিয়ে যায়। যুদ্ধ শেষ। হোয়াইট হাউজ যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য মেডেল অফ অনার দিতে চাচ্ছে। এক নারী বৈমানিক নিজের ইউনিটের সবাইকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এই ঘটনাও ২৫শে ফেব্রুয়ারির। ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয় কর্নেল সার্লিংকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণী নিতে গিয়েই সার্লিংয়ের খটকা লাগে। তিনি বুঝতে পারেন একেক জন একেক ভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা দিচ্ছে এবং এর সাথে স্বার্থ জড়িত রয়েছে। নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী কর্নেল সার্লিয়ের সত্য উদ্ঘাটনের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই সিনেমার কাহিনী এগিয়ে যায়।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- ডেনজেল ওয়াশিংটন - লেফটেন্যান্ট কর্নেল ন্যাথানিয়েল সার্লিং
- মেগ রায়ান - ক্যাপ্টেন ক্যারেন এমা ওয়াল্ডেন (মেডেল অফ অনার)
- ম্যাট ডেমন - বিশেষজ্ঞ ইলারিও
- লু ডায়মন্ড ফিলিপ্স - স্টাফ সার্জেন্ট জন মনফ্রিজ
- মাইকেল মরিয়ার্টি - ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হার্শবার্গ
প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাসমালোচকদের অধিকাংশই ছবিটির প্রশংসা করেছেন। রটেন টম্যাটোস-এ রেটিং ৮২%। রাশোমোন ক্রিয়ার প্রভাবের বিষয়টিও প্রশংসিত হয়েছে, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই এটা ঠিক রাশোমোনের মত হয়নি।