কানাইলাল ভট্টাচার্য্য
ড.কানাইলাল ভট্টাচার্য্য (১২ অক্টোবর ১৯১৭ – ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৩) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি সর্পবিষের প্রতিষেধক ওষুধের আবিষ্কারক। [১]
ডক্টর কানাইলাল ভট্টাচার্য্য | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৩ | (বয়স ৬৬)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রেসিডেন্সি কলেজ, নরসিংহ দত্ত কলেজ |
পেশা | রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
পরিচিতির কারণ | শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী ও রাজনীতিবিদ |
উপাধি | শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
মেয়াদ | ১৯৭৭-১৯৮৩ |
উত্তরসূরী | জ্যোতি বসু |
রাজনৈতিক দল | নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক |
দাম্পত্য সঙ্গী | বাণী ভট্টাচার্য্য |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাকানাইলাল ভট্টাচার্য্য ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সাঁতরাগাছিতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিশিরকুমার ভট্টাচার্য ছিলেন একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি। কানাইলালের বাল্যকাল অতিবাহিত হয় সাঁতরাগাছিতে। কৃতি ছাত্র ছিলেন তিনি। তার বিদ্যালয়ের শিক্ষালাভ হাওড়ার সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইন্সটিটিউশনে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন হাওডারই নরসিংহ দত্ত কলেজ হতে। এরপর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ হতে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও ডি. ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের কন্যা বাণীকে বিবাহ করেন। [২]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাকলেজে পড়ার সময় থেকেই কানাইলাল ভট্টাচার্য্য ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ফরোয়ার্ড ব্লকের জন্মলগ্ন থেকেই সদস্য হন। ভারতে ট্রেড ইউনিয়নের আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে আত্মগোপন অবস্থায় ধরা পড়ে তিন বছর কারাবাস ভোগ করেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে হতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা সদস্য হন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দ হতে পশ্চিমবঙ্গের যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষি মন্ত্রী এবং ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ হতে আমৃত্যু বামফ্রন্ট সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন।[১] ১৯৭২ এবং ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র হতে নির্বাচিত বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৩]
শিক্ষাবিদ
সম্পাদনাকানাইলাল ভট্টাচার্য্য একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবী ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের তিনি পশ্চিমবঙ্গের শিল্বাপ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ওই দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। ড. ভট্টাচার্যস মালটিপল্ ভেরাম নামে প্রচলিত সর্পবিষ প্রতিষেধক ওষুধটির আবিষ্কারক তিনি। [১] ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে হাওড়ায় ডক্টর কানাইলাল ভট্টাচার্য কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। [৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত,সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ১১৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ Who's who। West Bengal (India) Legislative Assembly। ১৯৫৭। পৃষ্ঠা 10।
- ↑ "General Elections, India, 1977, to the Legislative Assembly of West Bengal" (পিডিএফ)। Constituency-wise Data, AC No। West Bengal Election Commission।
- ↑ http://drklbcollege.ac.in/