কনিষ্ক সেন (৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৮ - ২২ ডিসেম্বর ২০২১)[] ছিলেন একজন কিংবদন্তি আলোকসম্পাত শিল্পী। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকসম্পাত শিল্পী তাপস সেনের যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন। অনন্য আলোকসম্পাতের দক্ষতায় দীর্ঘকয়েক দশক ধরে বাংলায় অসংখ্য নাট্যপ্রেমী দর্শককে মুগ্ধ রেখেছিলেন। []

কনিষ্ক সেন
জন্ম(১৯৩৮-১২-৩১)৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৮
মৃত্যু২২ ডিসেম্বর ২০২১(2021-12-22) (বয়স ৮২)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাআলোকসম্পাত শিল্পী
পুরস্কারসংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৪)

কনিষ্ক সেন ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। বিজ্ঞানের ছাত্র কনিষ্ক কলেজে নাটকে আলোকসজ্জার সফল দায়িত্ব পালনে পুরস্কৃত হওয়ার পরই কলেজের আনুষ্ঠানিক পাঠ ছেড়ে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক (পরবর্তীতে এটি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হয়)-এর নাটকের সিনিয়র ডিপ্লোমা অর্জন করেন। বন্ধুবর পার্থপ্রতিম চৌধুরীমনোজ মিত্রের সঙ্গে মিলে সুন্দরম নাট্য গোষ্ঠীর জন্য আলোর নকশা করতে শুরু করেন। তার প্রথম সাফল্য আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তাসের দেশ অর্থাৎ 'ল্যান্ড অফ কার্ডস' এবং পরে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে রবিতীর্থে সুচিত্রা মিত্র পরিচালিত শ্যামা নৃত্যনাটকে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রদর্শিত হয়েছিল। তিনি 'ক্যালকাটা রেপার্টরি থিয়েটার'-এ 'গ্যালিলিওর জীবন' নাটকের আলোকসজ্জায় তাপস সেনকে সহায়তা করেন। শুধু নাটকে নয়, ওয়াটার ব্যালে, নৃত্যনাট্য, নৃত্য, পরিবেশ আলোক প্রক্ষেপনে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। কর্মজীবনে মনোজ মিত্র, রতন থিয়াম, হাবিব তানভীরসহ বহু কিংবদন্তি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা ১৯৮৮, ১৯৯৩, ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে জাপান ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে জার্মানিতে এবং জাপান ও জার্মানিতে ভারতের নানা উৎসবের প্রতিনিধিত্বে বহু বিদেশ সফর করেন।[]

সম্মাননা ও পুরস্কার

সম্পাদনা

প্রথিতযশা আলোকসম্পাত শিল্পী কনিষ্ক সেন বহু পুরস্কার এবং সম্মাননায় ভূষিত হন।

জীবনাবসান

সম্পাদনা

কনিষ্ক সেন ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর কলকাতায় নিজের বাসভবনে ৮২ বৎসর প্রয়াত হন। [] কনিষ্ক সেনের মৃত্যুর পর তার জীবন ও কাজের বিভিন্ন ঘটনা এবং অজানা তথ্য নিয়ে লাস্ট ফর লাইট শীর্ষক এক তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন ইন্দ্রজিৎ নারায়ণ এবং সেটি ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতার নেহেরু চিলড্রেনস মিউজিয়াম অডিটোরিয়ামে প্রদর্শিত হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "বাংলা থিয়েটার মঞ্চের আলোক শিল্পী কনিষ্ক সেনের জীবনাবসান"। ২০২১-১২-২৩। 
  2. "Kanishka Sen"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২৩ 
  3. "লাস্ট ফর লাইট"।  অজানা প্যারামিটার |পত্রিকা= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |সংখ্যা= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)