কদম
কদম, কদম্ব বা বুল কদম (বৈজ্ঞানিক নাম: Anthocephalus indicus) ইংরেজি নাম burflower tree, laran, Leichhardt pine,[২],kadam[২]।Rubiaceae পরিবারের Neolamarckia গণের বৃক্ষ। যা নীপ নামেও পরিচিত। এ ছাড়া বৃত্তপুষ্প, মেঘাগমপ্রিয়, কর্ণপূরক, ভৃঙ্গবল্লভ, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, প্রাবৃষ্য, ললনাপ্রিয়, সুরভি, সিন্ধুপুষ্পও কদমের নাম।[৩] বর্ষার দূত বলা হয় কদম ফুল কে।
কদম Anthocephalus indicus | |
---|---|
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত. | |
Close-up of flower | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Gentianales |
পরিবার: | Rubiaceae |
উপপরিবার: | Cinchonoideae |
গোত্র: | Naucleeae |
গণ: | Neolamarckia |
প্রজাতি: | N. cadamba |
দ্বিপদী নাম | |
Neolamarckia cadamba (উইলিয়াম রক্সবার্গ) Jean Marie Bosser | |
প্রতিশব্দ[১] | |
আদি নিবাস
সম্পাদনাবাংলাদেশ, ভারত এর উষ্ণ অঞ্চল, চীন[৪], মালয় কদমের আদি নিবাস।[৩]
বর্ণনা
সম্পাদনাদীর্ঘাকৃতি, বহুশাখাবিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ বিশেষ এবং এর ফুল। রূপসী তরুর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কদম। কদমের কাণ্ড সরল, উন্নত, ধূসর থেকে প্রায় কালো এবং বহু ফাটলে রুক্ষ, কর্কশ। শাখা অজস্র এবং ভূমির সমান্তরালে প্রসারিত। পাতা হয় বড় বড়, ডিম্বাকৃতি, উজ্জ্বল-সবুজ, তেল-চকচকে এবং বিন্যাসে বিপ্রতীপ। উপপত্রিকা অত্যন্ত স্বল্পস্থায়ী বিধায় পরিণত পাতা অনুপপত্রিক। বোঁটা খুবই ছোট। নিবিড় পত্রবিন্যাসের জন্য কদম ছায়াঘন। শীতে কদমের পাতা ঝরে এবং বসন্তে কচি পাতা গজায়। সাধারণত পরিণত পাতা অপেক্ষা কচি অনেকটা বড়। কদমের কচি পাতার রঙ হালকা সবুজ। কদমের একটি পূর্ণ মঞ্জরিকে সাধারণত একটি ফুল বলেই মনে হয়। কদম ফুল দেখতে বলের মতো গোল, মাংসল পুষ্পাধারে অজস্র সরু সরু ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাস। পূর্ণ প্রস্ফুটিত মঞ্জরির রঙ সাদা-হলুদে মেশানো হলেও হলুদ-সাদার আধিক্যে প্রচ্ছন্ন। প্রতিটি ফুল খুবই ছোট, বৃতি সাদা, দল হলুদ, পরাগচক্র সাদা এবং বহির্মুখীন, গর্ভদণ্ড দীর্ঘ। ফল মাংসল, টক এবং বাদুড় ও কাঠবিড়ালীর প্রিয় খাদ্য। ওরাই বীজ ছড়ানোর বাহন।[৫]
ব্যবহার্য অংশ
সম্পাদনাগাছের বৃদ্ধি অত্যন্ত দ্রুত বলে জ্বালানিকাঠের জন্য রোপণ উত্তম। কাঠ খুবই নরম তাই দারুমূল্য নিকৃষ্ট হলেও সাদা, নরম কাঠ বাক্স-পেটরা ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার্য।
ঔষধি ব্যবহার
সম্পাদনাকদম গাছের ছাল জ্বরের ঔষধ হিসেবেও উপকারী।[৫] কদম পাতার রস কৃমি দূর করে তবে বেশি খেলে বমি হতে পারে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Neolamarckia cadamba"। World Checklist of Selected Plant Families। Royal Botanic Gardens, Kew। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ USDA GRIN Taxonomy
- ↑ ক খ এল বর্ষার দূত ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০৪-২৮ তারিখে,আশীষ-উর-রহমান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-০৬-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ Flora of China
- ↑ ক খ শ্যামলী নিসর্গ, দ্বিজেন শর্মা, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।