কগনিজ্যান্ট টেক্নলজি সলিউশন্স
কগনিজ্যান্ট টেক্নলজি সলিউশন্স (ইংরেজি: Cognizant Technology Solutions Corporation; সংক্ষেপে CTS) একটি আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি। ১৭০টি দেশে কোম্পানিটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার সদরদপ্তর নিউ জার্সি , যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
ধরন | পাবলিক |
---|---|
আইএসআইএন | US4592001014 |
শিল্প |
|
পূর্বসূরী | ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিট |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৬ জুন ১৯১১ |
প্রতিষ্ঠাতা | বিজয়রাজ কুমার মহাদেব ফ্রান্সিসকো ডি'সুজা |
সদরদপ্তর | , |
বাণিজ্য অঞ্চল | ১৭৭টি দেশ[১] |
প্রধান ব্যক্তি | রবি কুমার (চেয়ারউম্যান, সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) জ্যান সিগমুন্ড (প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা) রেবেকা স্মিট (প্রধান লোক কর্মকর্তা) |
আয় | US$ ১৮.৬৫ বিলিয়ন (২০২১)[২] |
US$৩০১ কোটি (২০২২)[২] | |
US$২২৯ কোটি (২০২২)[২] | |
মোট সম্পদ | US$১২,৫৩৫ কোটি (২০১৭)[২] |
মোট ইকুইটি | US$১,৭৪৯ কোটি (২০১৭)[২] |
কর্মীসংখ্যা | ২৮৮,২০০ (২০১৯)[৩] |
ওয়েবসাইট | www.cognizant.com |
পণ্যসামগ্রী
সম্পাদনা1890-এর দশকের শুরুতে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন (আইবিএম) কর্পোরেশন এবং এর পূর্বসূরি কর্পোরেশনগুলি থেকে পণ্যগুলির একটি আংশিক তালিকা নিম্নরূপ।
প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাসদর দপ্তর
সম্পাদনামার্কিন তালিকাভুক্ত এই সংস্থার হেড কোয়ার্টার নিউ জার্সির টিনেকে। [৪]
গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী
সম্পাদনা- গণেশ আয়ার - এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট, স্বজ্ঞাত অপারেশন এবং অটোমেশন (প্রাক্তন এমফাসিস সিইও)
- প্রসাদ শঙ্করন - এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, গ্লোবাল ডেলিভারি অ্যান্ড সফটওয়্যার অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ইঞ্জিনিয়ারিং (SPE)
- রব ভ্যাটার - এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, এন্টারপ্রাইজ প্ল্যাটফর্ম সার্ভিসেস (EPS)
- আন্নাদুরাই এলাঙ্গো - এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, কোর টেকনোলজিস অ্যান্ড ইনসাইটস (CTI)
- জেন লিভেসি - প্রধান (এশিয়া প্যাসিফিক, অস্ট্রেলিয়া নিউজিলণ্ড, জাপান )
- সূর্য গুম্মাদি - প্রেসিডেন্ট, আমেরিকা
- রাজেশ নাম্বিয়ার - এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর, কগনিজেন্ট ইন্ডিয়া [৫] (প্রাক্তন আইবিএম ও টিসিএস কর্মী )
ভারতে পরিকাঠামো
সম্পাদনামার্কিনি সংস্থা হলেও এর অধিকাংশ কর্মী ভারতীয়। মোট কর্মীর ৭০% ভারতীয়। সংখ্যার বিচারে তা প্রায় ২ লক্ষ।
ফেসবুক
সম্পাদনাফেসবুকের হয়ে চুক্তিতে কাজ করেন এই প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী। ফেসবুকের মডারেটর হিসেবে কাজ করা কর্মীরা বছরে ২৮ হাজার ডলারের (২৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা) মতো বেতন পান। নিউজার্সিভিত্তিক কগনিজেন্ট ফেসবুকের কনটেন্ট মডারেটর হিসেবে কাজ পাওয়া বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি।[৬]
বৃদ্ধির গতি ও কর্মী
সম্পাদনা২০১৯-এ সংস্থার বার্ষিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৩.৯-৪.৯ শতাংশ। কিন্তু পূর্ব অনুমান অনুযায়ী, চলতি বছরে সংস্থার রাজস্ব আয়ের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭.০-৯.০ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী অনুমানের থেকে অনেকটাই তলানিতে পড়ে থাকছে সংস্থার বার্ষিক বৃদ্ধি। সংস্থার ব্যয়ের সঙ্গে রাজস্বের পরিমাণে যাতে সামঞ্জস্য আসে, সে দিকে তাকিয়েই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বৃদ্ধির হার বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো এবং কর্মীদের প্রতিভার সদ্ব্যহারের বিষয়টি নিয়েও ভাবনা রয়েছে।
কর্মী ব্যাবস্থাপনা
সম্পাদনাকর্মীদের কর্ম সময় ব্যাবস্থাপনায় ব্রিটিশ তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ট্রুটাক এর ট্রুটাইম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার মতো এখানেও অনিয়োজিত কর্মীদের বেঞ্চ রাখা হয়। সাধারণত কোনো কর্মী প্রকল্প থেকে অনিয়োজিত হয়ে পরলে তার নিজস্ব বিভাগের তরফে ৩০ দিন সময় পান অন্য কোনো প্রকল্প খুঁজে নিতে। কোনো কারণে এই ৩০ দিন ফুরিয়ে গেলে তারা কর্পোরেট বেঞ্চে স্থান পান। সেখানে আরও অতিরিক্ত ৬০ দিন সময় দেয়া হয়। অধুনা এই নিয়ম পরিবর্তন করে তা ৩০ দিন এ নামিয়ে আনার প্রস্তাবনা রয়েছে। [৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "IBM Is Blowing Up Its Annual Performance Review"। fortune.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "IBM Corporation Financials Statements"। United States Securities and Exchange Commission।
- ↑ "Head Count"।
- ↑ "Head Office"। ১৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "MD of Indian unit"।
- ↑ "Facebook Deal"।
- ↑ "Reduce Bench time"।