ওয়ালটন গ্রুপ
ওয়ালটন হচ্ছে একটি বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, হোম অ্যান্ড কিচেন এবং প্রযুক্তিপণ্য ব্র্যান্ড। এর মূল কারখানাটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের চন্দ্রাতে অবস্থিত। ওয়ালটন গ্রুপ এর প্রায় সকল পণ্য ওয়ালটন নামে বাজারজাত করা হয়।ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক ইন্ডাস্টিজ লিমিটেড, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ওয়ালটন করপোরেশন, ওয়ালটন প্লাজা, ওয়ালটন ই-প্লাজা ইত্যাদি হচ্ছে এই গ্রুপের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটন ইলেক্ট্রনিক পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল, হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যঅপ্লায়েন্সস, যানবাহন ও টেলিযোগাযোগের পণ্য গুলো উৎপাদন করে থাকে।[১]
ধরন | পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড |
---|---|
শিল্প | conglomerate |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৭ |
প্রতিষ্ঠাতা | এস এম নজরুল ইসলাম |
সদরদপ্তর | চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, বাংলাদেশ |
প্রধান ব্যক্তি | এস এম নুরুল আলম রিজভী (চেয়ারম্যান), এস এম শামসুল আলম (ভাইস-চেয়ারম্যান), এস এম আশরাফুল আলম (পরিচালক), এস এম মাহবুবুল আলম (পরিচালক), এস এম রেজাউল আলম (পরিচালক) |
পণ্যসমূহ | কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স, কম্প্রেসর, অটোমোবাইল, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, হোম এপ্লায়েন্স, ইলেট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, |
কর্মীসংখ্যা | ২৫,০০০+ |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান | রাইজিংবিডি.কম |
ওয়েবসাইট | waltonbd.com |
ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের মধ্যে একটি এবং দেশের অর্থনীতিতে এর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। ওয়ালটন বাংলাদেশের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি।
ইতিহাস
সম্পাদনাএস. এম নুরুল আলম রিজভীর হাত ধরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্বরূপ যাত্রা শুরু করে ওয়ালটন গ্রুপ (১৯৭৭)। তবে এর মূল প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন এস এম নজরুল ইসলাম।[২] যিনি বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রিজভির পিতা। প্রথমে তারা ওয়ালটন ইস্পাত শিল্পে প্রবেশ করেছিল (১৯৭০) এরপর ইলেক্ট্রনিক্স ও অটোমোবাইল ব্যবসায় প্রবেশ করে (২০০০)।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
সম্পাদনাওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ওয়ালটন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরের চন্দ্রায় এর ভবনের কাজ শুরু হয় (২০০২) এবং এই ভবনের কাজ শেষ হয় (২০০৬)। এখানে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, মোটর সাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন তৈরি করা হয়। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় (২০২০)। এবং উক্ত বছরে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা (২০২০)।[৩]
ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশন
সম্পাদনাওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পাশেই অবস্থিত। এখানে টিভি (এলসিডি, সিআরটি), হোম এপ্লায়েন্স (ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, ইন্ডাকশন কুকার, এয়ার ফ্রায়ার, রিচার্জেবল ফ্যান, হেয়ার ড্রায়ার, ডিভিডি প্লেয়ার ইত্যাদি), এলইডি লাইট, ব্যাটারি, ইলেক্ট্রিক মটর ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
সম্পাদনাওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পাশেই অবস্থিত। এখানে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ তৈরি হয়।
বিতর্ক
সম্পাদনাএপ্রিল 2024-এ, 'রূপান্তর' নামে একটি নাটক শো স্পন্সর করার পরে ওয়ালটনের বিরুদ্ধে LGBTQ+ অধিকার প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। জবাবে, ওয়ালটন ক্ষমা চাওয়ার একটি বিবৃতি জারি করে বলে যে তারা শোটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত ছিল না এবং অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের জন্য 'লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট' সংস্থাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ দেশ জয় করে সীমানা পেরিয়ে - দৈনিক প্রথম আলো
- ↑ ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আর নেই - দৈনিক সমকাল[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ২০২০ সালে সবাইকে ছাড়িয়েছে ওয়ালটন - দৈনিক বণিক বার্তা
- ↑ "Walton serves legal notice to studio, cancels contract for 'Rupantor'"। The Business Standard। ২০২৪-০৪-১৬। ২০২৪-০৪-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ "What the actor-producer said about the criticism of the drama 'Rupantar'"। Somoy News। ২০২৪-০৪-১৬। ২০২৪-০৪-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।