ওয়ারী থানা
ওয়ারী থানা বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের আওতাভুক্ত ঢাকা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা বা থানা।[১] এটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাভুক্ত। তদারকি কর্মকর্তা হচ্ছেন ডিসি ওয়ারী জোন এবং এসি ওয়ারী জোন। এই থানাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন।
ওয়ারী | |
---|---|
থানা | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ঢাকা জেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
অবস্থান
সম্পাদনাটিপু সুলতান সড়কের আব্দুর রহমান কমিউনিটি সেন্টারের ৩য় ও ৪র্থ তলায় এ থানার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ১ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে নতুন থানা ওয়ারী। ৩/১, হাটখোলা রোড, ঢাকা। টিকাটুলি থেকে হাটখোলা যাওয়ার পথে রাজধানী মার্কেটের পশ্চিম পাশে ডিসি ওয়ারীর অফিসটি অবস্থিত।
সীমানা
সম্পাদনাউত্তরে গোপীবাগ কাঁচাবাজার হয়ে কিশোরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ। দক্ষিণে রায়সাহেব বাজার হয়ে ধোলাইখাল রাস্তা। পূর্বে দয়াদঞ্জ রেল ক্রসিংয়ের মাঝের রাস্তা হয়ে স্বামীবাগ রেলক্রোসিং এবং পশ্চিমে নবাবপুর রোড হয়ে রায়সাহেব বাজার ক্রসিং পর্যন্ত থানার সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৮৪ সালে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ওয়্যার। তার নামানুসারে ঢাকা শহরের তৎকালীন উপকণ্ঠ এলাকাটি পরিচিত হয়ে উঠেছিল উয়ারী হিসেবে। ১৮৮০ এর দশকে ওয়ারীর সাত শ এক সরকারি খাসজমিতে চাকরিজীবীদের জন্য আবাসিক এলাকা গড়ে তোলে ইংরেজ সরকার। বর্তমানে ওয়ারী বলতে একটি অভিজাত এলাকাকে বোঝায়। ৩ এপ্রিল ২০১২ সাল ঢাকার ৪২তম থানা হিসেবে ওয়ারী থানার কার্যক্রম শুরু হয়। ওয়ারী বিভাগের সূত্রাপুর থানাকে ভেঙ্গে এই থানা গঠন করা হয়।[২][৩]
অন্তর্ভুক্ত এলাকা
সম্পাদনা- টিপু সুলতান রোড (উত্তর অংশ)
- র্যাংকিং স্ট্রিট
- লারমিনি স্ট্রিট
- নবাব স্ট্রিট
- হেয়ার স্ট্রিট
- ওয়্যার স্ট্রিট
- যুগীনগর লেন
- জয়কালী মন্দির রোড
- লালমোহন সাহা স্ট্রিট
- ভজহরি সাহা স্ট্রিট
- মদন মোহন বসাক রোড
- পদ্মনিধি লেন
- হরি স্ট্রিট ল্যান্ড
- অকসেন লেন
- নারিন্দা রোড
- গোয়ালঘাট লেন
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
খ্রিস্টান সমাধিক্ষেত্রের ফটক
-
ওয়ারীর দোয়েল চত্বর
-
২০২৪-এ ধ্বংসযজ্ঞের শিকার ওয়ারী থানা ভবন
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Telephone Directory – Dhaka Metropolitan Police"। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২।
- ↑ "ঢাকার উপকণ্ঠ ছিল ওয়ারী"। প্রথম আলো। ২০১৯-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২।
- ↑ স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী। মুনতাসীর মামুন।