মল্লিকা ঝাঁঝি
মল্লিকা ঝাঁঝি বাংলাদেশের একটি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Aldrovanda vesiculosa Linn. এর গোত্র Droseraceae। মল্লিকা ঝাঁঝি একটি জলজ ও পতঙ্গভুক উদ্ভিদ।
মল্লিকা ঝাঁঝি | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
পর্ব: | Magnoliophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Caryophyllales |
পরিবার: | Droseraceae |
গণ: | Aldrovanda |
প্রজাতি: | vesiculosa |
দ্বিপদী নাম | |
Aldrovanda Vesiculosa | |
প্রতিশব্দ | |
|
স্থান
সম্পাদনাইউরোপ,অস্ট্রেলিয়া,বাংলাদেশ,ভারত, জাপান ও আফ্রিকাতে এ উদ্ভিদটি পাওয়া যায়। আকারে ছোট, শিকড়হীন এ উদ্ভিদটি পুকুর বা জলাশয়ের উপরে ভাসতে দেখা যায়। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মল্লিকা ঝাঁঝি পাওয়া যায় ১৯৭৪ সালে রাজশাহীর পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি বিল থেকে। পরবর্তীতে চলনবিল(পাবনা) থেকেও একবার সংগ্রহ করা হয়েছিল কিন্তু এর পর আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো জায়গা থেকে মল্লিকা ঝাঁঝি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হয় বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যেই এটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
গঠন
সম্পাদনাএ উদ্ভিদটি সম্পূর্ণ ৪-১২ ইঞ্চি (১০-৩০ সে.মি.) লম্বা হয়। বসন্তকালে এতে ছোট্ট সাদা ফুল ফোটে। উদ্ভিদটির শিকার ধরার ফাঁদ জলের নিচে থাকে। প্রত্যেকটি উদ্ভিদের কতগুলো স্বচ্ছ পাতাসহ একটি সরু কাণ্ড থাকে। কাণ্ডের চারদিকে ৮ টি পাতা চাকা স্পোকের মত সাজানো থাকে বলে উদ্ভিদটিকে ওয়াটারহুইল বলা হয়।
শিকারের পদ্ধতি
সম্পাদনাএ উদ্ভিদের পাতাগুলোই ফাঁদ হিসেবে কাজ করে। পাতাগুলো আকারে বেশ ছোট, দৈর্ঘ্যে মাত্র এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ (৬ মিলিমিটার)। আকারে খুব ছোট এদের শিকার গুলোও খুব ছোট হয়ে থাকে। এতে ধরা পড়ে উকুনের মত ছোট্ট এক ধরনের জলজ প্রাণী। প্ল্যাঙ্কটন নামে পরিচিত আণীবীক্ষণিক জলজ প্রাণীকুল আর জলজ প্রাণীদের লার্ভা। ওয়াটার হুইলের পাতাগুলো কাজ করে জলের নিচের ভেনাস ফাইট্র্যাপের মত। এদের পাতা দুটি খণ্ডে বিভক্ত। এখানে সারিবদ্ধভাবে শুঙ্গ সাজানো থাকে। আর খন্ডগুলোর মধ্যে থাকে ট্রিগার হেয়ার। একটি পোকা ফাঁদে প্রবেশ করলে পাতার খন্ড দুটি এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ওয়াটারহুইল তখন শিকারকে পরিপাক করে ফেলে এবং পরবর্তী শিকার ধরার জন্য ফাঁদ আবারো প্রস্তুত হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Cross, A. 2012. Aldrovanda vesiculosa. In: IUCN 2012. IUCN Red List of Threatened Species. Version 2012.2. Downloaded on 17 October 2012.