ওয়াজির খান (সিরহিন্দ)

মির্জা আসকারি (تلکس نینی; ১৬৩৫ — ১২ মে ১৭১০), যিনি তার ওয়াজির খান (وزیر خان) উপাধি দ্বারাই অধিক পরিচিত, ছিলেন বর্তমান পাঞ্জাব রাজ্যের সিরহিন্দের মুঘল গভর্নর। তিনি সুতলজযমুনা নদীর মধ্যবর্তী স্থানের মুঘল সাম্রাজ্যভূক্ত ভূখণ্ড শাসন করতেন।[][][][]

ওয়াজির খান
وزیر خان
সিরহিন্দের যুদ্ধে (১৭১০) সিরহিন্দের ওয়াজির খানের শিরশ্ছেদ করার চিত্র 'তাওয়ারিখ-ই জাহান্দার শাহ'-এর একটি চিত্রিত ফোলিও থেকে, আওআধ বা লক্ষ্ণৌ, আনু. ১৭৭০ সাল।
সিরহিন্দের নওয়াব
উত্তরসূরিখালসা ফৌজের বাবা বাজ সিং বাহাদুর
পাদিশাহ্১ম আলমগীর
জন্মমির্জা আসকারী
تلکس نینی
১৬৩৫
কুঞ্জপুরা, হারিয়ানা, মুঘল সাম্রাজ্য[]
মৃত্যু১২ মে ১৭১০(1710-05-12) (বয়স ৭৪–৭৫)
ছাপ্পার ছিরি, পাঞ্জাব, বান্দা সিংয়ের শাসনাধীন
বংশধরতুলঘান খান
পিতাজহির হারাম খান
মাতাআমিনা বেগম
ধর্মইসলাম (সুন্নি)
পেশামুঘল গভর্ণর

শিখ তথ্য মতে, মির্জা আসকারি (ওয়াজির খান) ছিলেন বর্তমান হারিয়ানা রাজ্যের কারনাল জেলার কুঞ্জপুরা এলাকার স্থানীয় অধিবাসী।[]

ওয়াজির খান শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানোর ফলে পরিচিতি পান এবং ১৭০৪ সালে তৎকালীন শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংয়ের কনিষ্ঠ পুত্রদ্বয় - সাহিবজাদা ফাতেহ সিং এবং সাহিবজাদা জোরাওয়ার সিংকে হত্যা করার নির্দেশ দান করার জন্য বিখ্যাত হন।[] তিনি গুরু গোবিন্দ সিংয়ের কনিষ্ঠ সন্তানদ্বয়কে আটক করার সময় সিরহিন্দের মুঘল গভর্ণর হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন। ওয়াজির খান গুরুর তরুণ পুত্রদ্বয়কে ইসলাম গ্রহণ করানোর জন্য জোরজবরদস্তি করেন। যখন তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অসম্মত হয় তখন তিন তাদের জীবন্ত পুতে ফেলার নির্দেশ দেন।[]

ওয়াজির খান ১৭১০ সালের ১২ মে ছপ্পর ছিরির যুদ্ধে ভাই ফাতেহ সিং জি নামীয় একজন শিখ খালসা যোদ্ধার নিকট পরাস্ত হন এবং তাৎক্ষণিক শিরোচ্ছেদ করা হয়।[] তার দেহ ষাঁড় দ্বারা মারিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয় এবং অবশেষে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।[১০]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Gandhi, Surjit (১৯৯৯)। Sikhs in the Eighteenth Century: Their Struggle for Survival and Supremacy। Singh Bros। পৃষ্ঠা 716। আইএসবিএন 81-7205-217-0। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ 
  2. Dr Harjinder Singh, 'Sikh History in 10 Volumes', Sikh University Press, Belgium, vol. 2, p. 31.
  3. Dr Harjinder Singh, 'Sikh History in 10 Volumes', Sikh University Press, Belgium, vol 1, pp 64, 259-60.
  4. Tony Jaques (২০০৭)। Dictionary of battles and sieges3। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 948। আইএসবিএন 9780313335396 
  5. গুগল বইয়ে History of Islam, পৃ. 506,
  6. William Irvine (১৯৭১)। Later Mughal। পৃষ্ঠা 94। 
  7. Singh, PrithiPal (২০০৬)। The History of Sikh Gurusআইএসবিএন 9788183820752 
  8. Dahiya, Amardeep (২০১৪)। Founder of the Khalsa: The Life and Times of Guru Gobind Singনh। Hay House, Inc। পৃষ্ঠা 183। আইএসবিএন 9789381398616 
  9. William Irvine (১৯০৪)। Later Mughals। Atlantic Publishers & Distri। 
  10. www.DiscoverSikhism.com। History Of The Sikhs Vol. II Evolution Of Sikh Confederacies (1707-69) (English ভাষায়)। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা