ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আরবি: الاتحاد العُماني لكرة القدم, ইংরেজি: Oman Football Association; এছাড়াও সংক্ষেপে ওএফএ নামে পরিচিত) হচ্ছে ওমানের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই সংস্থাটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠার বছরেই ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সদস্যপদ লাভ করে, এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠার ২ বছর পর ১৯৮০ সালে সংস্থাটি তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এএফসির সদস্যপদ লাভ করে। এই সংস্থার সদর দপ্তর ওমানের আল খুদে অবস্থিত।
এএফসি | |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৭৮[১] |
সদর দপ্তর | আল খুদ, ওমান |
ফিফা অধিভুক্তি | ১৯৭৮[১] |
এএফসি অধিভুক্তি | ১৯৮০[২] |
সভাপতি | শেখ সালেম সাঈদ সালেম আল ওয়াহাইবি |
সহ-সভাপতি | মহসিন আল মাসরুরি |
ওয়েবসাইট | www |
এই সংস্থাটি ওমানের পুরুষ, নারী এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ফুটবলে ওমান পেশাদার লীগ, ওমান প্রথম বিভাগ লীগ এবং সুলতান কাবুস কাপের মতো প্রতিযোগিতার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন শেখ সালেম সাঈদ সালেম আল ওয়াহাইবি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন সম্পাদক।
ইতিহাস
সম্পাদনাওমান সালতানাতের প্রথম ফুটবল ক্লাব (নথিভুক্ত তথ্য অনুযায়ী) মকবুল ক্লাবটি ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা বর্তমানে ওমান ক্লাব নামে পরিচিত। ১৯৭০-এর দশকে, কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং সংস্থাগুলোর উন্নয়নের পক্ষে কাজ করেছিলেন, যা ১৯৭৮ সালে ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠনে সহায়তা করে। এই সংস্থাটির প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সায়্যিদ/হাইথাম বিল তারিক আল সাইদ (তৎকালীন জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী)। প্রতিষ্ঠার বছরেই সংস্থাটি আরব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ইউনিয়ন এবং ফিফার সদস্যপদ লাভ করে এবং ১৯৮০ সালে এশিয়ান ফুটবর ফেডারশনে যোগ দেয়।[৩]
১৯৯৬ এবং ২০০০ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে ওমান চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ১৯৯৫ সালে ইকুয়েডরে অনুষ্ঠিত ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। একই প্রতিজগিতায় মোহাম্মদ আল কাঠিরি সর্বাধিক ব্যক্তিগত গোল করার মাধ্যমে গোল্ডেন বল জয়লাভ করেন। ওমানের জ্যেষ্ঠ দলটি চীনে অনুষ্ঠিত ২০০৪ সালের এএফসি এশীয় কাপের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছিল। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে গ্রুপ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। গালফ কাপে, তারা দুই বার ফাইনালে পৌঁছেছিল, ফাইনালে তারা প্রথমবার কাতারের কাছে এবং দ্বিতীয়বার সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে পরাজিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে তারা গালফ কাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করে।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্ধারিত ফিফা কার্যনির্বাহী ফুটবল শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করার জন্য মনোনীত হয়েছিল।[৪]
বর্ণনা
সম্পাদনাওমানের মোট ৪৫টি ক্লাব রয়েছে, যারা তিনটি বিভাগে বিভক্ত। প্রথম বিভাগে ১২টি ক্লাব রয়েছে, দ্বিতীয় বিভাগে ১৩টি এবং তৃতীয় বিভাগে ২০টি ক্লাব রয়েছে। ওমান তাদের দেশে ফুটবল খেলার বিকাশের লক্ষ্যে ওমান গোল প্রকল্পে ফিফার সহায়তার সুযোগ নিতে চাইছে। গোলরক্ষক আলী আল-হাবসি প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ওমানী হিসেবে ইউরোপে ফুটবল খেলেছেন। ওমানের সরকার ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয় (২০১০) এই সংস্থাটিকে ৭০% অর্থের যোগান দিয়ে থাকে।[৫]
কর্মকর্তা
সম্পাদনা- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।[১]
অবস্থান | নাম |
---|---|
সভাপতি | শেখ সালেম সাঈদ সালেম আল ওয়াহাইবি |
সহ-সভাপতি | মহসিন আল মাসরুরি |
সাধারণ সম্পাদক | সাঈদ আল বুলুশি |
কোষাধ্যক্ষ | |
গণমাধ্যম এবং যোগাযোগ পরিচালক | উই;ইয়াম বুকাররুম |
প্রযুক্তিগত পরিচালক | স্লোবোদান পাভকোভিচ |
ফুটসাল সমন্বয়কারী | |
জাতীয় দলের কোচ (পুরুষ) | ব্রাঙ্কো ইভাঙ্কোভিচ |
জাতীয় দলের কোচ (নারী) | |
রেফারি সমন্বয়কারী | ওমর খালাফ |
পুরস্কার
সম্পাদনাব্যক্তিগত
সম্পাদনাসাল | খেলোয়াড় | পুরস্কার |
---|---|---|
১৯৯৫ | মোহাম্মদ আল কাঠিরি | বর্ষসেরা এশীয় ফুটবলার, ১৯৯৫ |
১৯৯৫ | মোহাম্মদ আল কাঠিরি | ১৯৯৫ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এর গোন্ডেন বল |
২০০২ | হানী আল ধবিত | ১৫তম আরব গাল্ফ কাপ এর গোল্ডেন শ্যু |
২০০৩ | আলী আল-হাবসি | ১৬তম আরব গাল্ফ কাপ এর সেরা গোলরক্ষক |
২০০৪ | আলী আল-হাবসি | ১৭তম আরব গাল্ফ কাপ এর গোল্ডেন শ্যু |
২০০৪ | আলী আল-হাবসি | ১৭তম আরব গাল্ফ কাপ এর সেরা গোলরক্ষক |
২০০৭ | আলী আল-হাবসি | ১৮তম আরব গাল্ফ কাপ এর সেরা গোলরক্ষক |
২০০৯ | আলী আল-হাবসি | ১৯তম আরব উপসাগরীয় কাপ ব্যক্তিগত পুরস্কারে সেরা গোলরক্ষক |
দলীয়
সম্পাদনাসাল | দল | পুরস্কার | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|
১৯৮৯ | ফানজা | প্রথম স্থান | গাল্ফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ |
১৯৯৪ | ওমান এফ.সি. | দ্বিতীয় স্খান | এশীয় ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ ১৯৯৩-১৯৯৪ |
১৯৯৪ | ওমান অনূর্ধ্ব- ১৭ দল | তৃতীয় স্থান | এএফসি অনূর্ধ্ব- ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ ১৯৯৪ |
১৯৯৫ | ওমান অনূর্ধ্ব- ১৭ দল | চতুর্থ স্থান | ১৯৯৫ ফিফা অনূর্ধ্ব- ১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ |
১৯৯৫ | ধোফার এস.সি.এস.সি. | দ্বিতীয় স্থান | গাল্ফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ |
১৯৯৬ | ওমান অনূর্ধ্ব- ১৭ দল | চ্যাম্পিয়ন | এএফসি অনূর্ধ্ব- ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ ১৯৯৬ |
২০০০ | ওমান অনূর্ধ্ব- ১৭ দল | চ্যাম্পিয়ন | এএফসি অনূর্ধ্ব- ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০০০ |
২০০৪ | ওমান জাতীয় দল | দ্বিতীয় স্থান | ১৭তম আরবীয় গাল্প কাপ |
২০০৭ | ওমান জাতীয় দল | দ্বিতীয় স্থান | ১৮তম আরবীয় গাল্প কাপ |
২০০৯ | ওমান জাতীয় দল | বিজয়ী | ১৯তম আরবীয় গাল্প কাপ |
২০১২ | ওমান অনূর্ধ্ব- ২১ দল | রানার্স আপ এএফনি বনাম সিএএফ | অলিম্পিকস ২০১২ |
২০১৫ | সীব | ১ম রানার্স আপ | গাল্ফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য"। fifa.com (ইংরেজি ভাষায়)। ফিফা। ৭ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ June 25, 1980: "Asian Football Confederation holds 9th congress in Hong Kong: Oman and Democratic Yemen were admitted into the Asian Football Confederation (AFC) by a resolution passed at its ninth congress here yesterday, thus bringing the AFC total membership to 35." Xinhua General News Service
- ↑ History ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে, Ofa.com
- ↑ Ashok Purohit, Oman to host FIFA Executive Football Summit ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে, Muscatdaily.com, 8 November 2017
- ↑ Majid AL-Busafi, Oman: An Emerging Sport Nation, History and Future Directions ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে, Ijssjournal.com, 2012
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (আরবি) (ইংরেজি)
- ফিফা-এ ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে (ইংরেজি)
- এএফসি-এ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইংরেজি)