এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী

মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিব হত্যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি

এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সাবেক সামরিক অফিসার। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী। বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। []

এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী
জন্ম
সিলেট
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণশেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড
অপরাধের অভিযোগশেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড
অপরাধের শাস্তিবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
অপরাধীর অবস্থাপলাতক

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীর জন্ম সিলেটে। তার বাবার নাম এম এ নূর।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকুরি করতেন এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে ভারতে যান। তাকে মুক্তিবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর এইড ডি ক্যাম্প (এডিসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।

শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা

সম্পাদনা

৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত গৃহকর্মী আবদুর রহমান শেখ রমা জানান: “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ বেগম মুজিব দরজা খুলে বাইরে এসে বলেন, দুস্কৃতকারীরা সেরনিয়াবাতের বাসা আক্রমণ করেছে। দ্রুত লেকের পাড়ে গিয়ে দেখি কিছু আর্মি গুলি করতে করতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে আসছে। বঙ্গবন্ধুকে তখন পিএ এবং রিসেপশনিস্টের রুমে কথা বলতে দেখি। দোতলায় উঠে দেখি বেগম মুজিব ছোটাছুটি করছেন। তিন তলায় গিয়ে আর্মিরা বাসা আক্রমণ করেছে বলে শেখ কামালকে ঘুম থেকে উঠাই। কামাল দ্রুত একটা শার্ট এবং প্যান্ট পরে নিচের দিকে চলে যান। তার স্ত্রী সুলতানা কামাল দোতলায় আসেন। দোতলায় একইভাবে শেখ জামালকে ঘুম থেকে উঠাই। শেখ জামালও দ্রুত শার্ট-প্যান্ট পরে মায়ের রুমে যান, সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। তখন খুব গুলি হচ্ছিলো। এই পর্যায়ে শেখ কামালের আর্তচীৎকার শুনতে পাই।

এর আগেই বঙ্গবন্ধু নিচে নেমে আবার দোতলায় চলে এসেছিলেন। গুলি থামলে তিনি তার রুম থেকে বের হওয়ামাত্র আর্মিরা তাকে তার বেডরুমের সামনে ঘিরে ফেলে।”

রমা জানান: শেখ মুজিবুর রহমান তাদের বলেন, তোরা কি চাস? কোথায় নিয়া যাবি আমাকে? তারা তখন বঙ্গবন্ধুকে সিঁড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। দুই/তিন ধাপ নামার পর নিচের দিক থেকে আর্মিরা গুলি করে।

খেতাব বাতিলকরণ

সম্পাদনা

২০২১ সালের ৬ জুন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে নুর চৌধুরীসহ মোট ৪ জনের খেতাব বাতিল করে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. প্রথম আলো
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ৪৭৭। আইএসবিএন 9789843351449