এরিকসন

সুইডিশ যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান

এরিকসন সুয়েডীয় টেলি যোগাযোগ সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ১৮৭৬ সালে লার্স ম্যাগনাস এরিকসন এটিকে একটি টেলিগ্রাফ যন্ত্র মেরামত দোকান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। আগের বিংশ শতাব্দীতে, এরিকসন হস্তচালিত টেলিফোন এক্সচেঞ্জের বিশ্ববাজারে রাজত্ব করেছে কিন্তু সয়ংক্রিয় যন্ত্রের ক্ষেত্রে তেমন বিশেষ কিছু করতে পারেনি। পৃথিবীর বৃহত্তম হস্তচালিত টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, যা সর্বদা একসাথে ৬০, ০০০ লাইন চালানো যায়, ১৯১৬তে মস্কোতে এরিকসনের দ্বারা বসানো করা হয়েছিল। ১৯৯০ দশকে, এরিকসন বসানো সেলুলার টেলিফোন সিস্টেমের ৩৫-৪০ শতাংশ বাজার শেয়ার ধরতে সক্ষম হয়েছিল।

এরিকসন
ধরনপাবলিক লিমিটেড কোম্পানি
শিল্পTelecommunications equipment
প্রতিষ্ঠাকালস্টকহোম, সুইডেন (১৮৭৬; ১৪৭ বছর আগে (1876))
প্রতিষ্ঠাতালার্স মাংগুস এরিকসন
সদরদপ্তরকিস্টা, স্টকহোম, সুইডেন
বাণিজ্য অঞ্চল
বৈশ্বিক
পণ্যসমূহমোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ব্রডব্যন্ড নেটওয়ার্ক , প্রযুক্তি উপদেষ্টা
আয়২২৭.৮ বিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (2012)[]
SEK 10.45 billion (2012)[]
SEK 5.9 billion (2012)[]
মোট সম্পদSEK 274.9 billion (2012)[]
মোট ইকুইটিSEK 136.8 billion (2012)[]
কর্মীসংখ্যা
113,989 (September 2013)[]
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানST-Ericsson (100%)
Ericsson-LG (75%)
ওয়েবসাইটEricsson.com

ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠা

সম্পাদনা

লার্স ম্যাগনাস এরিকসন তার তরুণ বয়সে একজন যন্ত্রপাতি তৈরীকারক হিসেবে টেলিফোনের সাথে সংশ্লিষ্ট হন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন যেটা আরেকটি সুইডিশ কোম্পানি টেলিগ্রাফভারটেক এর জন্য টেলিগ্রাফ তৈরি করত। ১৮৭৬ সালে ৩০ বছর বয়সে কার্ল যোহান এন্ডারসন নামক বন্ধুর সহায়তায় তিনি টেলিগ্রাফ যন্ত্র সারাই এর কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৮ সালে এরিকসন নিজেদের তৈরি টেলিকমিউনিকেশন (টেলি যোগাযোগ) যন্ত্র বাজারজাত শুরু করে। ১৮৭৮ সালে স্থানীয় টেলিফোন আমদানিকারক নুমা পিটারসন এরিকসনকে বিখ্যাত বেল টেলিফোন কোম্পানীর তৈরি কিছু যন্ত্র পরির্ধন করার কাজ দেয়। এর মাধ্যমে তিনি বেল এবং পরবর্তিতে জার্মানীর সিমেন্স কোম্পানীর টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রের সাথে পরিচিত হন। এরিকসন এদের নকশার উন্নয়ন করে নিজের তৈরি টেলিফোন প্রস্তুত করেন ১৮৭৯ সালে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Annual Results 2011" (পিডিএফ)। Ericsson। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৮, ২০১১ 
  2. "Ericsson Facts & Figures"। Ericsson। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৩০, ২০১৩