এম. এ. আজিজ
এম. এ. আজিজ (জন্ম:১৯২১-মৃত্যু ১১ জানুয়ারি ১৯৭১) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[১] তার নামানুসারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের নামকরণ হয়েছে এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম।
চট্টল শার্দূল এম. এ. আজিজ | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১১ জানুয়ারি ১৯৭১ |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
শিক্ষা | পাহাড়তলী রেলওয়ে হাইস্কুল চট্টগ্রাম কলেজ |
পেশা | রাজনীতি |
আদি নিবাস | চট্টগ্রাম |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পিতা-মাতা | পিতা: মোহাববত আলী মাতা: রহিমা খাতুন |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (২০০১) |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
সম্পাদনা১৯২১ সালে চট্টগ্রাম জেলার হালিশহরে তার জন্ম। পিতা মোহাববত আলী ও মাতা রহিমা খাতুন।
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাম.এ আজিজ ১৯৪০ সালে পাহাড়তলী রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এ সময়ে তিনি অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগে যোগ দেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ১৯৪৪ সালে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কর্মজীবন
সম্পাদনাআওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তিনি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ভাষা আন্দোলনের পরপরই তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। এম.এ আজিজ ১৯৫৩ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালে ৯২-ক ধারা জারি হলে সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬-দফা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৬৬ সালের ৮ মে নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন। সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৭০ সালের ১৮ জুলাই তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। এম.এ আজিজ ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কোতোয়ালী-ডবলমুরিং আসন থেকে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
মৃত্যু
সম্পাদনাএম.এ আজিজ ১৯৭১ সালের ১১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
পুরস্কার ও সম্মননা
সম্পাদনাএদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০১ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[২][৩][৪] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[১]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
- ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।