এভরি সানডে
এভরি সানডে (কখনো কখনো এভরি সানডে আফটারনুন বা অপেরা ভার্সেস জ্যাজ বলা হয়) ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন স্বল্পদৈর্ঘ্য মিউজিক্যাল চলচ্চিত্র। যেটির কাহিনীতে দেখা যায় দু'জন তরুনীর চেষ্টায়, অল্পদর্শক উপস্থিতির হাত থেকে একটি স্থানীয় ধারাবাহিক কনসার্ট রক্ষা পায়।
এভরি সানডে | |
---|---|
পরিচালক | ফেলিক্স ই. ফিস্ট |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | মাউরি গ্রাসিং |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | |
চিত্রগ্রাহক |
|
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট |
ভাষা | ইংরেজি |
ফেলিক্স ই ফিস্ট পরিচালিত এটি একটা উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র যেখানে, অভিনেত্রী ডিয়ানা ডার্বিন ও জুডি গারল্যান্ডের অডিশন এবং পর্দায় উপস্থিতি দেখে, তাদের বড় তারকা হবার সম্ভাবনার কথা ধারণা করা হয়েছিল। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তির সময় হালকাভাবে পর্যালোচিত হলেও, পরর্তীতে গারল্যান্ড জীবনীকারদের নিকট থেকে ইতিবাচক সুনাম অর্জন করেছিল।
কাহিনীসংক্ষেপ
সম্পাদনাএকটি ছোট শহরের দুই বান্ধবী ইডনা (ডিয়ানা ডার্বিন) এবং জুডি (জুডি গারল্যান্ড) খুবই হতাশ। ইডনার দাদুর অর্কেস্ট্রাদল, যারা প্রতি রবিবার স্থানীয় পার্কে ফ্রী কনসার্টের আয়োজন করে। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারে না। অল্প দর্শক হয় এই অজুহাতে নগর পরিষদ তাদের জায়গার বরাদ্দ বাতিলের হুমকি দেয়। ব্যপারটি ইডনা আর জুডিকে বিপর্যস্ত করে তোলে। তারা পরের রবিবারে গান গাওয়ার বুদ্ধি আঁটে এবং প্রচারণা চালায়। সেই অনুযায়ী কনসার্টের দিন তারা দাদুর ব্যন্ডদলে গান গায়। দু'জনের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়ে পার্কটি দর্শকে ভরে ওঠে। এটা ছিল অর্কেস্ট্রাদলটির জন্য বিরাট সফলতা, আর এভাবেই তারা দলটিকে রক্ষা করে।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- ডিয়ানা ডার্বিন – ইডনা
- জুডি গারল্যান্ড – জুডি
উৎপাদন
সম্পাদনাডিয়ানা ডার্বিন ও জুডি গারল্যান্ড দু'জনেই গায়িকা হিসেবে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার স্টুডিওর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল পূর্ববর্তি এক চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের দিয়ে সেই চলচ্চিত্রে কোন গান করানো হয়নি। এদিকে তাদের চুক্তি নবায়নের সময় হয়ে আসলে স্টুডিওর পরিচালনা পর্ষদের মনে হল যে তাদের দু'জন গায়িকার প্রয়োজন নেই। তাই এভরি সানডে-তে অডিশন নেয়া হয় মুলত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে দু'জনের মধ্যে কার চুক্তি নবায়ন করা হবে।[১]
ডার্বিন চলচ্চিত্রটির জন্য আরিয়া ২ বাসিনো গানটি রেকর্ড করে। সুরকার কন কনার্ড এবং হার্ব ম্যাগিডসন, গারল্যান্ডের জন্য লিখেছিলেন বিশেষ গান দ্যা আমেরিকানা।[২]
চিত্রায়নের পূর্বে পরিচালনা পর্ষদ ডার্বিন না গারল্যান্ড, কাকে রাখা যায় এটা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। শেষে লুইস বি মায়ার ইউরোপ থেকে ফিরে দু'জনকেই রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।[৩] ততদিনে ডার্বিনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তিনি ইউনিভার্সাল স্টুডিওসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন, যেখানে তার অভিষেক চলচ্চিত্র থ্রি স্মার্ট গার্লস মুক্তি পায়। এবং এই ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রটি ইউনিভার্সাল স্টুডিওসকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।[৪]
সমালোচক প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাস্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে এভরি সানডে মুক্তির সময় তেমন একটা সমালোচকদের দৃষ্টি অর্জন করতে পারেনি। ডার্বিনের স্থানীয় পত্রিকা দ্যা উইনিং ফ্রী প্রেস চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করলেও এটিকে খুবই সংক্ষিপ্ত বলে বর্ণনা করে এবং গারল্যান্ডকে গার্ল সিংগার অব ডিস্টিংশান উপাধি দেয়।[৫]
গারল্যান্ডের চরিত্রকার চলচ্চিত্রটিকে বর্ণনা করেছেন, এভরি সানডের প্রতি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে জুডির প্রতিভার স্বাক্ষর,[৬] চলচ্চিত্রটিকে দারুন মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষনীয় করে তুলেছে মাত্র চৌদ্দ বছরের কিশোরী গারল্যান্ড,[৭] পাশাপাশি ডার্বিনের সাবলিল উপস্থিতি[৬] তার সাহসী চেতনার প্রকাশ করে।"[৮]
আরও দেখুন
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনা- ↑ Clarke 2001, পৃ. 73।
- ↑ Juneau 1974, পৃ. 25।
- ↑ Frank 1975, পৃ. 83।
- ↑ Clarke 2001, পৃ. 76।
- ↑ "Radio Flashes: Deanna Again"। Winnipeg Free Press। ১৯৩৭-০২-২০।
- ↑ ক খ Finch 1976, পৃ. 98।
- ↑ Juneau 1974, পৃ. 27।
- ↑ Juneau 1974, পৃ. 28।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Clarke, Gerald (২০০১)। Get Happy: The Life of Judy Garland। New York: Random House। আইএসবিএন 0-375-50378-1।
- Finch, Christopher (১৯৭৬)। Rainbow: The Stormy Life of Judy Garland। New York: Ballantine Books। আইএসবিএন 0-345-25173-3।
- Frank, Gerold (১৯৭৫)। Judy। New York: Harper & Row। আইএসবিএন 0-06-011337-5।
- Juneau, James (১৯৭৪)। Judy Garland: A Pyramid Illustrated History of the Movies। New York: Pyramid Publications। আইএসবিএন 0-515-03482-7।
- Shipman, David (১৯৯২)। Judy Garland: The Secret Life of an American Legend। New York: Hyperion। আইএসবিএন 0-7868-8026-0।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা