এন তুস তিয়েরাস বাইলারে
এন তুস তিয়েরাস বাইলারে (“তোমাদের ভূমিতে আমি নাচবো”) হলো স্পেনীয় ভাষার একটি ভাইরাল ভিডিও। এরে ইসরায়েলের ভূমি ও জনগণের প্রতি ভালোবাসা দেখানো হয়েছে। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে এটি প্রথম আবির্ভূত হয়।[২]
"এন তুস তিয়েরাস বাইলারে" | ||
---|---|---|
ওয়েন্দি সুলকা, দেলফিন কিশপে এবং তিগ্রেসা দেল অরিয়েন্তে কর্তৃক একক | ||
মুক্তিপ্রাপ্ত | ১৯ এপ্রিল ২০১০ | |
ধারা | ইলেকট্রোপপ, আন্দীয় সঙ্গীত | |
লেখক | দারিও হেলমান
| |
প্রযোজক | গাবি কেরপেল | |
সঙ্গীত ভিডিও | ||
ইউটিউবে “এন তুস তিয়েরাস বাইলারে” |
ভিডিওর গানটি লাতিন আমেরিকায় বেশ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয় এবং দ্রুত কোটি কোটি মানুষ ভিডিওটি দেখে।[৩] কাইয়ে ত্রেসের (কাইয়ে ১৩) সঙ্গীতশিল্পী রেসিদেন্তে একে ইউটিউবের “উই আর দ্য ওয়ার্ল্ড” বলে অভিহিত করেন।[৪]
গায়ক
সম্পাদনাভিডিওতে তিনজন প্রধান ও বেশ কয়েকজন পার্শ্বশিল্পীকে দেখা যায়। প্রধান শিল্পীরা হলেন পেরুর লা তিগ্রেসা দেল অরিয়েন্তে, ওয়েন্দি সুলকা এবং “দেলফিন আস্তা এল ফিন” নামে পরিচিত ইকুয়েডরের আদিবাসী কিচওয়া গীতিকার ও শিল্পী দেলফিন কিশপে। কিশপে ইসরায়েল ভ্রমণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।[৫]
ভিডিও
সম্পাদনাভিডিওর শুরুতে দেখা যায় দেলফিন কিশপেকে বসার ঘরে বসে টেলিভিশন দেখতে দেখা যায়। টেলিভিশনে ইসরায়েলে বাস করতে যুদ্ধ, ভয় ও বিপদের কথা বলতে শোনা যায়, যদিও বক্তারা কেউ ইসরায়েলি নয়। দেলফিন পায়ের ওপর উঠে দাঁড়ায় এবং হাত দুইটি উপরে তুলে চিৎকার করে বলে “এটা হতে পারে না”। এরপর ভিডিওতে বাকি শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। গানটিতে এরপর ইসরায়েল ও ইসরায়েলিদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়।[৫] গানটির গীতিকার বুয়েনোস আইরেসের বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মকর্তা গাস্তন ক্লেইমান গানটিকে “ভুল ধারণার বিরুদ্ধে গান” বলে অভিহিত করেন।[২] গাবি কেরপেল ও দানিয়েল মার্তিন এই গানের স্বরগ্রাম নির্ধারণ করেন।[২] পিকি তালারিকো এই ভিডিও পরিচালনা করেন।[২]
প্রযোজনা
সম্পাদনাভিডিওর সাউন্ডট্র্যাকগুলো আলাদা আলাদাভাবে ধারণ করা হয়। ওয়েন্দি ও বুস্তোসের অংশ লিমায় ধারণ করা হয়। অন্যদিকে দেলফিনের অংশটি ইকুয়েডরে ধারণ করা হয়। গাবি কেরপেল বুয়েনোস আইরেদ থেকে সঙ্গীত মিশ্রণ ও ভিডিও প্রযোজনার কাজ করেন।[৩] তিনজন শিল্পী একে অপরকে চিনতেন না এবং ভিডিও প্রযোজনার সময় তারা একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করেননি।[৫]
সাংস্কৃতিক প্রভাব
সম্পাদনাভিডিওর নির্মাতারা নিতান্তই সরল উদ্দেশ্যে ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন।[২] আলমা গিলারমোপ্রাইতো এই ধারণাটি দিয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক রিভিউ অব বুকস-এ লাতিন আমেরিকাকে “সরল শিল্পের সর্বশেষ আধার” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন:
“Their self-confidence and optimism we can only envy, and yet they have lives we can barely imagine (how much did the rural violence provoked by Peru’s Shining Path guerrillas influence Wendy’s parents’ decision to migrate to the capital?); they make choices that to us seem inscrutable (what is that monkey doing behind the rowboat?). But millions of people admire these singers. What the video shows us is the chaotic transformation of a culture that has always had an infinite and joyful capacity for self-invention. This is not outsider but insider art of the deepest sort, forged in a hot-hot crucible, and it is we who stand on the outside, peering wistfully at the screen.”[৬]
ভিডিওর সফলতা এর তিনজন শিল্পীর জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এরকম একটি বিজ্ঞাপনী দল লা তিগ্রেসাকে বুয়েনোস আইরেসে নিয়ে আসে, যেখানে এক দামি রাস্তোরাঁয় নৈশভোজে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তার ভক্তরা “এন তুস তিয়েরাস বাইলারে” ধ্বনিতে মুখরিত করে।[২] সমকামীরা তাকে আইকন হিসেবে তুলনা করে এবং রাস্তার পাশে তার ছবি তোলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। এছাড়া তাদের বিশ্বভ্রমণের আলোচনাও চলমান ছিল, যার শেষ হতো ইসরায়েলে গিয়ে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ASCAP Repertory entry for this song"। এএসসিএপি। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ [১]"Viral Zionism; How an Israel-promoting web-video phenomenon bloomed in Latin America", Irin Carmon, July 2, 2010, Tablet magazine.
- ↑ ক খ "Diario El Tiempo, Ecuador"। ৩ মে ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১০।
- ↑ Diario El comercio, Peru
- ↑ ক খ গ [২] "Delfín Quishpe: ‘El grito me identifica’", 05 de mayo del 2010, El Universo.
- ↑ গিলারমোপ্রাইতো, আলমা (৯ জুন ২০১০)। "What is that Monkey Doing Behind the Rowboat?"। দ্য নিউ ইয়র্ক রিভিউ অব বুকস। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);