এন্টামিবা
এন্টমিবা হলো প্রোটিস্টা রাজ্যভুক্ত এক ধরনের এককোষী জীব। খালি চোখে এদের দেখা যায় না। এদের দেহের কোন নির্দিষ্ট আকৃতি নেই কারণ এরা সর্বদাই অ্যামিবার মতো আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। এদের দেহ স্বচ্ছ জেলির ন্যায়। তবে কখনো কখনো প্রতিকুল পরিবেশে এরা গোলাকার শক্ত আবরণে এদের দেহ ঢেকে ফেলে। এ অবস্থায় একে সিস্ট বলে। [১]
রোগ বিস্তার
সম্পাদনাএন্টামিবাকে প্রকৃত পরজীবি বলা হয়।এন্টামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের সাবকোমাস্টিগোফোরা পর্বের এককোষী জীব।মানবদেহে ৭ প্রজাতির এন্টামিবা বসবাস করে।তার মধ্যে এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা বৃহদান্ত্রে এমিবিক আমাশয় সৃষ্টি করে।
বৈশিষ্ট্যঃ (ক) এরা মানুষের বৃহদন্ত্রে অন্তঃপরজীবী হিসেবে বাস করে।
(খ) অস্ত্রের প্রাচীরে ঘা বা ক্ষত তৈরি করে।
(গ) লোহিত রক্ত-কণিকাকে এরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
(ঘ) আমাশয় রোগে রোগীর পেট কামড়ায়, এবং শ্লেষ্মাযুক্ত নরম মল বার বার নির্গত হয়। অনেক সময় মলের সঙ্গে রক্তও পড়ে।
(ঙ) বিজ্ঞানী লোশ (Losch) সর্বপ্রথম আদ্যপ্রাণী এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা আবিষ্কার করেন।
(চ) আমাশয় জল-বাহিত রোগ। সাধারণতঃ খাদ্য ও পানীয়ের মাধ্যমে এই রোগ সংক্রামিত হয়।[২]
বংশবৃদ্ধি
সম্পাদনাএন্টমিবা কোষ বিভাজন ও অণুবীজ (স্পোর) সৃষ্টির মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে।স্পোরুলেশন পদ্ধতিতে একটি কোষের প্রোটোপ্লাজম বহুখন্ডে বিভক্ত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুবীজ বা স্পোর গঠন করে।অণুকূল পরিবেশে এরা প্রত্যেকে একটি নূতন অ্যামিবা হিসেবে বড় হয়। [১]
এন্টমিবা'র বিভিন্ন অংশ
সম্পাদনাএন্টামিবা ৮টি অংশে বিভক্ত। যথা -
• ক্ষণপদ