এথেলম
এথেলম (বা Æthelhelm; মৃত্যু ১৯২৬) একজন ইংরেজ পাদ্রী ছিলেন, যিনি বাথ এবং ওয়েলসের প্রথম বিশপ, এবং পরবর্তীতে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ ছিলেন। এক বিশপীয় এলাকা থেকে অন্য এলাকায় তার স্থানান্তর পরবতী যাজকদের জন্য একটি নজির স্থাপন করেছিলেন কারণ এর আগে এই ধরনের স্থানান্তর বেআইনি বলে বিবেচিত হত। আর্চবিশপ হিসেবে এখেলম নতুন রাজাকে মুকুট পড়িয়ে দিতেন এবং সম্ভবত, তিনি নতুন রাজার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াটি তিনিই লিপিবদ্ধ করেছিলেন। ডানস্টানের একজন পুরান আত্মীয়, ক্যান্টারবেরির পরবর্তী আর্চবিশপ, এথেলম ডানস্টানের কমজীবনের শুরু দিকে তাকে সহযোগিতা করেন। এথেলমের মৃত্যুর পর, তাকে একজন সাধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এথেলম | |
---|---|
ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ | |
প্রদেশ | ক্যান্টারবেরি, নিউ সাউথ ওয়েল্স |
বিশপের এলাকা | ক্যান্টারবেরির বিশপীয় এলাকা |
নিযুক্ত | ৯২৩ এবং ৯২৫ এর মধ্যে |
মেয়াদ শেষ | ৮ জানুয়ারি ৯২৬ |
পূর্ববর্তী | প্লেগমান্ড |
পরবর্তী | উল্ফহেল্ম |
অন্যান্য পদ | বাথ এবং ওয়েলসের বিশপ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | ৮ জানুয়ারি ৯২৬ |
সমাধি | ক্যান্টারবেরি |
পোপের আখ্যা | |
উৎসবের দিন | ৮ জানুয়ারী |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | রোমান ক্যাথলিক গীর্জা |
মহাত্ম্য | প্রাক--ধর্মসভা |
পটভূমি
সম্পাদনা৯০৯ খ্রিস্টাব্দে সি অব ওয়েলসের প্রথম যাজকের পদে উন্নীত হওয়ার[১] পূবে এথেলম গ্লাসটনব্যারি গির্জার একজন সন্নাসী ছিলেন।[২] সি অব ওয়েলস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শেনবোন বিশপীয় এলাকাকে, যা আকারে অনেক বড় ছিল, বিভক্ত করে সমারসেট প্রদেশ বিশপীয় এলাকা সৃষ্টি করা হয়েছিল। ওয়েলস প্রদেশটির মধ্যবতী অঞ্চলে অবস্থিত বিধায় ওয়েলসকে বিশপীয় এলাকার জন্য বাছাই করা হয়েছিল।[৩] কিছু কিছু পন্ডিতের গবেষণা থেকে পাওয়া যায় যে, এথেলম আর এথেলহেল্ম, ওয়েসেক্সের রাজা এথেলরেডের পুত্র,[৪] একই ব্যক্তি হতে পারে, কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিক মতে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।[৫] কিছু সূত্রের বিবৃতি মতে, এথেলম উচ্চপদস্থ খ্রিস্টীয় যাজক বা বিশপ হওয়া পূবে তিনি গ্লাসটনব্যারি গির্জার সন্নাসী ছিলেন,[৬] কিন্তু অন্য সূত্রগুলো এই মতের সাথে দ্বিমত পোষণ করে এবং সূত্র অনুসারে তিনি ঐ পদে আসীন ছিলেন না।[২] তার ভাই হেরোস্টান, যিনি গ্লাসটনব্যারি নিকটেই বাস করতেন।[৭]
প্রধান যাজকে বিশপীয় এলাকা
সম্পাদনাঅগাস্ট ৯২৩ এবং সেপ্টম্বর ৯২৫ এর মধ্যেই প্রধান ধর্ম যাজক পদে তার পদোন্নতি ঘটে।[৮][ক] সি অব ওয়েলস থেকে তার অন্য বিশপীয় এলাকায় তার স্থানান্তর ভবিষ্যতের যাজকদের জন্য একটি নজির স্থাপন করে। এথেলমের স্থানান্তরের পূর্বে বিশপের এক বিশপীয় এলাকা থেকে অন্য বিশপীয় এলাকায় স্থানান্তর গির্জার অনুশাসন অনুযায়ী বা যাজক সম্পর্কিত আইন অনুযায়ী বেআইনি ছিল। তবে বর্তমানে পোপরা নিজেরাই স্থানান্তরিত হন এবং এথেলমের পর থেকে ব্রিটেনে এই ধরনের স্থানান্তর সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়।[১০][১১] এথেলম ডানস্টানের,[২] যিনি পরবর্তীতে ক্যান্টারবরির আর্চবিশপ হন, চাচা ছিলেন। এথেলমই ডানস্টানকে রাজ দরবারে নিয়ে গিয়েছিলেন।[১২]
৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ৪ সেপ্টম্বরে ইংল্যান্ডের রাজা এথেলস্টান এর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন এবং সম্ভবত তিনিই নতুন ওরডো (নিয়মবিধি বা অধ্যাদেশ) লিখেছিলেন যেখানে প্রথমবারের মত নতুন রাজা শিরস্ত্র বা শিরস্ত্রাণ ধারণ করার পরিবর্তে মুকুট মাথায় পরিধান করেন। ক্যান্টারবরির সেন্ট অগাস্টিন গির্জাকে তিনি রাজা কর্তৃক অনুমোদিত করান।[১১] ক্যান্টারবরির প্রধান ধমযাজক হিসেবে নিজের নামে মুদ্রা প্রচলনের নিয়ম থাকলেও এথেলমের নাম অনুসারে কেন কোন মুদ্রার প্রচলন করা হয়নি তা অস্পষ্টই রয়ে গেছে। প্রধান ধর্মযাজক হিসেবে এথেলমের ব্যাপারে আর বেশি কিছু জানা যায়নি।[১০]
মৃত্যু এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
সম্পাদনা৮ জানুয়ারি ৯২৬ খ্রিস্টাব্দে এথেলম মৃত্যুবরণ করেন।[২][৮] পরবর্তীতে তিনি সাধক হিসেবে বিবেচিত হন এবং ৮ জানুয়ারীতে তার স্মরণে ধর্মীয় উংসব অনুষ্ঠিত হয়।[১৩] স্যাক্সন-এরা আর্চবিশপ এলাকার প্রধান গির্জার নিকটেই অবস্থিত সেন্ট জন গির্জাতে এথেলমকে সমাহিত করা হয়। নরম্যান কনকুয়েস্ট অব ইংল্যান্ড এর নামে লানফ্রাঙ্ক আচবিশপীয় এলাকায় নতুন একটি গিজা নিমিত হলে, ক্যান্টাবরির প্রধান যাজককে ঐ গিজায় স্থলাভিষিক্ত করা হয়। পরবতীতে, এথেলম এবং তার উত্তারধিকারী উল্ফথেলমের সমাধি সেন্ট বেনেডিক্টকে উৎসগীত করা একটি গিজায় স্থানান্তর করা হয়।[১৪]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ Janet Nelson states that he became archbishop in 923.[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Fryde, et al. Handbook of British Chronology p. 222
- ↑ ক খ গ ঘ Mason "Athelm" Oxford Dictionary of National Biography
- ↑ Robinson Saxon Bishops of Wells p. 5
- ↑ Dolley "Important Group" British Museum Quarterly p. 75
- ↑ Miller "Æthelred I" Oxford Dictionary of National Biography
- ↑ Delaney Dictionary of Saints p. 65
- ↑ Robinson Saxon Bishops of Wells p. 6
- ↑ ক খ Fryde, et al. Handbook of British Chronology p. 214
- ↑ Nelson "First Use" Myth, Rulership, Church and Charters p. 126
- ↑ ক খ Brooks Early History of the Church of Canterbury pp. 214–216
- ↑ ক খ Nelson "First Use" Myth, Rulership, Church and Charters pp. 124–126
- ↑ Stenton Anglo-Saxon England p. 446
- ↑ Catholic Online "St Athelm" Catholic Online
- ↑ Robinson Saxon Bishops of Wells pp. 58–59
পাদটীকা
সম্পাদনা- Brooks, Nicholas (১৯৮৪)। The Early History of the Church of Canterbury: Christ Church from 597 to 1066। London: Leicester University Press। আইএসবিএন 0-7185-0041-5।
- Catholic Online। "St Athelm"। Catholic Online। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০০৭।
- Delaney, John P. (১৯৮০)। Dictionary of Saints (Second সংস্করণ)। Garden City, NY: Doubleday। আইএসবিএন 0-385-13594-7।
- Dolley, R. H. M. (জুন ১৯৫৮)। "An Important Group of Tenth-Century Pence"। The British Museum Quarterly। 21 (3): 74–76। জেস্টোর 4422583।
- Fryde, E. B.; Greenway, D. E.; Porter, S.; Roy, I. (১৯৯৬)। Handbook of British Chronology (Third revised সংস্করণ)। Cambridge, UK: Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-56350-X।
- Mason, Emma (২০০৪)। "Athelm (d. 926)"। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/832। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০০৭। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- Miller, Sean (২০০৪)। "Æthelred I (d. 871)"। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/8913। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৩।(সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন)
- Nelson, Janet (২০০৮)। "The First Use of the Second Anglo-Saxon Ordo"। Barrow, Julia and Wareham, Andrew। Myth, Rulership, Church and Charters। Aldershot, UK: Ashgate। আইএসবিএন 978-0-7546-5120-8।
- Robinson, J. Armitage (১৯১৮)। The Saxon Bishops of Wells: A Historical Study in the Tenth Century। British Academy Supplemental Papers। IV। London: British Academy। ওসিএলসি 13867248।
- Stenton, F. M. (১৯৭১)। Anglo-Saxon England (Third সংস্করণ)। Oxford, UK: Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-280139-5।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাক্যাথলিক চার্চ উপাধি | ||
---|---|---|
নতুন বিশপের এলাকা | বাথ এবং ওয়েলসের বিশপ ৯০৯–খ্রিস্ট ৯২৩ |
উত্তরসূরী উল্ফহেল্ম |
পূর্বসূরী প্লেগমান্ড |
ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ খ্রিস্ট ৯২৩–৯২৬ |
উত্তরসূরী উল্ফহেল্ম |