এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড (নাটক)

দ্য ট্রাবেলসাম রেইন অ্যান্ড ল্যামেন্টেবল ডেথ অফ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড, কিং অফ ইংল্যান্ড, উইথ দ্য ট্র্যাজিক্যাল ফল অফ প্রাউড মর্টিমার (ইংরেজি: The Troublesome Reign and Lamentable Death of Edward the Second, King of England, with the Tragical Fall of Proud Mortimer; বাংলা: ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের অশান্ত রাজত্বকাল ও শোচনীয় মৃত্যু, তৎসহ অহংকারী মর্টিমারের বিয়োগান্ত পতন) বা সংক্ষেপে এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড (ইংরেজি: Edward II; বাংলা: দ্বিতীয় এডওয়ার্ড) ইংরেজ নাট্যকার ক্রিস্টোফার মার্লোর লেখা একটি রেনেসাঁ বা আদি আধুনিক যুগীয় নাটক। এই নাটকটি ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রথম ঐতিহাসিক নাটকগুলির অন্যতম। এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকের মূল উপজীব্য বিষয়টি হল ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড ও তাঁর প্রেমিক পিয়ারস গ্যাভেস্টনের প্রণয়সম্পর্ক এবং রজার মর্টিমারের নির্দেশে রাজার হত্যাকাণ্ডের বিবরণ।

ক্রিস্টোফার মার্লোর এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকের প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা, ১৫৯৪

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকের উপাদান মার্লো প্রধানত সংগ্রহ করেছিলেন রাফায়েল হলিনশেডের ক্রনিকল (১৫৮৭) বইটির তৃতীয় খণ্ড থেকে। ফ্রেডেরিক এস. বোয়াজ মনে করেন যে, হলিনশেডের ক্রনিকল-এ প্রচুর আকর্ষণীয় উপাদান থাকা সত্ত্বেও কেবল এডওয়ার্ড ও গ্যাভেস্টনের সম্পর্কের বিবরণের জন্যই মার্লো দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের তুলনামূলকভাবে কম আকর্ষণীয় রাজত্বকালের বিবরণটি গ্রহণ করেছিলেন। বক্তব্যটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বোয়াজ বলেছেন যে, মার্লোর কাছে সমকামী প্রেম ছিল একটি বিশেষ আকর্ষণের বিষয়। মার্লোর ডিডো, কুইন অফ কার্থেজ নাটকে জোভ ও গ্যানিমিড, দ্য ম্যাসাকার অ্যাট প্যারিস নাটকে তৃতীয় হেনরি ও তাঁর ‘দাসানুদাসবর্গ’ এবং হিরো অ্যান্ড লিয়ান্ডার কবিতায় নেপচুন ও লিয়ান্ডারের যে বিবরণ পাওয়া যায়, তাও এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে দ্বিতীয় এডওয়ার্ড ও গ্যাভেস্টনের সম্পর্কের বিবরণের অনুরূপ; অবশ্য প্রাগুক্ত নাটকগুলিতে সমকামী প্রেমের চিত্রণ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটির মতো সুস্পষ্ট নয়।[] এছাড়াও বোয়াজ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ডদ্য ম্যাসাকার অ্যাট প্যারিস নাটক দু’টির মধ্যে বেশ কয়েকটি সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করে এই মত প্রকাশ করেছেন যে, দ্য ম্যাসাকার অ্যাট প্যারিস নাটকের একাদশ-একবিংশ দৃশ্যগুলি কতকটা এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকের প্রাথমিক খসড়ার মতো।[] মার্লো হলিনশেডের ক্রনিকল-কে মোটামুটি বিশ্বস্তভাবেই অনুসরণ করেছেন; শুধু দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের হত্যাকারী লাইটবোর্নের (বা লুসিফারের) চরিত্রটির মাধ্যমে কাহিনিটিকে বিশেষ এক মাত্রা দিয়েছেন।

প্রকাশ

সম্পাদনা

ক্রিস্টোফার মার্লোর মৃত্যুর পাঁচ সপ্তাহ পরে ১৫৯৩ সালের ৬ জুলাই এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটির নাম স্টেশনারস’ রেজিস্টারে নথিভুক্ত হয়। ১৫৯৪ সালে গ্রন্থবিক্রেতা উইলিয়াম জোনসের পক্ষ থেকে রবার্ট রবিনসন কর্তৃক মুদ্রিত এই নাটকের একটি সংস্করণ অক্টেভো আকারে প্রকাশিত হয়। এটিই নাটকটির অধুনালভ্য সংস্করণগুলির মধ্যে সর্বপ্রাচীন।[] ১৫৯৮ সালে উইলিয়াম জোনসের পক্ষ থেকে রিচার্ড ব্র্যাডক কর্তৃক মুদ্রিত আরও একটি সংস্করণও প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৬১২ সালে রিচার্ড বার্নেস কর্তৃক এবং ১৬২২ সালে হেনরি বেল কর্তৃকও নাটকটির দু’টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

১৫৯৪ সালের প্রথম প্রকাশনাটি অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য। এটি প্রথম পাওয়া যায় ১৮৭৬ সালে।[] এই সংস্করণের মাত্র দু’টি কপিই পাওয়া গিয়েছিল। একটি বর্তমানে জেন্ট্রালবিবলিওথেক জুরিখে রক্ষিত আছে এবং অন্যটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হারিয়ে গিয়েছে। ২০১২ সালে জেফ্রি ম্যাস্টেন জার্মানি থেকে এই সংস্করণের একটি তৃতীয় কপি আবিষ্কার করেন। এই তৃতীয় কপিটি যে বইটির মধ্যে বাঁধাই করা অবস্থায় ছিল সেই বইটিতে উৎপথগামীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি আলোচনা-গ্রন্থ এবং তুরস্কইসলাম বিষয়ক একটি গবেষণাপত্রও বাঁধাই করা অবস্থায় ছিল।[]

লেখকত্ব

সম্পাদনা

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটির লেখকত্ব নিয়ে কখনও সংশয় উপস্থাপিত হয়নি। অবশ্য ১৭৪৪ সালে রবার্ট বডসলি যখন এই নাটকটিকে তাঁর সম্পাদিত সিলেক্ট কালেকশনস অফ ওল্ড প্লেজ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করেন, তখন মুখবন্ধে তিনি একবারও মার্লোর নাম উল্লেখ করেননি।[] রিচার্ড বিয়ার্ডের মানহানিকর দ্য থিয়েটার অফ গড’স জাজমেন্ট (১৫৯৭) বইটির জন্য মার্লোর আরো দুর্নাম রটে যায়।[]

পাত্রপাত্রী

সম্পাদনা

কাহিনি-সারাংশ

সম্পাদনা

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের রাজত্বকালের অধিকাংশ সময়কে একটি একক আখ্যানের মধ্যে ধরা হয়েছে। নাটকের সূচনা রাজার প্রেমিক পিয়ারস গ্যাভেস্টনকে নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আনার মধ্যে দিয়ে এবং সমাপ্তি দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের পুত্র তৃতীয় এডওয়ার্ড কর্তৃক রাজহত্যার অপরাধে মর্টিমার জুনিয়রের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মাধ্যমে।

নাটকের সূচনা ইংল্যান্ডের বাইরে। সেখানে দেখা যায়, দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের প্রেমিক গ্যাভেস্টন রাজা প্রথম এডওয়ার্ডের মৃত্যুসংবাদে আনন্দ প্রকাশ করছে। কারণ প্রথম এডওয়ার্ডই তাকে নির্বাসিত করেছিলেন এবং রাজার মৃত্যুতে তার ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তনের পথও সুগম হয়েছে। এরপর সে তার প্রেমিক তথা ভাবী রাজাকে কীভাবে আনন্দ দেবে তার পরিকল্পনা করতে শুরু করে।

গ্যাভেস্টন ইংল্যান্ডে ফিরে এল। নতুন রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড তাকে উপাধি দিয়ে ভূষিত করলেন; সেই সঙ্গে দিলেন রাজকোষে প্রবেশের অধিকার এবং নিরাপত্তারক্ষীও। অভিজাত পরিবারের সন্তান না হলেও গ্যাভেস্টন নিজেকে সাধারণ মানুষের তুলনায় উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন মনে করত। সে ডুবে থাকত মনোরঞ্জনকারী অনুষ্ঠান, ইতালীয় মাস্ক, সংগীত ও কাব্যের মধ্যে। যত সে রাজাকে খুশি করতে লাগল, ততই রাজার অভিজাত অমাত্যবর্গের কাছে সে হয়ে উঠল অপ্রিয়। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা গ্যাভেস্টনকে আবার নির্বাসন দেওয়ার জন্য সোচ্চার হলেন। গ্যাভেস্টন রাজসভায় আসতেই তার সঙ্গে দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের সভাসদদের বচসা শুরু হল। রাজা বাধ্য হলেন সভাসদদের কথা মেনে নিতে। গ্যাভেস্টন নির্বাসিত হল আয়ারল্যান্ডে। রানি ইসাবেলা স্বামীর অনুগ্রহ লাভের আশায় মর্টিমারকে অনুরোধ করলেন গ্যাভেস্টনকে ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করতে, যাতে পরে তাকে কৌশলে হত্যা করা যায়। ফিরিয়ে আনা হল গ্যাভেস্টনকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই অভিজাতবর্গ গ্যাভেস্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করলেন। ঘটনাচক্রে গ্যাভেস্টন বন্দী ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হল। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে রাজা তাকে একবার শেষ দেখা দেখতে চাইলেন। অ্যারুনডেল ও পেমব্রোক রাজার অনুরোধ রাখতে সম্মতও হয়েছিলেন। কিন্তু গ্যাভেস্টনকে যখন রাজার কাছে আনা হচ্ছিল, তখনই ওয়ারউইক তাকে আক্রমণ করে হত্যা করলেন। প্রতিশোধ নিতে যে দুই অভিজাত পুরুষ গ্যাভেস্টনের উপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন, সেই ওয়ারউইক ও ল্যাংকাস্টারকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলেন দ্বিতীয় এডওয়ার্ড।

স্পেনসার জুনিয়ার ও তার বাবা স্পেনসার সিনিয়র এবার দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের নতুন সঙ্গী হল। এদের মধ্যেই রাজা সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা করলেন। ফলে ইসাবেলা আরও বিচ্ছিন্ন বোধ করলেন। তিনি জড়িয়ে পড়লেন মর্টিমারের সঙ্গে প্রণয়সম্পর্কে। পুত্রকে নিয়ে ইসাবেলা ফ্রান্সে গেলেন মিত্রবাহিনী গঠনের আশায়। কিন্তু ফ্রান্স তাঁকে সাহায্য করতে বা অস্ত্রশস্ত্র দিতে অস্বীকার করল। তবে তিনি সাহায্য পেলেন হেইনল্টের স্যার জনের কাছ থেকে। ইতিহাস ও মার্লোর নাটক উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যায় দ্বিতীয় এডওয়ার্ড তাঁর পিতার ন্যায় সৈনিক ছিলেন না। তাঁর রাজত্বকালেই ইংরেজ বাহিনী ব্যানোকবার্নের যুদ্ধে বিশ্রীভাবে পরাজিত হয়। দ্বিতীয় এডওয়ার্ড কিছুদিনের মধ্যেই সামরিক বাহিনীর উপর থেকে নিজের কর্তৃত্ব হারিয়ে নিথ অ্যাবিতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এক ঘাসছেদক তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। নাটকে এই ঘাসছেদকের হাতে একটি প্রতীকী কাস্তে দেখা যায়। স্পেনসারদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। রাজাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেনিলওয়ার্থে। রাজভ্রাতা তথা কেন্টের আর্ল এডওয়ার্ড প্রথম দিকে রাজার পক্ষ নিতে অস্বীকার করলেও পরে রাজাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। মর্টিমার ততদিনে কী পরিমাণ ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন তা এডমন্ড বুঝতে পারেননি। বন্দী দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টার অপরাধে এডমন্ডকে গ্রেফতার করে রাজসভায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে সভা পরিচালনা করছিলেন মর্টিমার, ইসাবেলা ও রাজকুমার এডওয়ার্ড। মর্ডিমারকে এডমন্ডকে সিংহাসনের বিপদ বলে দাবি করেন এবং রাজকুমার এডওয়ার্ডের অনুনয়বিনয় উপেক্ষা করে এডমন্ডকে হত্যা করেন।

এরপর বন্দী রাজাকে নিয়ে যাওয়া হয় বার্কলে কাসলে। সেখানে রাজার সঙ্গে দেখা হয় অদ্ভুত রকমের নিষ্ঠুর লাইটবোর্নের (এই নামটি ‘লুসিফার’ শব্দের ইংরেজিকৃত রূপ)। লাইটবোর্ন রাজাকে হত্যা করতে এসেছে জেনেও দ্বিতীয় এডওয়ার্ড তাকে নিজের পাশে থাকতে বলেন। লাইটবোর্ন বুঝতে পারে যে, মিথ্যে বলে রাজাকে ভোলানো যাবে না। তাই সে চারজন লোক নিয়োগ করে রাজাকে ধরে রাখার জন্য। তারপর একটি গরম লৌহশলাকা রাজার পায়ুছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে অন্ত্রগুলিকে জ্বালিয়ে রাজাকে হত্যা করে। এমন ভাবে রাজাকে হত্যা করা হয় যাতে বাইরে থেকে অত্যাচারের কোনো চিহ্ন দেখা না যায়। মলট্র্যাভারস ও গার্নি কিন্তু রাজহত্যা দেখে ফেলে। এরপর প্রমাণ লোপাট করার জন্য গার্নি হত্যা করে লাইটবোর্নকে। পরে অবশ্য গার্নি পালিয়ে যায়। সে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে এই ভয়ে মর্টিমার মলট্র্যাভারসকে পাঠায় গার্নিকে ধরে আনার জন্য। ইসাবেলা মর্টিমারকে সতর্ক করে দিয়ে বলে রাজকুমার এডওয়ার্ড তাদের ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছে। কিন্তু ইসাবেলা ও মর্টিমার কিছু করে ওঠার আগেই রাজকুমার পরিচারকবৃন্দ ও অন্যান্য লর্ডদের নিয়ে উপস্থিত হন এবং মর্টিমারকে রাজহত্যার অপরাধে অভিযুক্ত করেন। মর্টিমার অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু ঘটনাচক্রে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসাবেলাকে সে বলে যায় তার জন্য না কাঁদতে। ইসাবেলা পুত্রের কাছে মর্টিমারের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। কিন্তু রাজকুমার মর্টিমারকে ক্ষমা করতে অস্বীকার করে। এরপর সে মর্টিমারকে হত্যার এবং নিজের মাকে বন্দী করার নির্দেশ দেয়। নাটকের অন্তে দেখানো হয় রাজকুমার সিংহাসনে আরোহণ করছেন রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড হিসেবে।

বিষয়বস্তু

সম্পাদনা

সমকামী প্রেম

সম্পাদনা

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড ও গ্যাভেস্টনের সমকামী প্রেম এই নাটকটির প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করেছে। মাস্ক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার সময় গ্যাভেস্টন বলেছে, “ডায়ানের আকৃতির এক সুদর্শন বালক…/ এবং তার লীলাচঞ্চল হাতে একটি অলিভ বৃক্ষ / পুরুষেরা যে সকল অঙ্গ দেখে আনন্দ পায় তা ঢেকে রাখে” ("a lovely boy in Dian's shape... / And in his sportful hands an olive tree / To hide those parts which men delight to see"; ১.২.৬০-৬৩)। অল্পবয়সী অভিনেতাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা উদ্রেক করায় থিয়েটারের যে ক্ষমতা রয়েছে সে বিষয়ে গ্যাভেস্টন গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। রানি ইসাবেলা রাজা ও গ্যাভেস্টনের সম্পর্কে ঈর্ষান্বিত হয়ে বলেছেন, “এখন আর আমার প্রভু রাজা আমার তত্ত্ব করেন না, / কিন্তু তিনি গ্যাভেস্টনের প্রেমে মশগুল। / তিনি তার গালে টোকা মারেন এবং তার গলা জড়িয়ে ধরে ঘোরেন, / তার মুখ দেখে তিনি হাসেন আর তার কানে কানে কথা বলেন” ("For now my lord the king regards me not, / But dotes upon the love of Gaveston. / He claps his cheeks and hangs about his neck, / Smiles in his face and whispers in his ears"; ১.২.৪৯–৫২)।

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে সমকামী প্রেমসম্পর্ক ও ক্ষমতালিপ্সার বিবরণ এই নাটকটির সমালোচনার একটি বড়ো অংশ জুড়ে রয়েছে। যেমন এমিলি বার্টেলসের স্পেকট্যাকলস অফ স্ট্রেঞ্জনেস বইটিতে দেখানো হয়েছে কীভাবে আত্ম-অধিকার প্রদান ও আত্ম-ক্ষমতায়নের এক কৌশল হিসেবে এই নাটকে মার্লো ‘অন্যদের’ চিত্রিত করেছেন তাদেরই অবমাননার জন্য। এই বইটিতে এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড সম্পর্কে আলোচনা-সমৃদ্ধ একটি অধ্যায়ের নাম "দ্য শো অফ সডোমি"।[] এই অধ্যায়ে বার্টেলস দেখিয়েছেন কীভাবে এই নাটকে পায়ুকামিতার রাজনীতিকরণ, অনাবৃতকরণ এবং সংজ্ঞায়ন করা হয়েছেন।[] মার্লোর নাটকে পায়ুকামিতা কীভাবে কাজ করেছে তা দেখাতে এই নাটকে কীভাবে পায়ুকামিতাকে গোপন রাখা হয়েছে এবং তারপর এডওয়ার্ডকে হত্যার মাধ্যম হিসেবে তাকে ব্যবহার করা হয়েছে এই দুইয়ের টানাপোড়েনের দিকে নির্দেশ করেছেন বার্টেলস।[১০] এছাড়াও বার্টেলস আরেকটি ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, সেটি হল লাইটবোর্ন রাজাকে হত্যার সময় তাঁর শরীরে কোনো বাহ্য চিহ্ন রেখে যায়নি।[১০] বার্টেলস এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, মার্লোর নাটকে পায়ুকামিতার প্রতি ঝোঁক রাজনৈতিক অবক্ষয়ের চিহ্ন নয় এবং তা প্রধানত অকথিত থেকে গেলেও অকথ্য থেকে যায়নি।[১১]

আধুনিক যুগের গোড়ার দিকে পায়ুকামিতার কোনো স্পষ্ট সংজ্ঞা ছিল না। জনাথান গোল্ডবার্গ মনে করেন যে, সেই যুগে ধর্মীয় প্রথা বা সামাজিক মর্যাদার বাইরে সামাজিক অবক্ষয়ের স্পষ্টতর চিহ্নের সঙ্গে যুক্ত না হলে সমকামী যৌনাচার হিসেবে পায়ুকামিতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসত না।[১২] এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটির সমালোচনার দু’টি বিপরীতমুখী ধারা প্রচলিত ছিল: একটি মতে মনে করা হত যে এই নাটকটি যৌনতার মানদণ্ডের দিক থেকে বিচার করলে ধ্বংসাত্মক মানসিকতার পরিচায়ক; আবার অন্য মতে বলা হয়েছে এই নাটকে যৌনতার মানদণ্ড সঠিকভাবেই বজায় রাখা হয়েছে। ডেভিড স্টিমেইস্ট এই দুই বিপরীতমুখী ধারার মধ্যে সংহতিবিধান করে বলেন যে, নাটকটিতে একদিকে সমকামিতার বিকল্প যৌনপ্রবৃত্তি যেমন উপস্থাপিত হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই যৌন অনাচারের শাস্তিবিধানও প্রদর্শিত হয়েছে।[১৩]

এডওয়ার্ডের সভাসদবর্গ গ্যাভেস্টনকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু একই সময়ে গ্যাভেস্টনও অনেক পথ উজিয়ে এসে রাজাকে দেখার জন্য উৎসুক ছিল। আয়ারল্যান্ডইংল্যান্ডের মধ্যে এই দূরত্বটি রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড ও গ্যাভেস্টনের অন্তরঙ্গতার বিষয়টিকে বিশেষভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।[১৪]

সমকামী ভ্রাতৃত্ব

সম্পাদনা

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে সমকামী ভ্রাতৃত্বের বিষয়টিকে বিশেষভাবে আয়ারল্যান্ডইংল্যান্ডের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে এক সূত্রে আবদ্ধ করে এক যৌন ভ্রাতৃত্ব হিসেবে নির্দেশ করা হয়েছে।[১৪] এই নাটকে দেখানো হয়েছে যে, আয়ারল্যান্ড এমন এক রাজ্য যেখানে যৌন ভ্রাতৃত্ব গ্রহণযোগত এবং ইংল্যান্ডের বাইরে এটিই একমাত্র রাজ্য যেখানে পুরুষ যুগলের মধ্যে প্রেমের বন্ধন ও চরম সমপ্রেমাকাঙ্ক্ষী দৃশ্যগুলির প্রকাশ সম্ভবপর হতে পারে।[১৪] গ্যাভেস্টন ও রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের মধ্যে সম্পর্ক আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে আন্তঃসম্পর্কযুক্ত।[১৪] দ্বিতীয় এডওয়ার্ড যে গ্যাভেস্টনকে ‘বন্ধু’ না বলে ‘ভাই’ বলে উল্লেখ করেছেন, তার মাধ্যমে দু’জনের সম্পর্কে এক অন্য রকমের ঘনিষ্ঠতা প্রকট হয়ে উঠেছে।[১৪]

সমকামভীতি

সম্পাদনা

নাট্যঘটনা শুরুর আগেই দেখা যায়, রাজা প্রথম এডওয়ার্ড তাঁর ছেলের উপর কুপ্রভাব বিস্তারের অপরাধে গ্যাভেস্টনকে নির্বাসন দিয়েছিলেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই এই নাটকে সমকামভীতির প্রথম উপস্থাপনা।[১৫] মর্টিমারের বক্তব্য ছিল, গ্যাভেস্টন রাজসভাকে কলুষিত, অসম্মানিত ও অপমানিত করেছে। এর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সমকামভীতি।[১৩][১৪] প্রয়াত রাজা প্রথম এডওয়ার্ডের প্রতি বিশ্বস্ততা মর্টিমারের সমকামভীতির মূল কারণ। সে পূর্বতন রাজাকে রাজ্যের পিতৃপ্রতিম ব্যক্তি মনে করত।[১৫] নাটকে দেখা যায়, মর্টিমার বারবার গ্যাভেস্টনকে হত্যা করার ভয় দেখাচ্ছে; এটিও সমকামিতার প্রতি তার ভীতিরই বহিঃপ্রকাশ।[১৫] নিজের তরবারির প্রতি মর্টিমারের মোহ ছিল; এই বস্তুটি পায়ুকামিতা ও সমকামিতার শাস্তি হিসেবে নপুংসক-করণের ভয়প্রদর্শনের সঙ্গে যুক্ত।[১৫] নাটকের আগাগোড়াই দেখা যায় সমকামভীতিজনিত সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মর্টিমার গ্যাভেস্টনকে বারবার অপমান করেছে এবং শেষপর্যন্ত গ্যাভেস্টন ও দ্বিতীয় এডওয়ার্ডকে হত্যাও করেছে। সম্ভবত মর্টিমারের এই চরম সহিংস আচরণে মূলে রয়েছে তার নিজের অবদমিত সমকামী যৌনাকাঙ্ক্ষা এবং তার জন্য পুরুষত্বহানির ভয়।[১৫][১৬] বলা যায়, গ্যাভেস্টন, দ্বিতীয় এডওয়ার্ড বা স্পেনসারদের মতো যারা মর্টিমারের সমকামী যৌনাকাঙ্ক্ষায় ইন্ধন জোগাতে পারত, তাদের নির্মূল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল মর্টিমার।[১৫][১৬] দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের পায়ুছিদ্রে উত্তপ্ত লৌহশলাকা প্রবেশ করিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল; এই পদ্ধতিটিও রাষ্ট্রযন্ত্র ও মর্টিমারের সমকামভীতির হাতে রাজার মৃত্যুর এক প্রতীকী অর্থের দ্যোতক।[১৫] আবার দুর্গের পয়ঃপ্রণালীতে রাজার উপর অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ডও পায়ুকামিতা ও সমকামভীতির প্রতীক।[১৬]

অন্যদিকে ব্যারোনেরা রাজা ও রানির বিষমকামী সম্পর্কের প্রতি এক বিপদ মনে করে পায়ুকামিতাকে ভয় পেয়েছেন।[১৫]

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে খ্রিস্টীয় চার্চ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে টানাপোড়েনও প্রদর্শিত হয়েছে। রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড ও গ্যাভেস্টন কভেন্ট্রির বিশপের জমিজমা ও অন্যান্য সম্পত্তির অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর দু’জনে মিলে ধর্মীয় প্রথাগুলিকে বিদ্রূপ করছিলেন। এই সময় রাজা ও গ্যাভেস্টন বিশপকেও উপহাস করেন। উল্লেখ্য, নাটকের ঘটনা শুরু হওয়ার আগে এই বিশপই গ্যাভেস্টনকে নির্বাসিত করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন। বিশপকে বিদ্রূপ করার সময় রাজা ও গ্যাভেস্টন বিশপের ক্ষমতার ইঙ্গিতবাহী ক্যাথলিক প্রতীকচিহ্নগুলিকেও উপহাস করেন।

বিশপকে অপমান করার জন্য রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড অপ্সুদীক্ষা, ক্ষমাপ্রদান ও যাজকীয় বেশভূষার ন্যায় চার্চের প্রতীকগুলিকেও আক্রমণ করেন। বিশপের সম্পত্তি হরণের অধিকার গ্যাভেস্টনকে প্রদান করার পর গ্যাভেস্টন বলে, “মহামহিমের জন্য একটি কারাগারই উপযুক্ত স্থান” ("A prison may beseem his holiness"; ১.১.২০৬)। নাটকে পরে দেখা যায় যখন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ আদেশের সুরে বলছেন, “এই লর্ডদিগকে মুক্তি দিন / [এডওয়ার্ডের] প্রতি কর্তব্য ও আনুগত্য থেকে” ("discharge these lords / Of duty and allegiance to [Edward]"), তখন রাজা জিজ্ঞাসা করছেন, “এক রাজা কেন যাজকের আজ্ঞাবহ হবেন?” ("Why should a king be subject to a priest?"; ১.৪.৬১–৬২, ৯৬)। পলিনা কিউস "মার্লো, হিস্ট্রি, অ্যান্ড পলিটিকস" প্রবন্ধে বলেছেন যে, এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটি ধর্মীয় ইতিহাসকে রাজনীতির উপর মন্তব্য করার জন্য ব্যবহার করেছে।[১৭]

সামাজিক মর্যাদা

সম্পাদনা

এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটির মধ্যে দিয়ে সামাজিক মর্যাদা ও জন্মগত অধিকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টির প্রতি নাট্যকারের গভীর সচেতনতা প্রস্ফুটিত হয়েছে। গ্যাভেস্টন অভিজাত বংশের সন্তান না হওয়ায়, তার অর্জিত আভিজাত্য নিয়ে মর্টিমারের খেদের শেষ ছিল না। বারবার মর্টিমার দাবি করেছে যে, গ্যাভেস্টন জন্মগতভাবে আদৌ ভদ্রলোক নয় (১.৪.২৯)। পরবর্তীকালে মর্টিমার সিনিয়র যখন বলেছেন, “শ্রেষ্ঠ রাজাদেরও প্রিয় সঙ্গী ছিল” ("the mightiest kings have had their minions"; ১.৪.৩৯০), তখন মর্টিমার জুনিয়র উত্তরে বলেছেন গ্যাভেস্টনের “ভাঁড়ামি [তাঁকে] দুঃখ দেয় না, কিন্তু এটা [তিনি নিদারুণ অবজ্ঞা করেন], যে এমন নীচকুলজাত কেউ / মহামান্য মহারাজের প্রিয় হয়ে ওঠার ধৃষ্টতা অর্জন করে / এবং তার মাধ্যমে রাজ্যের কোষাগারের অর্থ নয়ছয় করে” ("wanton humour grieves [him] not, but this [he scorns], that one so basely born / Should by his sovereign's favour grow so pert / And riot it with the treasure of the realm"; ১.৪.৪০১–৪০৪)। স্পেনসার ও স্পেনসার সিনিয়রের প্রতি অভিজাত বর্গের আচরণ গ্যাভেস্টনের প্রতি তাঁদের আচরণেরই প্রতিচ্ছবি মাত্র। স্পেনসার ও ল্যাংকাস্টার যখন রাজদ্রোহ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে, তখন পেমব্রোক স্পেনসারকে এক ‘নীচ ভুঁইফোড়’ ("base upstart") বলে গালি দেয় (৩.৩.২১)। অভিজাতবর্গ বহুবার স্পেনসারকে মোসাহেব বলে উল্লেখ করেছেন। এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে অবশ্য সামাজিক চলিষ্ণুতা, সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার বিষয়গুলি পর্যায়ক্রমে এসেছে। ক্লিফোর্ড লিচ দেখিয়েছেন কীভাবে এই নাটকে ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা ও দুঃখভোগের বিষয়টিকে একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।[১৮] লিচের মতে ক্ষমতার জন্য লালায়িত বা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত চরিত্রেরা, যেমন রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড, গ্যাভেস্টন, রানি ইসাবেলা ও মর্টিমার জুনিয়র সবারই ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় দুঃখান্তক পরিণতির শিকার হন।[১৮]

মঞ্চায়ন ও প্রকাশনার ইতিহাস

সম্পাদনা

আদি আধুনিক যুগের মঞ্চায়ন ও প্রকাশনা

সম্পাদনা

অ্যান্ড্রিউ গার মনে করেন যে, আর্ল অফ পেমব্রোক’স মেন নাট্যদল ১৫৯২ সালে এটি মঞ্চস্থ করেন। এটিই সম্ভবত নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন এবং এটি করা হয়েছিল সম্ভবত থিয়েটারে।[১৯] রোজলিন নাটসন নাটকটির প্রথম মঞ্চাভিনয় সম্পর্কে কিছু অনুমানমূলক বক্তব্য রেখেছেন। "মার্লো, কোম্পানি ওনারশিপ, অ্যান্ড দ্য রোল অফ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড" প্রবন্ধে তিনি বলেন যে, এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটি আসলে এডওয়ার্ড অ্যালিন ও স্ট্রেঞ্জে’স মেন নাট্যদলের জন্য লেখা হয়েছিল; যদিও পেমব্রোক’স মেন নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিল এবং এই মঞ্চায়নে দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন উইলিয়াম শেকসপিয়রের নাট্যদলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা রিচার্ড বারবেজ[২০] নাটসন নাটকে অভিনেতাদের নামোল্লেখ সহ একাধিক পংক্তি উদ্ধৃত করে দেখিয়েছেন যে, বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে মার্লোর ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল। নাটসনের এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে বারবেজের অভিনয় শেকসপিয়র যেভাবে বারবেজের জন্য ভূমিকার নকশা প্রস্তুত করতেন তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।

১৫৯৪ সালে প্রকাশিত নাটকটির প্রথম কোয়ার্টো সংস্করণে বলা হয়েছে যে, নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিল আর্ল অফ পেমব্রোক’স মেন নামক নাট্যদলটি। ই. কে. চেম্বারসের মতে, এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড, 'দ্য টেমিং অফ দ্য শ্রিউদ্য ট্রু ট্র্যাজেডি অফ রিচার্ড ডিউক অফ ইয়র্ক এই নাটক তিনটিই সেই বছর গ্রন্থবিক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল এবং এই তিনটি নাটকের মধ্যে এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটিই সম্ভবত শেকসপিয়রের রচনা নয়।[২১] ১৬১২ সালে রজার বার্নেস এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকের যে সংস্করণটি প্রকাশ করেন, সেটিকে সাধারণভাবে এই নাটকের একটি বিকৃত পাঠ মনে করা হয়। তবে ম্যাথিউ মার্টিন মনে করেন, জেকোবিয়ান ইংল্যান্ডে নাটকটি কীভাবে গৃহীত হয়েছিল এবং কীভাবে এই নাটকটির সংশোধনের মাধ্যমে রাজা জেমসের প্রিয় পুরুষ সঙ্গীদের বিতর্কিত পদোন্নতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল তা এই সংস্করণটির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।[২২] নাটকটির ১৬২২ সালের সংস্করণের প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে, নাটকটি রেড বুল থিয়েটারে কুইন অ্যানি’জ মেন কর্তৃক মঞ্চস্থ হয়েছিল। এর মাধ্যমে বোঝা যায় এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড সপ্তদশ শতকেও সক্রিয় রেপার্টরিতে ছিল।[২৩]

বিশ শতকের মঞ্চায়ন

সম্পাদনা

বিশ শতকের পর থেকে নাটকটি বেশ কয়েকবার মঞ্চে অভিযোজিত হয়েছে। এই প্রযোজনাগুলিতে রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের সমকামিতার বিষয়টিকে সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়।

১৯৬১ সালের নভেম্বর মাসে নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকটি কিছুটা পরিবর্তিত আকারে মঞ্চস্থ করেন।[২৪] ১৯৬৯ সালে থিয়েটার টরেন্টোর জন্য ক্লিফোর্ড উইলিয়ামসের পরিচালনায় একটি প্রযোজনায় এই নাটকে অভিনয় করেন স্ট্র্যাটফোর্ড উৎসবের বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এঁদের মধ্যে দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের ভূমিকায় ছিলেন উইলিয়াম হান্ট ও গ্যাভেস্টনের ভূমিকায় ছিলেন রিচার্ড মনেট [২৫]

১৯৭০-এর দশকে নাটকটি বেশ কয়েকবার মঞ্চস্থ হয়েছিল। ইয়ান ম্যাককেলেনজেমস লরেনসন অভিনীত প্রসপেক্ট থিয়েটার কোম্পানির প্রযোজনাটি ১৯৭০-এর দশকে বিবিসি-তে সম্প্রচারিত হলে বিশেষ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কারণ এই প্রযোজনাতেই ব্রিটিশ টেলিভিশনে প্রথম পুরুষ সমকামী চুম্বনের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে নাটকটি ব্রডওয়েতে অভিনীত হয়। এই প্রযোজনায় রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের ভূমিকায় নর্মান স্নো, রাজকুমার এডওয়ার্ডের ভূমিকায় পাড়ি লুপোন, কেন্টের ভূমিকায় ডেভিড শ্রাম এবং গ্যাভেস্টনের ভূমিকায় পিটার ভরস্কি অভিনয় করেন।

১৯৮৬ সালে নিকোলাস হাইটনার ম্যাঞ্চেস্টারের রয়্যাল এক্সচেঞ্জে একটি প্রযোজনা পরিচালনা করেন। এতে অভিনয় করেন ইয়ান ম্যাকডায়ারমিড, মাইকেল গ্র্যান্ডেজ, ইয়াইন গ্লেনডানকান বেল[২৬]

এরপরও বহুবার নাটকটি প্রযোজিত হয়। তাতে সাইমন রাসেল বিলজোসেফ ফিনেস প্রমুখ অভিনেতারা অভিনয় করেন।

২০০৭ সালে ওয়াশিংটন ডি.সি.-র শেকসপিয়র থিয়েটার কোম্পানি প্রযোজিত এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড নাটকে প্রধানত ফ্যাসিবাদ-যুগীয় ও জ্যাজ-যুগীয় পোষাক ব্যবহৃত হয়। প্রযোজনাটিতে বিশেষভাবে দ্বিতীয় এডওয়ার্ড ও গ্যাভেস্টনের সমকামী সম্পর্কের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কোম্পানির নতুন সিডনি হারম্যান হলের উদ্বোধনে মার্লোর যে দু’টি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছিল এটি ছিল তার অন্যতম।[২৭]

২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে নিউ ন্যাশনাল থিয়েটার টোকিও নাটকটি জাপানি ভাষায় মঞ্চস্থ করে। এই প্রযোজনাটির পরিচালক ছিলেন মোরি শিনতারো।[২৮]

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে উটাহের প্রোভোতে অ্যান আদার থিয়েটার কোম্পানি এই রাজ্যে প্রথম এই নাটকটি মঞ্চস্থ করে। এই প্রযোজনাটির পরিচালক ছিলেন জেসামিন ভেনসন ও কাইলি অ্যাজুর গ্রিন।[২৯]

নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নাটকের প্রথম প্রযোজনার ৫৯ বছর পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নটিংহ্যাম নিউ থিয়েটারে নাটকটি আবার মঞ্চস্থ হয়।[৩০]

২০২৫ সালে এই নাটকটি স্ট্র্যাটফোর্ড-আপঅন-অ্যাভনে সোয়ান থিয়েটারে রয়্যাল শেকসপিয়র কোম্পানি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল মরসুমে মঞ্চায়নের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।[৩১] এই প্রযোজনায় নামভূমিকায় অভিনয় করবেন ড্যানিয়েল ইভানস

বের্টল্ট ব্রেখটের অভিযোজনা

সম্পাদনা

নাটকটি বের্টল্ট ব্রেখটলিওন ফুচৎওয়াংগার অভিযোজিত করেন।[৩২] ১৯২৩ সালে কৃত এই অভিযোজনাটির নাম ছিল দ্য লাইফ অফ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড অফ ইংল্যান্ড (জার্মান: Leben Eduards des Zweiten von England)। ব্রেখটের এই সংস্করণটিতে নাটকের উৎস হিসেবে মার্লোর নাটকটির কথা উল্লেখ করা হলেও যেহেতু এতে ব্রেখটের নিজস্ব শব্দ, ধ্যানধারণা ও গঠনশৈলী ব্যবহৃত হয়েছে, তাই এটিকে একটি পৃথক রচনা বলে গণ্য করা হয়। ১৯২৪ সালে নাটকটির জার্মান প্রথম মঞ্চাভিনয় ব্রেখটের নির্দেশনায় মিউনিখ ক্যামারসপিলে আয়োজিত হয়। এতে এডওয়ার্ড ও বালডকের ভূমিকায় অভিনয় করেন আরউইন ফেবারহানস শেইকার্ট। ১৯৮২ সালে নিউ ইয়র্কে ব্রেখটের নাটকের প্রথম মঞ্চাভিনয় করেন ডব্লিউ. স্টুয়ার্ট ম্যাকডোয়েল। ম্যানহ্যাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডে দ্য শেকসপিয়র সেন্টারে মঞ্চস্থ তথা রিভারসাইড শেকসপিয়র কোম্পানি কর্তৃক উপস্থাপিত এই নাটকটির পৃষ্ঠপোষকতা করেন জোসেফ পাপনিউ ইয়র্ক শেকসপিয়র ফেস্টিভ্যাল[৩৩]

বেতার নাটক

সম্পাদনা

১৯৭৭ সালে ২৬ পর্বের বিবিসি বেতার নাটক ভাইভাট রেক্স-এর প্রথম দুই পর্বে এই নাটকের একটি সংক্ষেপিত পাঠ সম্প্রচারিত হয়। জন হার্ট এতে দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের ভূমিকায় কণ্ঠদান করেন।[৩৪]

চলচ্চিত্র ও ব্যালে

সম্পাদনা

১৯৯১ সালে এই নাটক অবলম্বনে ডেরেক জারম্যান একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এই ছবিতে আধুনিক পোষাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করা হয় এবং সমকামী অধিকার আন্দোলন ও স্টোনওয়াল দাঙ্গার উল্লেখ প্রকাশ্যভাবে করা হয়।[৩৫] ১৯৯৫ সালে এই নাটক অবলম্বনে স্টাটগার্ট ব্যালের জন্য একটি ব্যালেও নির্মিত হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ফ্রেডেরিক এস. বোয়াজ, ক্রিস্টোফার মার্লো: আ বায়োগ্রাফিক্যাল অ্যান্ড ক্রিটিকাল স্টাডি (অক্সফোর্ড: ক্ল্যারেন্‌ডন প্রেস, ১৯৫৩), পৃ. ১৭৪এফ
  2. লোগান ও স্মিথ ১৯৭৩, পৃ. ৩১।
  3. দি এথেনিয়াম, সংখ্যা ২৫৬২, ২ ডিসেম্বর, ১৮৭৬
  4. ম্যাস্টেন, জেফ্রি (২৮ ডিসেম্বর ২০১২)। "বাউন্ড ফর জার্মানি: হেরাসি, সডোমি, অ্যান্ড আ নিউ কপি অফ মার্লো'জ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড"। দ্য টাইমস লিটারারি সাপ্লিমেন্ট। পৃষ্ঠা ১৭–১৯। 
  5. রবার্ট বডসলি, সিলেক্ট কালেকশন অফ ওল্ড প্লেজ (১২ খণ্ড), ১৭৪৪, মুখবন্ধ
  6. তুলনীয়: টমাস ডাবস, রিফর্মিং মার্লো: দ্য নাইনটিনথ-সেঞ্চুরি ক্যানোনাইজেশন অফ আ রেনেসাঁ ড্রামাটিস্ট, লন্ডন (টরেন্টো: অ্যাসোসিয়েটেড ইউনিভার্সিটি প্রেসেস, ১৯৯১)
  7. তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম দৃশ্যে উপস্থিতি
  8. বার্টেলস ১৯৯৩, পৃ. পনেরো।
  9. বার্টেলস ১৯৯৩, পৃ. ১৪৫।
  10. বার্টেলস ১৯৯৩, পৃ. ১৪৩-১৭৩।
  11. বার্টেলস ১৯৯৩, পৃ. ১৭২।
  12. গোল্ডবার্গ, জনাথান, "সডোমি অ্যান্ড সোসাইটি: দ্য কেস অফ ক্রিস্টোফার মার্লো", স্টেজিং দ্য রেনেসাঁ: রিইন্টারপ্রিটেশনস অফ এলিজাবেথান অ্যান্ড জেকোবান ড্রামা, সম্পা. ডেভিড কাস্টান ও পিটার স্ট্যালিব্রাস, রটলেজ, ১৯৯১
  13. স্টিমেইস্ট, ডেভিড (২০০৪)। "স্টেটাস, সডোমি, অ্যান্ড দ্য থিয়েটার ইন মার্লো'জ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড"। সেল: স্টাডিজ ইন ইংলিশ লিটারেচার ১৫০০–১৯০০৪৪ (২): ২৩৩–২৫৩। আইএসএসএন 1522-9270এসটুসিআইডি 161120617ডিওআই:10.1353/sel.2004.0022 
  14. স্তানিভুকোভিচ, গোরান; গুডউইন, অ্যাড্রিয়ান (২০১৭-০২-২৩)। "গ্যাভেস্টন ইন আয়ারল্যান্ড: ক্রিস্টোফার মার্লো'জ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড অ্যান্ড দ্য কাস্টিং অফ ক্যুয়ার ব্রাদারহুড"টেক্সচুয়াল প্র্যাকটিশ৩১ (২): ৩৭৯–৩৯৭। আইএসএসএন 0950-236Xএসটুসিআইডি 156255332ডিওআই:10.1080/0950236X.2016.1191532 
  15. কমেনসোলি, ভিভিয়ানা (১৯৯৩)। "হোমোফোবিয়া অ্যান্ড দ্য রেগ্যুলেশন অফ ডিজায়ার: আ সাইকোঅ্যানালাইটিক রিডিং অফ মার্লো'জ "এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড""জার্নাল অফ দ্য হিস্ট্রি অফ সেক্সুয়ালিটি (২): ১৭৫–২০০। আইএসএসএন 1043-4070জেস্টোর 3704287 
  16. জনাথান ক্রিউ (২০০৯)। "ডিজঅর্ডারলি লাভ: সডোমি রিভিজিটেড ইন মার্লো'জ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড"ক্রিটিসিজম৫১ (৩): ৩৮৫–৩৯৯। আইএসএসএন 1536-0342ডিওআই:10.1353/crt.0.0111 
  17. "মার্লো, হিস্ট্রি, অ্যান্ড পলিটিকস", পলিনা কিউস, ক্রিস্টোফার মার্লো ইন কনটেক্সট, সম্পা. এমিলি বার্টেলস অ্যান্ড এমা স্মিথ, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৩, পৃ. ১৩৮–১৫৪
  18. লিচ, ক্লিফোর্ড, "মার্লো’জ 'এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড': পাওয়ার অ্যান্ড সাফারিং", ক্রিটিক্যাল কোয়ার্টারলি, খণ্ড ১, বসন্ত ১৯৫৯, পৃ. ১৮১–১৯৭
  19. গার, অ্যান্ড্রু, দ্য শেকসপিয়ারিয়ান স্টেজ ১৫৭৪-১৬৪২, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৯
  20. নাটসন, রোজলিন, "মার্লো, কোম্পানি ওনারশিপ, অ্যান্ড দ্য রোল অফ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড", মিডিয়াভাল অ্যান্ড রেনেসাঁ ইংল্যান্ড, খণ্ড ১৮, রোজমন্ট পাবলিশিং অ্যান্ড প্রিন্টিং কর্প ও ডিবিএ অ্যাসোশিয়েট ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৫, পৃ. ৩৭–৪৬
  21. চেম্বারস, ই. কে. (১৯৫১)। দি এলিজাবেথান স্টেজ, ২য় খণ্ড। অক্সফোর্ড: ক্ল্যারেনডন প্রেস। পৃষ্ঠা ১২৮–১২৯। 
  22. মার্টিন, ম্যাথিউ আর. (২০১৩)। "অ্যাক্‌সিডেন্টস হ্যাপেন: রজার বার্নেসে'জ ১৬১২ এডিশন অফ মার্লো'জ "এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড""আর্লি থিয়েটার১৬ (১): ৯৭–১১৭। আইএসএসএন 1206-9078 
  23. চেম্বারস, খণ্ড ৩, পৃ. ৪২৫
  24. নটিংহাম ইউনিভার্সিটি ড্রামাটিক সোসাইটি অনুষ্ঠান থেকে গৃহীত
  25. আর্কাইভস অফ দ্য রয়্যাল আলেকজান্দ্রা থিয়েটার
  26. স্কোভেল, ডন মিশেল (১৯৯৮)। আ পারফরম্যান্স হিস্ট্রি অফ ক্রিস্টোফার মার্লো’জ এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড অন দ্য ব্রিটিশ স্টেজ অ্যান্ড স্ক্রিন ফ্রম ১৯০৩-১৯৯১ (গবেষণাপত্র) (ইংরেজি ভাষায়)। 
  27. "এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড ০৭-০৮"শেকসপিয়র থিয়েটার কোম্পানি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৮ 
  28. "এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড"jac.go.jp 
  29. হ্যারিস, সারা (১১ জানুয়ারি ২০১৯)। "অ্যান আদার থিয়েটার কোম্পানি স্টেজেস গে লাভ স্টোরি 'এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড'"দ্য ডেইলি হেরাল্ড 
  30. "এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড বাই ক্রিস্টোফার মার্লো – দ্য নটিংহ্যাম নিউ থিয়েটার"www.skiddle.com 
  31. "Edward II"রয়্যাল শেকসপিয়র কোম্পানি। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ 
  32. "I wrote this play with Lion Feuchtwanger"; উৎসর্গ পৃষ্ঠা, Leben Eduards des Zweiten von England, ১৯২৪
  33. ম্যাকডোয়েল, ডব্লিউ. স্টুয়ার্ট, "অ্যাক্টিং ব্রেখট: দ্য মিউনিখ ইয়ারস", দ্য ব্রেখট সোর্সবুক, ক্যারোল মার্টিন, হেনরি বিয়াল, সম্পাদক (রটলেজ, ২০০০)
  34. "রেডিও ফরএক্সট্রা: ভাইভাট রেক্স"বিবিসি (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৪-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১০ 
  35. ট্র্যাভারস, পিটার (২০ মার্চ ১৯৯২)। "এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড"রোলিং স্টোন 

উল্লেখপঞ্জি

সম্পাদনা
  • বার্টেলস, এমিলি (১৯৯৩)। স্পেকট্যাকেলস অফ স্ট্রেঞ্জনেস। ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া প্রেস। 
  • চেম্বারস, ই. কে. দি এলিজাবেথান স্টেজ, ৪ খণ্ড, অক্সফোর্ড, ক্ল্যারেন্‌ডন প্রেস, ১৯২৩
  • লোগান, টেরেন্স পি.; স্মিথ, ডেনজেল এস., সম্পাদকগণ (১৯৭৩)। দ্য প্রিডিসেসরস অফ শেকসপিয়র: আ সার্ভে অ্যান্ড বিবলিওগ্রাফি অফ রিসেন্ট স্টাডিজ ইন ইংলিশ রেনেসাঁ ড্রামা। লিনকন, নেব্রাস্কা: ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা প্রেস। 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

টেমপ্লেট:এডওয়ার্ড দ্য সেকেন্ড