উসুলিরা (আরবি: اصولیون, ফার্সি: اصولیان) হল দ্বাদশী শিয়া মুসলমানদের বৃহত্তম গোষ্ঠী। তারা ফিকহের নতুন বিধি তৈরিতে ইজতিহাদ (যুক্তিবিচার) ব্যবহারের পক্ষপাত; ঐতিহ্যবর্জিতভাবে হাদিস মূল্যায়নে অনাস্থা; ইসলামি সঠিক আচরণবিধি নির্ধারণে একজন মুজতাহিদকে অনুসরণে বাধ্যবাধকতা প্রভৃতি বিষয়ে তাদের এখনকার ক্ষুদ্র প্রতিদ্বন্দ্বী আখবরিদের থেকে ভিন্নমত পোষণ করে থাকে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে আখবরিদের নিষ্পেষণের পর থেকে উসুলিরা সবচেয়ে প্রভাবশালী দ্বাদশী শিয়া গোষ্ঠী এবং বর্তমানে তারা শিয়া মুসলমানদের মধ্যে বৃহত্তম শাখা ।

উসুলি শব্দটি উসুল আল ফিকহ (ব্যবহারশাস্ত্রের নীতিমালা) থেকে এসেছে। উসুলি চিন্তাধারায় আইনের চারটি বৈধ উৎস রয়েছে: কোরআন, হাদিস, ইজমাআকল। ইজমা মানে হল সর্বসম্মত ঐক্যমত্য। শিয়া ব্যবহারশাস্ত্রে আকল তখনই প্রয়োগ করা হয় যখন অন্যান্য ধর্মীয় প্রমাণাদি:[]:২৮৪-৫ বারা‘আত (বিমুক্তি), ইহতিয়াত (সুপারিশকৃত পূর্বসতর্কতা), তাখয়ির (বাছাই) ও ইস্তিশাব (পূর্ববর্তী অবস্থায় নিরবচ্ছিন্নতার পূর্বানুমান) প্রযোজ্য হয় না।

উসুলি শব্দটি শিয়া সম্প্রদায় ছাড়াও উসুলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রায়শই সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত গোড়ার দিককার মুসলিমদের মধ্যে। উসুলের শিক্ষার্থী বা পণ্ডিতগণ ফিকহশাস্ত্রের পণ্ডিত বা ফকীহ (বহুবচনে ফুকাহা) থেকে আলাদা।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Badruddīn, Amir al-Hussein bin (১৮ ডিসেম্বর ২০০৮)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society। 
  2. Nasr, Seyyed Vali Reza; Dabashi, Hamid; Nasr, Seyyed Hossein (১৯৮৯)। Expectation of the Millennium: Shi'ism in History। State University of New York Press। আইএসবিএন 0887068448 
  3. Burton, John (১৯৯০)। The Sources of Islamic Law: Islamic Theories of Abrogation (পিডিএফ)। Edinburgh University Press। পৃষ্ঠা 226। আইএসবিএন 0-7486-0108-2। ৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৮