উসমান ইবনে আলি
এই নিবন্ধটি যাচাইযোগ্যতার জন্য প্রাথমিক উৎসের উপর প্রবলভাবে নির্ভর করে। |
উসমান ইবনে আলি (আরবি: عثمان بن علی : عثمان بن علی) ছিলেন আলি ইবনে আবি তালিব এবং উম্মুল বানিনের পুত্র। উসমান কারবালার যুদ্ধে অংশ নেন, যেখানে তিনি শহীদ হন। উসমান তার আত্মত্যাগের জন্য মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত। কিছু সূত্র অনুসারে যখন তিনি যুদ্ধ অংশ নেন তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর এবং তার কোন সন্তান ছিল না।[১][২]
উসমান ইবনে আলি عثمان بن علی بن أبی طالب | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মৃত্যু | ১০ই মহররম, ৬১ হিজরি / ১০ অক্টোবর, ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ |
মৃত্যুর কারণ | কারবালার যুদ্ধে নিহত |
সমাধিস্থল | কারবালা, ইরাক |
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা |
|
যে জন্য পরিচিত | হোসেন ইবনে আলীর সঙ্গী |
উসমান ও তার ভাই আব্বাস, আবদুল্লাহ এবং জাফর মক্কা থেকে কুফা যাওয়ার যাত্রায় হুসেন ইবনে আলীর সাথে ছিলেন এবং কারবালার যুদ্ধে শহীদ হন। তাদের কবর কারবালার শহীদদের সম্মিলিত কবরের মাজারে রয়েছে।
জীবনী
সম্পাদনাউসমান ফাতিমা বিনতে হিজামের ও আলীর পুত্র।[৩] স্পষ্টতই, 'উসমান বিয়ে করেননি এবং তার কোন সন্তান ছিল না।[৪] শিয়া বর্ণনা অনুসারে উসমান ইবনে মাযউনের নামানুসারে আলী তার ছেলের নাম উসমান রাখেন।[৫]
উসমানের মা ফাতিমা ছিলেন আরবের বনু কিলাব গোত্রের হিজাম ইবনে খালিদ ইবনে রাবিয়ার কন্যা। তিনি আব্বাস, আবদুল্লাহ এবং জাফর নামে আলীর আরও তিন পুত্রের মা ছিলেন। এই কারণে তাকে উম্মে আল-বানিন বলা হতো।[২]
মৃত্যু
সম্পাদনাউসমান নিচের রজাজ পাঠ করে যুদ্ধের ময়দানে গিয়েছিলেন: "নিশ্চয়ই আমি উসমান গৌরবের অধিকারী, আমার পিতা আলী সৎকর্মের নির্বাহক, এই হোসেন ন্যায্যতার গুরু, যুবক ও বৃদ্ধের ওস্তাদ"। খাওলি ইবনে ইয়াজিদ আল-আসবাহী উসমানের কপালে একটি তীর নিক্ষেপ করেন যার ফলে তিনি তার ঘোড়া থেকে পড়ে যান। এরপর বনু দারিম গোত্রের এক ব্যক্তি তার শিরশ্ছেদ করে।[১][২]
উসমান ইবনে আলী ২১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[১][২] তার কবর কারবালার শহীদদের সম্মিলিত কবরের মাজারে রয়েছে।