উমাস্বতী
উমাস্বতী বা উমাস্বামী (আনুমানিক ২য় শতাব্দী থেকে ৫ম শতাব্দী) ভারতীয় পণ্ডিত ছিলেন, যিনি জৈনধর্মের ভিত্তিমূলক রচনার জন্য পরিচিত।[১][২] তিনি জৈন গ্রন্থ তত্ত্বার্থসূত্র রচনা করেন।[৩] উমাস্বতীর রচনাটি ছিল জৈন দর্শনের উপর প্রথম সংস্কৃত ভাষার গ্রন্থ, এবং চারটি জৈন ঐতিহ্যের দ্বারা প্রামাণিক হিসাবে গৃহীত প্রাচীনতম বিদ্যমান ব্যাপক জৈন দর্শনের গ্রন্থ।[৪][৫][৬] হিন্দুধর্মে বেদান্ত সূত্র ও যোগসূত্রের মতো জৈনধর্মে তার গ্রন্থের একই গুরুত্ব রয়েছে।[২][৪]
উমাস্বতী | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১ম থেকে ৫ম শতাব্দী |
মৃত্যু | ২য় থেকে ৫ম শতাব্দী |
ধর্ম | জৈনধর্ম |
উল্লেখযোগ্য কাজ | তত্ত্বার্থসূত্র |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
শিক্ষক | কুন্দকুণ্ড |
উমাস্বতীকে জৈনধর্মের দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর উভয় সম্প্রদায়ই তাদের নিজেদের বলে দাবি করে।[৭][৪] তার বংশের ভিত্তিতে তাকে নগরবাচকও বলা হতো। উমাস্বতী শুধু জৈন ধর্মেই নয়, বহু শতাব্দী ধরে অন্যান্য ভারতীয় ঐতিহ্যেও প্রভাবশালী ছিলেন। ত্রয়োদশ থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্বাচার্য, হিন্দু দর্শনের দ্বৈতবেদান্ত দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা, উদাহরণ স্বরূপ উমাস্বতীকে উমাস্বতী-বাচকাচার্য হিসেবে উল্লেখ করেন।[৮] দিগম্বর জৈন ঐতিহ্যের কেউ কেউ তাকে আচার্য কুন্দকুণ্ডের প্রধান শিষ্য বলে বিশ্বাস করেন।[১][৯] তবে, এটি কিছু পশ্চিমা পণ্ডিতদের দ্বারা বিতর্কিত।[১০]
উমাস্বতী, ছিলেন একজন আচার্য এবং সেইজন্য জৈন ঐতিহ্যের পঞ্চ-পরমেষ্ঠী (পাঁচজন পরমেশ্বর) এর একজন। উমাস্বতীর দ্বারা উত্থাপিত তত্ত্বটি হলো যে পুনর্জন্ম এবং দুঃখ একজনের কর্মের কারণে হয় এবং তপস্যা সহ পুণ্যময় জীবনযাপনের ব্রত অনুসারে জীবনযাপন করা এই কর্মকে পরিস্কার করে, অবশেষে মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।[১১][১২] উমাস্বতী তত্ত্বার্থসূত্রের প্রধান দর্শন হলো যে "সমস্ত জীবন, মানব ও অ-মানব উভয়ই পবিত্র।"[১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Jain 2011, পৃ. vi।
- ↑ ক খ Umāsvāti 1994, পৃ. xiii।
- ↑ Umāsvāti 1994, পৃ. xi–xiii।
- ↑ ক খ গ Jones ও Ryan 2007, পৃ. 439–440।
- ↑ Paul Dundas (২০০৬)। Patrick Olivelle, সম্পাদক। Between the Empires : Society in India 300 BCE to 400 CE। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 395–396। আইএসবিএন 978-0-19-977507-1।
- ↑ Jaini 1998, পৃ. 82।
- ↑ Vidyabhusana 1920, পৃ. 168–69।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;finegan221
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ B Faddegon; F W Thomas (১৯৩৫)। The Pravacana sara of kunda Kunda Acarya together with the commentary, Tattva-dipika। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা xv–xvi।
- ↑ DastiBryant 2014, পৃ. 72।
- ↑ Umāsvāti 1994।
- ↑ Lloyd 2009, পৃ. 142।
উৎস
সম্পাদনা- Dasti, Matthew R.; Bryant, Edwin F. (২০১৪), Free Will, Agency, and Selfhood in Indian Philosophy, OUP US, আইএসবিএন 978-0-19-992275-8
- Jain, Vijay K. (২০১১), Acharya Umasvami's Tattvarthsutra: With Hindi and English Translation, Vikalp Printers, আইএসবিএন 978-81-903639-2-1
- Lloyd, Christopher (২০০৯), What on Earth Happened?, Bloomsbury Publishing, আইএসবিএন 978-1-4088-0597-8
- Jones, Constance; Ryan, James D. (২০০৭), Encyclopedia of Hinduism, Infobase Publishing, আইএসবিএন 978-0816054589
- Balcerowicz, Piotr, সম্পাদক (২০০৩) [2002], Essays in Jaina Philosophy and Religion, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন 81-208-1977-2
- Umāsvāti, Umaswami (১৯৯৪), That which is (Translator: Nathmal Tatia), Rowman & Littlefield, আইএসবিএন 978-0-06-068985-8
- Jaini, Padmanabh S. (১৯৯৮) [1979], The Jaina Path of Purification, Delhi: Motilal Banarsidass, আইএসবিএন 81-208-1578-5
- Shah, Natubhai (২০০৪) [First published in 1998], Jainism: The World of Conquerors, I, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন 81-208-1938-1
- Vidyabhusana, Satis Chandra (১৯২০), A History of Indian Logic: Ancient, Mediaeval, and Modern Schools, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন 978-81-208-0565-1
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাভারতীয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের বিষয়ক এই জীবনীটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |