উপহার (চলচ্চিত্র)

শুভেন্দু রায় পরিচালিত ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি চলচ্চিত্র

উপহার হল ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্ররাজশ্রী প্রোডাকশনসের পক্ষ থেকে ছবিটি প্রযোজনা করেন তারাচন্দ বরজাত্য। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন জয়া ভাদুড়ি, স্বরূপ দত্তকামিনী কুশল। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলাল। ছবিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাপ্তি শীর্ষক ছোটোগল্প অবলম্বনে নির্মিত। ছবিটি ৪৫তম একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ছবি বিভাগে ভারতীয় ছবি হিসেবে প্রবেশাধিকার পেয়েছিল, তবে মনোনয়ন পায়নি।[]

উপহার
উপহার ছবির পোস্টার
পরিচালকশুভেন্দু রায়
প্রযোজকতারাচন্দ বরজাত্য
উৎসরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক 
সমাপ্তি (ছোটোগল্প)
শ্রেষ্ঠাংশেজয়া ভাদুড়ি
কামিনী কুশল
সুরকারলক্ষ্মীকান্ত প্যারেলাল
মুক্তি
  • ১৯৭১ (1971)
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

কাহিনি

সম্পাদনা

অণুপ কলকাতায় আইন পড়ে। তার বিধবা মা পশ্চিমবঙ্গের একটি ছোটো শহরে বাস করেন। অণুপের দিদি সুধা ও তার স্বামী অনিল কলকাতায় বাস করেন। অণুপের বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই অণুপের মা তার জন্য প্রতিবেশির এক মেয়েকে পাত্রী স্থির করেছেন। মেয়েটির নাম বিদ্যা। অণুপ বাড়ি ফিরলে অণুপের মা তার বিয়ের কথা তোলেন। কিন্তু অণুপ জানায়, সে নিজে প্রথমে মেয়েটিকে দেখতে চায়। সে বিদ্যাকে দেখতে যায়। সেই সঙ্গে সে মিনু নামে আরেকটি গ্রাম্য মেয়েকে দেখে। সে শারদা ও রামচন্দ্রের মেয়ে। বাড়ি ফিরে অণুপ জানায় যে, সে বিদ্যাকে বিয়ে করতে চায় না, বরং মিনুকে বিয়ে করতে চায়। অণুপের মায়ের এই বিয়েতে ইচ্ছা না থাকলেও তিনি রাজি হন। বিয়ে হয়। তারপর তারা বুঝতে পারেন যে গৃহকর্মে মিনু আদৌ অভ্যস্ত নয়। সে শিক্ষিতা নয়। এমনকি অণুপের সঙ্গে তার সম্পর্কটি বোঝার মতো বুদ্ধিও তার হয়নি। তার ভাল লাগে আম ও অন্যান্য ফল চুরি করতে এবং তার থেকে বয়সে অনেক ছোটো এমন ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলা করে বেড়াতে। অণুপের মা বিব্রত হন। তিনি নববধূকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে চান। অণুপ কলকাতায় ফেরার সময় মিনুকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু মিনু রাজি হয় না।

অণুপের মা মিনুর ছেলেমানুষিতে বিরক্ত হয়ে তাকে নিজের কাছে রাখতে অস্বীকার করেন। অণুপ মিনুকে তার মা শারদার কাছে রেখে যায়। অণুপ চলে যাওয়ার পর মিনুর মনে হয় যে, অণুপের জন্য তার মন কেমন করছে। খেলাধুলা করার তার আর মন থাকে না। সে বুঝতে পারে, সে অণুপকে ভালবেসে ফেলেছে। সে তার মাকে বলে, সে অণুপের বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের শাশুড়ির সঙ্গে থাকতে চায়। মিনু সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে ফিরে আসে। অণুপের মা তাকে সাদরে বরণ করে নেন। মিনু ঘরের কাজকর্ম শিখে নেয়। কিন্তু অণুপ ছুটিতেও বাড়ি ফেরে না। মিনু বুঝতে পারে, সে অণুপের সঙ্গে কলকাতায় যেতে রাজি না হওয়ায় অণুপ মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছে। সে বলেছিল, মিনু তাকে আসতে লিখলে তবেই সে আসবে। তাই সে অণুপকে বাড়ি ফিরতে বলে চিঠি লেখে। কিন্তু সে অণুপের ঠিকানা জানত না। তাই অণুপ চিঠি পায় না। অণুপের মা বুঝতে পারে, অণুপের জন্য মিনুর মন কেমন করছে। তাই তিনি মিনুকে নিয়ে অণুপের দিদির বাড়িতে আসেন। সেখানেই অণুপ ও মিনুর মিলন হয়।

অভিনেতা-অভিনেত্রী

সম্পাদনা
  1. "ম্যায় এক রাজা হু, তু এক রানি হ্যায়" – মহম্মদ রফি
  2. "ছল ছল বহতি, মাঝি নায়া ঢুনঢে কিনারা " – মুকেশ
  3. "সুনে রে নাগরিয়া, সুনে রে সেজারিয়া" – লতা মঙ্গেশকর
  4. "হাথোঁ মেঁ মেহেন্দি, বোল রে মেরে গুড্ডে তুঝে গুড্ডি কুবুল " – লতা মঙ্গেশকর

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Margaret Herrick Library, Academy of Motion Picture Arts and Sciences.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা