উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন
উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[১][২]
উত্তর শাহবাজপুর | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ। | |
ডাকনাম: শাহবাজপুর। | |
বাংলাদেশে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৭′৪৮.০০১″ উত্তর ৯২°১৫′৬.০০১″ পূর্ব / ২৪.৭৯৬৬৬৬৯৪° উত্তর ৯২.২৫১৬৬৬৯৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | মৌলভীবাজার জেলা |
উপজেলা | বড়লেখা উপজেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৪,০২৬ হেক্টর (৯,৯৪৯ একর) |
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারী অনুযায়ী) | |
• মোট | ২৪,০০৬ |
• জনঘনত্ব | ৬০০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৫৮ ১৪ ৮৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনাএই ইউনিয়নের উত্তর শাহবাজপুর গ্রামের নাম থেকেই ইউনিয়নের নাম আসে। শাহবাজপুর পূর্বে কাউয়াকোণা নামে পরিচিত ছিল। এখানে জাংদার বংশের বাসভূমি ছিল, যারা পঞ্চখণ্ড পরগণার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ছিলেন। এই বংশের শ্যামরায় জাংদারের পুত্র, স্বরূপরাম জাংদার কুমার সাঈদ মৌজায় বাসুদেবকে নিবেদন করে একটি বিগ্রহ চালু করেছিলেন। একবার তিনি সম্রাটের সাথে রাজস্ব নিয়ে আলোচনা করার জন্য দিল্লি সফরে যান ও পরে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর স্বরূপরাম জাংদারকে শাহবাজ খান নামে ভূষিত করা হয়, পরবর্তীকালে তিনি বৃহত্তর পঞ্চখণ্ড থেকে খারিজ হয়ে আলাদা শাহবাজপুর পরগণা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি মক্কায় হজ্জ করতে যান। আশি বছর বয়সে, শাহবাজ খানের প্রথম এবং একমাত্র পুত্র, ফতেহ মোহাম্মদের জন্ম হয় (১৭০০-১৭৯০-এর দশকে), যিনি পরে শাহবাজপুরের জমিদার হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত হন। শাহবাজপুরের পরবর্তী জমিদার ছিলেন ফতেহ মোহাম্মদের পুত্র মোহম্মদ ফাজিল, ও তারপুত্র মোহাম্মদ আদিল। আদিলের কোন পুত্র ছিল না, তাই তার মেয়ে সম্পত্তির অধিকারিনী হন এবং তারপর তার নাতি, আব্দুল গফূর চৌধুরী উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হন। আব্দুল গফূরের পুত্র ও উত্তরসূরী নোমান মুকিদ চৌধুরী স্থানীয় অভিজাতদের একজন ছিলেন।[৩]
জাংদার বংশের সাধারণ শ্রেষ্ঠত্ব ইতিহাসবিদ অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি এবং সৈয়দ মুর্তাজা আলীর লিপিবদ্ধ একটি প্রবাদবাক্যে পাওয়া যায়:[৩]
পাল, প্রচণ্ড, জাংদার।
এই তিন মিরাশদার।
যার অর্থ দাঁড়ায়, পঞ্চখণ্ডের পাল পরিবার, প্রচণ্ড খাঁর সন্তানবর্গ ও জাংদার বংশের পরবর্তী পুরুষরাই অত্র অঞ্চলের প্রধান মিরাশদার[৪] ছিলেন।[৩]
শিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,খাতুনে জান্নাত মহিলা টাইটেল মাদ্রাসা,উত্তর শাহবাজপুর দারুসুন্না মাদ্রাসা,সায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মেরিট কেয়ার একাডেমী,মডেল কিন্ডারগার্টেন,শাহবাজপুর আইডিয়াল স্কুল, নান্দুয়া নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা,নান্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,অর্জুনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ভট্টশ্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ল,করমপুর রৌফিয়া হাফিজিয়া দারুল আরকান ইবতেদায়ী মাদ্রাসা,করমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আতুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,অহিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- পাল্লাথল চা বাগান(খাসিয়া পুঞ্জি)।
- হাফিজ চা বাগান।
- ফাতেহবাগ চা বাগান।
- কুমারশাইল চা বাগান।
- ওয়াহিদাবাদ চা বাগান।
- কালিকা বাড়ি চা বাগান।
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাবর্তমান চেয়ারম্যান-
ক্রমিক | নাম | মেয়াদ |
---|---|---|
০১ | ||
০২ | ||
০৩ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "বড়লেখা উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ৫ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি (২০০০) [১৯১৬]। "শাহবাজপুরের চৌধুরী বংশ"। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ। কলকাতা: কথা। পৃষ্ঠা ১৭৩–১৭৪।
- ↑ সামন্ত ভূ-মালিকদের মিরাশদার বলা হত। মিরাশদার এমন জমিদারকে নির্দেশ করে যিনি সরাসরি সরকারকে কর প্রদান করেন।
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |