উজানীর জমিদার বাড়ি
উজানী জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থাপনা।[১]বর্তমানে এটি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উজানি ইউনিয়নে অবস্থিত।এলাকাবাসির তথ্যমতে,এখানে উজানি জমিদারদের কোন বংশধর নেই কিন্ত জমিদারি পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে কতিপয় অনুপ্রবেশকারীরা বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছে। জমিদার বাড়ির অবকাঠামোগত উন্নয়ন অথবা সংরক্ষণের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান বিভাগ থেকে কোন বিশেষ উদ্যোগ নেই। উজানি জমিদার বাড়ির সুবিশাল দীঘিটি এখন বছরের প্রায়শ সময়ে জল শুকিয়ে যায় অধিক নাব্য পলিমাটির স্তুপ জমা হয়েছে বলে। প্রতিদিন কমবেশি দূর দূরান্ত থেকে অল্প সংখ্যক পর্যটক আসে এই পুরনো জমিদার বাড়ি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে।
উজানি জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | মুকসুদপুর উপজেলা |
শহর | মুকসুদপুর উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | আনুমানিক ১৮ কিবা ১৯ শতক |
স্বত্বাধিকারী | রায় গোবিন্দ ও সুর নারায়ণ |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
অবস্থান
সম্পাদনাউজানী জমিদার বাড়িটি ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের উজানী গ্রামে অবস্থিত।[১] বাড়িটির অবস্থান মুকসুদপুর উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণ দিকে মুকসুদপুর - উজানী সড়কে ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী উজানী ইউনিয়নের উজানী গ্রামে।
ইতিহাস
সম্পাদনাব্রিটিশ শাসন আমলে যশোর জেলার দুই জমিদার বংশ গোপালগঞ্জ জেলায় আসেন। তারা এই জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উজানী গ্রামে বসবাস শুরু করেন। এই দুই জমিদার বংশের নাম ছিল রায় গোবিন্দ ও সুর নারায়ণ। তারা এখানে জমিদারি প্রথা চালু করেন এবং এখানে দ্বিতল ও ত্রিতল প্রাসাদ নির্মাণ করেন। এই প্রাসাদের পাশাপাশি এখানে তারা বৈঠকখানা, পুকুরের ঘাট, মঠ ও মন্দির নির্মাণ করেন। প্রায় পঞ্চাশ হেক্টর জায়গা নিয়ে তাদের এই জমিদারি ছিল। পরে দেশ ভাগের সময় এখানকার জমিদাররা পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যান। তবে এখনো জমিদার সুর নারায়ণ বংশের একজন বংশধর আছেন, যার নাম সমরেন্দ্র চন্দ্র রায়। যার বয়স প্রায় ৮০ কিংবা ৮৫ হবে। উজানির জমিদারদের মোট সাতটি জমিদারী ছিল। তাদেরই একটি জমিদারী এলাকা খালিয়া জমিদার বাড়ি জমিদার রাজা রামমোহন রায় চৌধুরীকে তারা দান করেছিলেন।[২][৩]
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাউজানী জমিদার বাড়ির মঠটি উপরের অংশ ভেঙ্গে গিয়েছে এবং যে মন্দিরটি আছে সেটাও প্রায় ধ্বংসের মুখে।[২][৩]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাসড়ক পথে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর এসে সেখান থেকে বাসে অথবা ব্যটারী চালিত অটো/ভ্যান/নসিমনে উজানী বাজারের দক্ষিণ দিকে ২০০ মিটার গেলে উজানী রাজবাড়ীতে পৌছানো যায়।[৪]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ হোসেন, খোন্দকার বেলায়েত (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "ইতিহাসের ছেঁড়া পাতা উজানী রাজবাড়ী"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ দৈনিক ইত্তেফাক
- ↑ ক খ দৈনিক ভোরের পাতা
- ↑ রাজবাড়ী "উজানী রাজবাড়ী"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]