উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলা
উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলা ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি জেলা।[২] এই জেলাটি দিবাং নদী উপত্যকার নামে নামাঙ্কিত।[৩] এই জেলাটি আয়তনে অরুণাচল প্রদেশের বৃহত্তম জেলা হলেও, এটি দেশের সবচেয়ে কম জনসংখ্যা-বিশিষ্ট জেলা।[১]
উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলা | |
---|---|
অরুণাচল প্রদেশের জেলা | |
অরুণাচল প্রদেশে উচ্চ দিবাং উপত্যকার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অরুণাচল প্রদেশ |
সদরদপ্তর | আনিনি |
আয়তন | |
• মোট | ৯,১২৯ বর্গকিমি (৩,৫২৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৭,৯৪৮[১] |
• পৌর এলাকা | ২৭.৫৫% |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৪.৮%[১] |
• লিঙ্গানুপাত | ৮০৮[১] |
১৯৮০ সালের জুন মাসে লোহিত জেলা ভেঙে দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়,[৪] এবং ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিবাং উপত্যকা জেলা ভেঙে উচ্চ ও নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়।[৪]
বিভাগ
সম্পাদনাঅরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার আনিনি আসনটি এই জেলায় অবস্থিত,যা অরুণাচল পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অংশ।[৫]
জনপরিসংখ্যান
সম্পাদনা২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, দিবাং উপত্যকা জেলার জনসংখ্যা ৭,৯৪৮,[১] যা নাউরু রাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] এটি ভারতের সবচেয়ে কম জনসংখ্যাবিশিষ্ট জেলা।[১] জেলার জনঘনত্ব ১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২.৬ জন/বর্গমাইল) ।[১] এই জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৮০৮ জন নারী,[১] এবং সাক্ষরতার হার ৬৪.৮%.[১]
মিশমি উপজাতির মানুষ এই জেলায় সংখ্যাগুরু।
ভাষা
সম্পাদনাএই জেলার অধিবাসীদের প্রধান ভাষা ইদু মিশমি, যা তিব্বতি ও লাতিন উভয় হরফেই লেখা হয়।[৭]
উদ্ভিদ ও প্রাণী
সম্পাদনাএই জেলায় বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্য পরিলক্ষিত হয়। মিশমি টাকিন, রেড গোরাল ও গোংশান মুন্টজ্যাকের মতো দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির প্রাণী এখানে দেখা যায়। পাখিদের মধ্যে দেখা যায় দুষ্প্রাপ্য স্ক্ল্যাটারস মোনাল প্রজাতির পাখি।[৮] এছাড়া এখানে উড়ুক্কু কাঠবিড়ালিও দেখা যায়।[৯]
১৯৯১ সালে উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলায় দিবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য স্থাপিত হয়। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ৪,১৪৯ কিমি২ (১,৬০১.৯ মা২)।[১০]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "Dibang Valley District Population Census 2011, Arunachal Pradesh literacy sex ratio and density"। Census Organization of India। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ National Portal of India : Know India : Districts of India. India.gov.in.
- ↑ History : Lower Dibang Valley ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ মে ২০১১ তারিখে. Roing.nic.in (16 December 2001).
- ↑ ক খ Law, Gwillim (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Districts of India"। Statoids। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১।
- ↑ "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies"। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১৮-১২-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Nauru 9,322 July 2011 est.
line feed character in|উক্তি=
at position 6 (সাহায্য) - ↑ "Mishmi: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮। অজানা প্যারামিটার
|4301 editor=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Choudhury, Anwaruddin(2008) Survey of mammals and birds in Dihang-Dibang biosphere reserve, Arunachal Pradesh. Final report to Ministry of Environment & Forests, Government of India. The Rhino Foundation for nature in NE India, Guwahati, India. 70pp.
- ↑ Choudhury,Anwaruddin (2009).One more new flying squirrel of the genus Petaurista Link, 1795 from Arunachal Pradesh in north-east India. The Newsletter and Journal of the RhinoFoundation for nat. in NE India 8: 26–34, plates.
- ↑ Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Arunachal Pradesh"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১।