ঈদের রান্না
মুসলিম বিশ্বে প্রতিবছর উদ্যাপিত হয় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। উভয় উৎসবে দেশ ও স্থানীয় অঞ্চলেভেদে নির্দিষ্ট রান্না হয়।[১]
ঈদুল ফিতরের রান্না
সম্পাদনাঈদুল ফিতর রমজানের খুশির সমাপ্তি (যা আল্লাহর রহমত বয়ে আনে) উদ্যাপন করে এই উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খাবার খাওয়ার কারণে "মিষ্টি ঈদ" নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ, ব্রুনাই, পাকিস্তান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া এবং আরব বিশ্বে ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী ঈদ উদ্যাপনের জন্য ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে। ঈদুল ফিতরের নাস্তায় থাকে বেশ কিছু মিষ্টান্ন আইটেম। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দুধ দিয়ে তৈরি সেমাই। দুধে আলাদাভাবে রান্না করা সেমাই ও খেজুরও ঈদের নামাজ পড়ার আগে নাস্তা হিসাবে খাওয়া হয়। উপসাগরীয় অঞ্চলে বালালীত নামে আরেকটি ভিন্ন জনপ্রিয় মিষ্টান্ন রয়েছে।
স্থানীয় সংস্কৃতি উপর নির্ভর করে, রান্নার ধরন এবং প্রকারভেদগুলি পরিবর্তিত হয় তবে তা সবসময় মিষ্টি জাতীয় খাবার হয়। বাংলার চমচম, কালোজাম এবং বিভিন্ন ধরনের কেকের পাশাপাশি রসমালাই জনপ্রিয়। এগুলি কেবল ঘরের অভ্যন্তরেই খাওয়া হয় না, ঈদুল ফিতরের সময় আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সময় তা উপহার হিসেবে নেয়া হয়। তুরস্কে বাকলাভা এবং অন্যান্য মণ্ড জাতীয় মিষ্টি খাওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার ঈদের সময় সাধারণত কেতুপাত পরিবেশন করা হয়।
ঈদুল আযহার রান্না
সম্পাদনাকোরবানির ঈদ হল "নোনতা ঈদ"। কারণ ঈদুল ফিতরের সময় যে খাবারগুলি পরিবেশন করা হয় সেগুলি মূলত মসলাদার। এই ঈদে বেশীর ভাগ খাবার মাংসের হয়, তবে মাংসের ধরন জবেহকৃত পশুর উপর নির্ভর করে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং সমাজের দরিদ্রদের যে উপহার দেওয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে জবাই করা পশুর গোশত। জবাইকৃত পশুর ভাজি করা যকৃৎ প্রাতঃরাশ হিসাবে খাওয়া হয় এবং বিভিন্ন খাবারের মধ্যে বিভিন্ন রকমের কাবাব (হাড়হীন মাংস যা মশানো এবং ভাজা), হালিম, কোরমা এবং অন্যান্য বিভিন্ন কিছু রয়েছে। পোলাও এবং বিরিয়ানিরসহ গরুর মাংস ও সাদা ভাত দক্ষিণ এশিয়ায় খুব জনপ্রিয়।[২]
কোকোরেচ, যা অন্ত্র (নাড়িভুঁড়ি) থেকে তৈরি, তুরস্ক এবং অন্যান্য বালকান মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেও খাওয়া হয় যা সেসব অঞ্চলে এটি খুব জনপ্রিয়।
কোমল পানীয় এই উভয় উৎসবের সময় জনপ্রিয় পানীয়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ঈদের রান্না"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "ঈদের রান্না"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৯।