ইস্টার্ন রিফাইনারি-মহেশখালী তেল পাইপলাইন
ইস্টার্ন রিফাইনারি-মহেশখালী তেল পাইপলাইন হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড পর্যন্ত তেল পরিবহনের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন একটি পাইপলাইন। পাইপলাইনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে।[১]
ইস্টার্ন রিফাইনারি-মহেশখালী তেল পাইপলাইন | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
হইতে | মহেশখালীর পশ্চিমাংশে গভীর সমুদ্র |
অতিক্রম করে | সমুদ্র ও সমতলভূমি |
পর্যন্ত | ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড |
পাশাপাশি সঞ্চালিত | দুইটি লাইন |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | তেল পরিবহন |
অবস্থা | নির্মাণাধীন |
নিয়ন্ত্রণকারী | বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন |
নির্মাণ শুরু | ২০২০ |
অনুমোদন | ২০২২ |
কারিগরী তথ্য | |
দৈর্ঘ্য | ২২০ কিলোমিটার (১৪০ মাইল) |
ইতিহাস
সম্পাদনামহেশখালীর পশ্চিমাংশে বঙ্গোপসাগর থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি তেল খালাসের উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্র থেকে মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড পর্যন্ত তেল পাইপলাইন নির্মাণ করেছে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং কর্ণফুলী নদীর চ্যানেলের নাব্য কম হওয়ায় মাতৃ তেলের ট্যাংকার গুলো থেকে সরাসরি খালাস করা সম্ভব হয় না। যার ফলে এসব ট্যাংকার গভীর সমুদ্রে নোঙ্গর করে ছোট ছোট লাইটারেজ ভেসেলের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল খালাস করা হয়। এভাবে ১১ দিনে একটি এক লাখ ডিডব্লিউটি ট্যাংকার খালাস করা যায়। গতানুগতিক এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় এইচএসডি স্থানান্তরের জন্য পাইপলাইন বসানোর প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। মহেশখালীর পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। অফশোর পাইপলাইনের মাধ্যমে মাতারবাড়ি এলটিই পর্যন্ত এবং সেখান থেকে অনশোর পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী এলাকায় স্থাপিত স্টোরেজ ট্যাংকে তেল জমা হবে। এসপিএম থেকে ৩৬ ইঞ্চি ব্যসের দু’টি আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল ও ডিজেল আনলোডিং করা হবে। এরপর মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক ফার্ম থেকে ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের মাধ্যমে দুটি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল ও ডিজেল ইআরএলে ডেলিভারি করা হবে।[২][৩][৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সাগর থেকেই পাইপলাইনে খালাস হবে জ্বালানি তেল"। bidrohinews.com। ২০২১-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০।
- ↑ "'সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং' প্রকল্পের মেয়াদ আড়াই বছর বাড়ল"। bdnews24.com। ২০২১-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০।
- ↑ বাশার, রিয়াজুল; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "এক বছরের মধ্যে গভীর সাগরের মুরিংয়ে তেল খালাসের আশা"। bangla.bdnews24.com। ২০২১-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০।
- ↑ "এক দশকেও হলো না সাগরে পাইপলাইন"। সমকাল। ২০২১-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০।
- ↑ "উদ্ভাসিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রের এসপিএম প্রকল্প"। www.dainikamadershomoy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০।
- ↑ "জ্বালানি তেল খালাসে নতুন যুগে বাংলাদেশ, প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ"। আমাদের সময়.কম। ২০২১-০৯-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২০।