ইসলাম ও গর্ভপাত
গর্ভপাত সম্পর্কে মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গি হাদিস এবং আইনি ও ধর্মীয় পণ্ডিত ও ভাষ্যকারদের মতামত দ্বারা নির্ধারিত। ইসলামে, গর্ভকাল ৪ মাস পূর্ণ হলেই ভ্রুণটিকে জীবিত আত্মা হিসাবে বিবেচনা করা হয়,[১] এবং এই সময়ের পর গর্ভপাতকে সাধারণভাবে নিষিদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
যেসব ক্ষেত্রে গর্ভপাত অনুমোদিত
সম্পাদনাধর্ষণের ক্ষেত্রে
সম্পাদনামুসলিম পণ্ডিতদের মতে, ধর্ষণের ফলে গর্ভসঞ্চারজাত শিশুটি বৈধ এবং একে হত্যা করা হলে তা পাপ হিসাবে গণ্য হবে। পণ্ডিতগণ এর গর্ভপাত অনুমোদন করেন তখনই যখন ভ্রুণটির বয়স চার মাসেরও কম হয়, অথবা, এটি তার মায়ের জীবন বিপন্ন করে তোলে।[২]
যখন গর্ভধারণ অপরিকল্পিত এবং ফলশ্রুতিতে অনাকাঙ্খিত, যেমন ধর্ষণের ক্ষেত্রে, পিতামাতাকে [বে-আইনি পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে / উচিত] এবং এভাবে এড়াতে হবে অপমানকর পরিস্থিতি, যা মা ও সন্তানের জন্য অপেক্ষা করছে [..] ধর্ষণের ফলে জন্মানো শিশু নিজের যেসব অধিকার অর্জন করেন এবং সামাজিক অবস্থান প্রাপ্ত হন তাতে ব্যভিচারে জন্মানো শিশুর ন্যায় (ওয়ালাদ জিনা) সমাজের সর্বনিম্ন ধাপের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত হয়।[২]
বিকলাঙ্গতার আশংকায়
সম্পাদনাকিছু মুসলিম পণ্ডিত যুক্তি দেন যে, নবজাতকের এমন কোন ধরনের অসুস্থতার আশঙ্কা থাকলে যার ফলে পিতামাতার পক্ষে সন্তানের পরিপূর্ণ পরিচর্ষা করা বিশেষভাবে কষ্টসাধ্য হবে, সেক্ষেত্রে গর্ভপাত অনুমোদিত (উদাহরণস্বরূপঃ বিকলাঙ্গতা, মানসিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি)।[২][৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "(The matter of the Creation of) a human being is put together in the womb of the mother in forty days, and then he becomes a clot of thick blood for a similar period, and then a piece of flesh for a similar period. Then Allah sends an angel who is ordered to write four things...then the soul is breathed into him"
সহীহ বুখারী, ৪:৫৪:৪৩০ (ইংরেজি) - ↑ ক খ গ Rispler-Chaim, Vardit (২০০৩)। "Chapter 4: The Right Not to Be Born: Abortion of the Disadvantaged Fetus in Contemporary Fatwas"। Brockopp, Jonathan E। Islamic Ethics of Life: Abortion, War, and Euthanasia। Columbia, SC: University of South Carolina Press। পৃষ্ঠা 87–88।
- ↑ Ehrich, Tom (আগস্ট ১৩, ২০০৬)। "Where does God stand on abortion?"। USA Today।