ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল
ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ঢাকার বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার ছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বেঙ্গল খেতাবপ্রাপ্ত। পর্যায়ক্রমে জাতীয় পার্টি, বিএনপির একজন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ। তিনি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির-(এলডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।[২][৩]
ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল | |
---|---|
জন্ম | ২৮ আগস্ট ১৯৫১ |
মৃত্যু | ৩১ আগস্ট ২০২০[১] গ্রিন লাইফ হাসপাতাল, ঢাকা | (বয়স ৬৯)
মৃত্যুর কারণ | কোভিড-১৯ |
সমাধি | বুদ্ধীজীবী কবরস্থান |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, ঢাকার বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার, সাবেক এমপি, সমাজসেবক |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি, বিএনপি এলডিপি |
দাম্পত্য সঙ্গী | আরিফা উম্মুল তাহেরা |
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাইসমাঈল হোসেন বেঙ্গলের জন্মগত নাম হচ্ছে ইসমাঈল হোসেন। তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭ নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকায় বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বীরত্বের সাথে এই কমান্ডারের দায়িত্ব পালন শেষে দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে বেঙ্গল খেতাব প্রদান করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যার কারণে তার নামের শেষে বেঙ্গল শব্দটি যুক্ত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অবদান
সম্পাদনাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি রাজধানী ঢাকার বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার ছিলেন এবং বীরত্বের সাথে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে "গার্ড অব অনার" সালাম প্রদর্শন করেন লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে। পরবর্তী সময়ে সারা দেশে ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাতিনি কর্মজীবনে একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে এর সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৪]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাতিনি তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ-এর গঠিত প্রথম দল জনদল এর মাধ্যমে। ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল এই দলের ১নং প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরই মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। পরে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি উক্ত দলে যোগ দেন এবং এই দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সাবেক চাঁদপুর-৬ (বর্তমানে চাঁদপুর-৪) এবং ঢাকা-১০ (রমনা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান। কিন্তু পরবর্তীতে দলের সিদ্ধান্তে আর নির্বাচন করেননি। জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। পরবর্তীতে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।
রাজনৈতিক কর্মসূচি
সম্পাদনাইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল জাতীয় পার্টি (এরশাদ)তে থাকাকলীন সময়ে জাতীয় পার্টির দুঃসময়ে ১৯৯০ সালে এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পরে এক এগারোতে দুই নেত্রী গ্রেফতার হলে তাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির হয়ে প্রতিদিন জাতীয় প্রেসক্লাব, রির্পোটাস ইউনিটি, ফটোজার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন ও শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "করোনায় মারা গেলেন মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল"। যুগান্তর। ৩১ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "বিএনপি ছেড়ে এলডিপিতে বেঙ্গল"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।
- ↑ "বিএনপির বেঙ্গল এখন এলডিপির প্রেসিডিয়ামে"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।
- ↑ "chairman-of-jatiyatabadi-muktijoddha-sangsad"। দ্য নিউ নেশন। ৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৯।