ইলোরা ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের অন্তর্গত একটি গ্রামবিশেষ। ১৮১৮ খ্রীষ্টাব্দে হোলকার এ গ্রামটি তৎকালীন ইংরেজ শাসকশ্রেণীর কাছে প্রদান করেছিলেন। কিন্তু ৪ বছর পর ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী পুনরায় গ্রামটিকে হায়দ্রাবাদের সন্ধির শর্ত অনুসারে নিজামের কাছে প্রদান করেন। ইলোরার অপর নাম ইলুক বা বিরুল

ইলোরার গুহা

সম্পাদনা

ইলোরার গিরিগাত্রে খোদিত বা ভাস্কর্যচিত্রে অঙ্কিত গুহাগুলো সমগ্র পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে আছে। ইলোরার খোদিত কাজগুলো পাহাড়ের ঢালু গাত্রের উপরেই দৃশ্যমান। আর অজন্তা গুহার খোদিত কার্য লম্বমান পাহাড়ের গাত্রে রয়েছে।[] খোদিত অংশের বিস্তৃতি ১|০ মাইল। খোদিত কাজগুলো তিনটি পৃথক অংশে বিভাজিত - বৌদ্ধ, হিন্দু ও জৈন। অন্তিম অর্থাৎ উত্তর দিকে জৈন পর্যায় যা ইন্দ্রসভা নামে পরিচিত। এর অন্তর্গত একটি সুবিশাল জিন মুর্তি বিদ্যমান।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

সম্পাদনা

হিন্দুস্তানের ইতিহাস গ্রন্থে ডাউ লিখেছেন, ১৩০৬ খ্রীষ্টাব্দে আলাউদ্দিন বা তার কোন সেনাপতি এ গুহাগুলো পরিদর্শন করেছিলেন। এর কারণ ছিল লুকিয়ে থাকা অবস্থায় জনৈকা গুজরাটবাসীর অনুসন্ধান। পরবর্তীতে তাকে দিল্লী নগরে নিয়ে আলাউদ্দিনের ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। যে সমস্ত ইউরোপীয় পর্যটক ইলোরার গুহাগুলো পরিদর্শন করেন তন্মধ্যে থেব্‌নট্‌ সর্বপ্রথম ছিলেন। ১৬৬৭ খ্রীষ্টাব্দে তার লিখিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্রে ইলোরা গ্রীষ্মেশ্বর নামে শিবতীর্থ হিসেবে ব্যক্ত হয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সরল বাঙালা অভিধান, সংকলকঃ সুবলচন্দ্র মিত্র, নিউ বেঙ্গল প্রেস প্রাইভেট লিমিটেড, ৮ম সংস্করণ, ১৯৯৫, কলকাতা, পৃ. ২৪৯