ইলিয়াস জাভেদ
ইলিয়াস জাভেদ (জন্ম: ১৯৪৯ সালে) একজন বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী এবং নৃত্য পরিচালক।তার আসল নাম রাজা মোহাম্মদ ইলিয়াস। নৃত্য পরিচালনা দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটলেও পরবর্তিতে নায়ক হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। তিনি তার অনেক কাজের মধ্যে দোস্ত দুশমন, অন্ধ প্রেম, এবং রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত চলচ্চিত্রের জন্য বেশি পরিচিত। তার অভিনয় জীবনের সেরা সাফল্য আসে নিশান চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে।১৯৬৮ সালে জাভেদ অভিনীত প্রথম উর্দু সিনেমা "পায়েল" সিনেমা মুক্তি পেয়েছিলো।এই সিনেমার মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে।পরিচালক মুস্তাফিজ তার নাম জাভেদ দিয়েছিলো।পরে "পায়েল" চলচ্চিত্রটি বাংলাতে "নুপুর" নামে ডাবিং করা হয়।
ইলিয়াস জাভেদ | |
---|---|
الیاس جاوید | |
জন্ম | ১৯৪৯ (বয়স ৭৪–৭৫) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
অন্যান্য নাম | জাভেদ |
পেশা | অভিনেতা, নৃত্য পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৬৩-বর্তমান |
ব্যক্তি জীবনে তিনি ১৯৮৪ সালের ১২ই জানুয়ারি চিত্রনায়িকা ডলি চৌধুরীকে বিয়ে করেন।"চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা" ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তারা একে অপরের প্রেমে পড়েন।এই প্রেম একসময় বিয়েতে পরিণত হয়।তবে বিয়ের অনেক বছর পার হয়ে গেলে ও এই দম্পতি এখনো নিঃসন্তান।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাজাভেদ ১৯৪৪ সালে আফগানিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি স্বপরিবারে সেখান থেকে পাঞ্জাবে চলে আসেন। তার পিতা রাজা মুহাম্মদ আফজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি চাইতেন তার পুত্র ব্যবসা বা কোন চাকরিতে যোগদান করুক। কিন্তু জাভেদ নৃত্যে এবং পরবর্তীকালে অভিনয়েও আগ্রহী হয়ে ওঠেন।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৬৩ সালে ১৪বছর বয়সে তিনি পাঞ্জাব থেকে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকাই চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র নয়ি জিন্দেগি দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Javed wants to return acting"। দ্য ডেইলি নিউ নেশন। ১৬ এপ্রিল ২০১৮। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ আফ্রিদী, মিলান (২১ এপ্রিল ২০১৬)। "মনে পড়ে কী জাভেদকে!"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ইলিয়াস জাভেদ (ইংরেজি)